বিজ্ঞাপন

‘মামলা জটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কেন স্বাধীন হতে পারব না’

July 13, 2023 | 8:49 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, আমরা রক্ত দিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছি। সেই ইতিহাস সবাই জানেন। আমরা যদি এভাবে এই ভূ-খণ্ডকে স্বাধীন করতে পারি, তাহলে কেন এই মামলা জটের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করে কেন স্বাধীন হতে পারব না।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ঢাকার জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন। এর আগে প্রধান বিচারপতি আদালত প্রাঙ্গণে কয়েকটি বৃক্ষরোপন করেন।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমরা সবাই জানি এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। রাষ্ট্রের তিনটি অর্গানের মধ্যে একটি হচ্ছে জুডিশিয়ারি। এটি একটি শক্তিশালী অর্গান। আমরা যারা এই বিভাগে আছি বিচারক, আইনজীবী, আইনজীবী সহকারী এবং বিচারিক আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে এ দেশের মানুষের বিচারিক সেবা নিশ্চিত করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আদালতগুলোতে অনেক মামলা জমে গেছে। এ মামলার জট যেভাবেই হোক ছাড়াতে হবে। অন্যথায় দেখা যাবে, যে বিচারিক সেবা পেতে এই দেশের মানুষের হক রয়েছে, সেখান থেকে তারা বঞ্চিত হবেন। আমরা পরিশ্রম করে রক্ত দিয়ে ১৯৭১ সালে এই দেশ স্বাধীন করেছি। সেই ইতিহাস সবাই জানেন। আমরা যদি এভাবে এই ভূ-খণ্ডকে স্বাধীন করতে পারি তাহলে কেন এই মামলা জটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন হতে পারব না। ইনশাআল্লাহ আমরা জয়ী হব। এই জয়টা আমরা পরিশ্রম করে করতে চাই।’

বিজ্ঞাপন

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছি আপনারা পরিশ্রম করে এখন যত সংখ্যক কেইস ফাইলিং হচ্ছে তার থেকে নিষ্পত্তি যাতে বেশি হয়। ১২০টি কেইস ফাইলিং হলে যদি ১২৫টি নিষ্পত্তি হয় তাহলে ৫/৬ বছরের মধ্যে মামলা জট কমে আসবে। এখন যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সেখান থেকে বিচারপ্রার্থীদের বের করে আনতে পারব। আদালতের বারান্দায় মাসের পর মাস বছরের পর বছর বিচার পাওয়ার জন্য তাদের আর ঘুরতে হবে না। আর এই ন্যায়কুঞ্জ তাদের জন্য, যারা এখানে বিচার পেতে আসেন, তাদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ কমানোর জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা সারাদেশের আদালতগুলোতে এই ধরনের ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করছি।’

এদিন বিকেলে প্রধান বিচারপতিকে স্বাগতম জানান ঢাকার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া, মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাশফিকুল ইসলাম ও ঢাকার বিচার বিভাগীয় অন্যান্য কর্মকর্তারা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— আদালতের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান, ঢাকার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, আইনজীবী মোখলেছুর রহমান বাদল, আইনজী আব্দুল বাতেন, মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন