বিজ্ঞাপন

ঠিক সময়েই হবে ‘বঙ্গবন্ধু-১’ উৎক্ষেপণ: স্পেসএক্স

May 12, 2018 | 2:02 am

। সারাবাংলা ডেস্ক।

বিজ্ঞাপন

প্রথম দফায় উড়তে না পারার পর বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ এর উৎক্ষেপণের ক্ষণগণনা আবারো শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মহাকাশে যাত্রা শুরুর কয়েক সেকেন্ড আগে থেমে যাওয়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।

সবকিছু ঠিক থাকলে বাংলাদেশের এই স্বপ্ন ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড-৩৯ থেকে নতুন করে মহাকাশ পানে ছুটবে শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টা ১৪ মিনিটে। এমন তথ্যই জানিয়েছে মার্কিন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স।

এর আগে রাতে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে প্রস্তুতি শুরু হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ৪৭ মিনিটে বঙ্গবন্ধু-১ এর যাত্রা বাতিলের পরসেপসএক্স জানিয়েছিল শেষ মুহূর্তে গ্রাউন্ড সিস্টেমে সমস্যা দেখা দেয়ায় উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়। ওড়ানের জন্য রাখা রিজার্ভ ডে আজ শুক্রবার একই সময়ে ‘বঙ্গবন্ধু-১’ আবারও উৎক্ষেপণের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটে করে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মহাকাশে পাড়ি জমানোর কথা ছিল। পরে সেই সময় বাড়িয়ে ৩টা ৪৭ মিনিটে নির্ধারণ করা হয়। পরে সময় আরও ১৫ মিনিট বাড়িয়ে ৪টা ২ মিনিটে উৎক্ষেপণের কথা বলা হয়। সবশেষে ৪টা ৭ মিনিটে উৎক্ষেপণের স্থগিতের কথা জানায় স্পেসএক্স।

স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপন পিছিয়ে যাওয়ার পর পরেই  নিজেদের ওয়েবসাইটে স্পেসএক্স জানিয়েছিল বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের প্রোপিল্যান্ট লোডিং ভ্যারিফাই, আরপি-১ (রকেট জ্বালানি) লোডিং, প্রথম পর্যায়ের লিকুইড অক্সিজেন (এলওএক্স) লোডিং, দ্বিতীয় পর্যায়ের এলওএক্স লোডিং, লঞ্চ পূর্ববর্তী ফ্যালকন-৯ এর ইঞ্জিন শীতলীকরণ, চূড়ান্ত উৎক্ষেপণের আগে ফ্লাইট কম্পিউটার চেক, প্রপিল্যান্ট ট্যাংক প্রেশারাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে।  স্পেসএক্সের লঞ্চ ডিরেক্টর উৎক্ষেপণের চূড়ান্ত ভেরিফিকেশন গিয়ে পিছিয়েছে উৎক্ষেপনের সময়। শেষে উৎক্ষেপণের কাউন্টডাউনের শেষপর্যায়ে গিয়ে একদিন পিছিয়ে যায় বঙ্গবন্ধু-১ এর যাত্রা।

বিজ্ঞাপন

স্পেস এক্স ওয়েবসাইটে আরো জানিয়েছে এর উৎক্ষেপণযান বা রকেট ফ্যালকন-৯ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে মহাকাশে ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত অরবিট প্লটে স্থাপন করবে।

বিশেষ এই ক্ষণের স্বাক্ষী হতে গতকালের মতো ইউটিউবে, টেলিভিশনের পর্দায় চোখ বিশ্বজুড়ে বাঙালির। এ যেন স্যাটেলাইটের মহাকাশযাত্রা নয়, বাঙালির মহাকাশযাত্রা। অনেকে আবার নিজের এলাকায় টাঙানো বড় পর্দায় প্রত্যক্ষ্য করবেন বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু-১’কৃত্তিম উপগ্রহের মহাকাশের পথে রওনা হওয়ার মূহুর্তটি।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৯০২ কোটি টাকা। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এক হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা এবং অবশিষ্ট এক হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা বিডার্স ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ব্যয় সংকুলান হয়েছে।

সারাবাংলা/ ইএইচটি/ এসবি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন