বিজ্ঞাপন

মানবতাবিরোধী অপরাধে রাজাকার কমান্ডারসহ ৪ জনের ফাঁসি

June 25, 2023 | 12:20 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে, আমজাদ মোল্লা ১৯৭১ সালে যশোর বাঘারপাড়া থানার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৫ জুন) চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা, মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস এবং মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা।

এর আগে, চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১১ মে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। এরপর ২১ মে রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, মো. সাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

২০১৮ সালে ১৬ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডিতে এ মামলায় তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। আসামিদের মধ্যে বিচার চলাকালে মো. নওশের বিশ্বাস মারা যান, ফলে এই মামলা থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়।

এর মধ্যে, অন্য মামলায় গ্রেফতার থাকা আমজাদ হোসেন মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে হাজিরের পর থেকে এ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। আর বাকি ৪ জন ছিলেন পলাতক। তাদের মধ্যে নওশের বিশ্বাস মারা যান। ফলে আসামির সংখ্যা হয় চার জন।

বিজ্ঞাপন

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আমজাদ মোল্লা ১৯৭১ সালে যশোর বাঘারপাড়া থানার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে আমজাদ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত শুরু হয়ে ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল শেষ হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানাধীন উত্তর চাদপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী মো. ময়েনউদ্দিন ওরফে ময়না এবং মো. আয়েন উদ্দিন ওরফে আয়েনকে অপহরণ করে হত্যা, একই গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক ও আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা প্রদানকারী ডা. নওফেল উদ্দিন বিশ্বাসকে হত্যা, গাইদঘাট গ্রামের সুরত আলী বিশ্বাস ও মোক্তার বিশ্বাসকে অপহরণ করে হত্যা এবং মাগুরা জেলার শালিখা থানার সীমাখালীর চিত্রা নদীর খেয়াঘাটের মাঝি রজব আলী বিশ্বাসকে আটক করে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন