বিজ্ঞাপন

‘আমার চোখে আজ আনন্দের অশ্রু’

May 12, 2018 | 2:47 am

। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।

বিজ্ঞাপন

মহাকাশে উড়ে গেল বাংলাদেশের স্যাটেলাইট। বাংলাদেশের গর্ব। মাহেন্দ্র এই ক্ষণে চারদিকে উঠেছে জয়ধ্বনি। ফ্লোরিডায় হর্ষধ্বনির যে ঢেউ উঠেছে তা এসে লেগেছে ঢাকাতেও। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কাজটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ। আনন্দের এই মুহূর্তটিতে কান্না এসেছে তার চোখেও।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পর ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ড. শাহজাহান মাহমুদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি জীবনেও এতো আনন্দ পাইনি। আজ আমার চোখে আনন্দের অশ্রু । এতো দীর্ঘ অপেক্ষার অবসানে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে সব কিছুই আমরা ঠিকঠাকমতো করতে পেরেছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস হয়ে থাকলো।’

বিজ্ঞাপন

এর আগে বাংলাদেশের এই স্বপ্ন ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড-৩৯ থেকে মহাকাশপানে যাত্রা শুরু করে শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টা ১৪ মিনিটে। এর আগে রাতে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে প্রস্তুতি শুরু হওয়ার তথ্য জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ৪৭ মিনিটে বঙ্গবন্ধু-১ এর যাত্রা বাতিলের পর স্পেসএক্স জানিয়েছিল শেষ মুহূর্তে গ্রাউন্ড সিস্টেমে সমস্যা দেখা দেয়ায় উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়। ওড়ানের জন্য রাখা রিজার্ভ ডে আজ শুক্রবার একই সময়ে ‘বঙ্গবন্ধু-১’ আবারও উৎক্ষেপণের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটে করে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মহাকাশে পাড়ি জমানোর কথা ছিল। পরে সেই সময় বাড়িয়ে ৩টা ৪৭ মিনিটে নির্ধারণ করা হয়। পরে সময় আরও ১৫ মিনিট বাড়িয়ে ৪টা ২ মিনিটে উৎক্ষেপণের কথা বলা হয়। সবশেষে ৪টা ৭ মিনিটে উৎক্ষেপণের স্থগিতের কথা জানায় স্পেসএক্স।

স্পেসএক্স ওয়েবসাইটে আরো জানিয়েছে এর উৎক্ষেপণযান বা রকেট ফ্যালকন-৯ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে মহাকাশে ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত অরবিট প্লটে স্থাপন করবে।

বিশেষ এই ক্ষণের স্বাক্ষী হতে গতকালের মতো ইউটিউবে, টেলিভিশনের পর্দায় চোখ ছিল বিশ্বজুড়ে বাঙালির। এ যেন স্যাটেলাইটের মহাকাশযাত্রা নয়, বাঙালির মহাকাশযাত্রা। অনেকে আবার নিজের এলাকায় টাঙানো বড় পর্দায় প্রত্যক্ষ্য করেন বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু-১’কৃত্তিম উপগ্রহের মহাকাশের পথে রওনা হওয়ার মূহুর্তটি।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৯০২ কোটি টাকা। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এক হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা এবং অবশিষ্ট এক হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা বিডার্স ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ব্যয় সংকুলান হয়েছে।

সারবাংলা/ইএইচটি/এসবি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন