ছবি: সারাবাংলা
June 28, 2023 | 3:16 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: রাত পোহালেই ঈদুল আজাহা। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ দিনেও বাড়ি ফিরছেন মানুষ। বুধবার (২৮ জুন) সকাল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীর চাপ ছিল। আন্তঃনগর ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিটের চাহিদা যেমন বেশি ছিল, আবার কমিউটার ট্রেনেরও বাড়তি চাপ দেখা গেছে।
বুধবার সকাল থেকেই বৃষ্টি। ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বাড়ির উদ্দেশে যাওয়ার জন্য কমলাপুরে হাজির যাত্রীরা। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো প্রতিটি ট্রেনই ছিল যাত্রীতে পূর্ণ। সময় মতো স্টেশনে ট্রানে আসায় এবং টিকিট কাটতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়নি।
ছবি: সারাবাংলা
ঈদযাত্রা নিয়ে এমন স্বস্তির কথা জানিয়েছেন অনেক যাত্রী। তাদের একজন খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী তাসলিমা আক্তার। তিনি বলেন, ‘অনলাইনে টিকিটের ব্যবস্থা থাকায় এবার গাদাগাদি করে দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করার ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। এছাড়া ট্রেনগুলোও সময়মত স্টেশনে এসেছে। সকালের বৃষ্টি কিছুটা ভোগান্তিতে ফেললেও সব মিলিয়ে এবারের ট্রেনে ঈদযাত্রা স্বস্তির ছিল।’
ছবি: সারাবাংলা
রেলওয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৪ জুন থেকে শুরু হয় ট্রেনে ঘরে ফেরা। এরপর থেকে ঈদ শিডিউল মতো যাত্রী পরিবহন করছে ট্রেন। তবে বড় ধরনের শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা এখনো ঘটেনি। জানা যায়, এবার বিক্রি করা মোট আসনের ২৫ ভাগ আসনবিহীন টিকিট বা স্ট্যান্ডিং বিক্রি করা হচ্ছে কমলাপুর কাউন্টার থেকে। আসনবিহীন এ টিকিট পেতে ভোর থেকেই কাউন্টারগুলোর সামনে ভিড় দেখা গেছে টিকিট প্রত্যাশীদের। অনেক যাত্রীরা স্টেশনের মূল ফটক থেকেও আসনবিহীন টিকিট কাটতে পারছেন।
কমলাপুর স্টেশন থেকে লোকাল-আন্তঃনগর মিলে ৫২ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এছাড়া রয়েছে এক জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন। আর বিমানবন্দর স্টেশন থেকে আরও দুই জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন গত ২৭ জুন থেকে চলছে বলে জানা গেছে।
সারাবাংলা/জেআর/এনএস