বিজ্ঞাপন

মহাকাশে ‘বঙ্গবন্ধু-১’, জয় বাংলা স্লোগানে মুখর দেশ

May 12, 2018 | 5:41 am

।এমদাদুল হক তুহিন।

বিজ্ঞাপন

স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশ এখন স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য। মহাকাশের দিকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার বুকে তুমুল হর্ষধ্বনি প্রমাণ করেছে সেটাই। এ যেন আরও একটি স্বপ্ন সত্যি হওয়া।

ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে রকেট উৎক্ষেপনের মাহেন্দ্রক্ষণে যে হর্ষধ্বনি উঠেছিল সেই শব্দতরঙ্গের ঢেউ এসে লেগেছে ঢাকাতেও। ঐতিহাসিক এই অর্জনে আনন্দে ভাসছে দেশবাসী। স্মরণীয় এই মুহূর্তটিতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাফল্য কামনা করেছেন বাংলাদেশের গর্ব বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবার রাতেও দেশবাসী ছিল নির্ঘুম। মাত্র কয়েক সেকেন্ড আগে সেদিন উৎক্ষেপণ স্থগিত হওয়ায় শুক্রবার রাতের আবহ ছিল অন্যরকম। ছিল আবেগ আর উৎকন্ঠাও। তবে স্পেস এক্স স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অনুকূলে। সব কাজ করছে ঠিকঠাক। ফ্লোরিডা থেকে বিটিআরসি চেয়ারম্যানও সারাবাংলাকে জানিয়েছিলেন, সবই ঠিকঠাক। হয়েছেও তাই। স্যাটেলাইট উড়েছে ঠিকসময়েই। স্যাটেলাইট উড়তে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই কেনেডি স্পেস সেন্টারে হর্ষধ্বনি উঠে। তার রেশ পাওয়া গেল বিটিআরসি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে উৎক্ষেপণ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া নিতে গিয়ে। সারাবাংলাকে যখন তিনি জানাচ্ছিলেন, তার চোখে আনন্দ অশ্রু। হাজার মাইল দূরে মুঠোফোনের এপ্রান্তেও তার রেশ যেন। আর পাশ থেকে অপিরচিত কণ্ঠে ভেসে আসা ‘জয় বাংলা’ধ্বনি।

এদিকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মুহূর্তটি দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখানো হয়েছে বড় পর্দায়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) দেখানো হয়েছে উৎক্ষেপণের মুহূর্তটি। কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও ছিল বড় পর্দার আয়োজন। হলগুলোতে টেলিভিশনে স্মরণীয় মুহূর্তটি দেখেছে শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে ছিল অন্য রকমের উচ্ছ্বাস। অনেকে নেমে এসেছেন রাস্তায়ও।

বিজ্ঞাপন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বাঁধভাঙা আনন্দের প্রকাশ ঘটেছে। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে লেখক মাহতাব হোসেন লিখেছেন, ‘অজস্র স্বপ্নের নাম বঙ্গবন্ধু।’ নুসরাত জাহান লাকী লিখেছেন, ‘মহাশূণ্যে পৌঁছে গেল একটা নাম, বাংলাদেশ।’ কবির য়াহমদ লিখেছেন, ‘ লাল-সবুজের গৌরব স্মারক মহাকাশে হাজির। আমরা কেবল গর্ব করতেই পারি। অভিনন্দন বাংলাদেশ!’ বারেক কায়সার লিখেছেন, ‘সাবাস বাংলাদেশ।’ মাইনুদ্দিন রিয়াদ লিখেছেন, ‘বাংলার নতুন বিজয়।’ আবু বকর আবির লিখেছেন, ‘অভিনন্দন প্রিয় বাংলাদেশ। মহাকাশেও লেখা হয়ে গেল তোমার নাম!’ নবেন্দু সাহা জয় লিখেছেন, ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই।’ চারু পিন্টু লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের স্বাক্ষী থাকলাম।’ বাপ্পি নাহিদ লিখেছেন, ‘আমাদের লাল সবুজের পতাকা আজ স্থায়ী হয়ে গেলো মহাকাশে। জয় বাংলা।’এতো উচ্ছ্বাস। ইতিহাসের উপলক্ষ্য হতে আর কি লাগে!

সারাবাংলা/ইএইচটি/ এসবি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন