বিজ্ঞাপন

দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে ডুবে গেছে ঢাকা

July 1, 2023 | 6:18 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সকাল থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি নামলেও শনিবার (১ জুলাই) দুপুরের পর নামে ঝুম বৃষ্টি। সঙ্গে ঝড়ো বাতাস। বিকেল পৌনে তিনটা থেকে শুরু হয়ে বৃষ্টি থামে সাড়ে চারটার দিকে।

বিজ্ঞাপন

টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, শান্তিনগর, নয়া পল্টন, রাজারবাগ, দক্ষিণখান, বংশাল, নাজিরাবাজার, মুকিমবাজার, গোপীবাগ, নাখালপাড়া, হাতিরঝিল, মধুবাগ, আদাবর, সাতরাস্তা, মগবাজার, মিরপুর রোড, পান্থপথ, গ্রিনরোডসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।

প্রায় দেড় ঘণ্টার এই বৃষ্টিতেই তলিয়ে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। অনেকেরই বাসার গ্যারেজ পর্যন্ত ডুবে গেছে। ফলে বাসায় আটকা পড়েছেন অনেক এলাকার বাসিন্দারা।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া যারা জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়েছেন তারাও পথে আটকে পড়েছেন। আবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়কে ইঞ্জিন বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে বিভিন্ন যানবাহনকে।

জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তা পারাপার বা অন্যান্য যাতায়াতে ভরসা এখন রিকশা। মোহাম্মদ জামিল সাত রাস্তা থেকে সেগুনবাগিচা আসেন সিএনজি নিয়ে। জানালেন, পথের মধ্যে অসংখ্য গাড়ি ইঞ্জিন বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার নিজের সিএনজিও নষ্ট হয়ে গেছিলো। পরে ইঞ্জিন চালু হলে সেগুনবাগিচা ঢুকেছেন। শিল্পকলার সামনে কিছুটা শুকনা পেয়ে এখানে দাঁড়িয়েছেন।
আরেক সিএনজিচালক ফারুক মিয়া এসেছেন রামপুরা থেকে। জানালেন পুরো রাস্তাতেই জলাবদ্ধতা।

বিজ্ঞাপন

কমলাপুর থেকে সেগুনবাগিচা রিকশাযোগে আসেন তুহিন। আসার পথে পুরো রাস্তাতেই পানি জমে থাকতে দেখেছেন। আসার পথে পানির মধ্যে রিকশাচালকের স্যান্ডেল পড়ে গিয়ে হারিয়ে যায়। এতে তিনি ভাড়ার সঙ্গে কিছুটা টাকা বাড়িয়ে দেন।

মোটরসাইকেল নিয়ে গুলিস্তান থেকে সেগুনবাগিচা আসার পথে ভোগান্তিতে পড়েন সুমিত। আসার পথে কয়েকটি জায়গায় পানি জমে থাকতে দেখেছেন। সেগুনবাগিচা এসে পানির মধ্যে বিকল হয়ে পড়ে তার মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন। ফলে পঞ্চাশ টাকা ভাড়া দিয়ে স্বল্প দূরের অফিসে পৌঁছান তিনি।

জলাবদ্ধতা নিরসনে দুই সিটি করপোরেশনের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন:
৩ ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা

সারাবাংলা/আরএফ/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন