বিজ্ঞাপন

‘সরকার কয়েকটা লোককে ভাড়া করে নিয়ে এসেছে’

July 31, 2023 | 7:10 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিপক্ষে কথা বলার জন্য নাম-চিহ্নহীন কয়েকটা লোককে সরকার বিদেশ থেকে ভাড়া করে নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ঢাকার প্রবেশ মুখে অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশি বাধা ও হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি এ জনসমাবেশ আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আবার একটা মজার কাহিনী ঘটেছে। কয়েকটা লোককে বিদেশ থেকে ভাড়া করে নিয়ে এসেছে। তারমধ্যে একজন আছে আমেরিকান লোক। উনারা বলে কোনো ফোরামের লোক। যার নামও কেউ কোনো দিন শোনে নাই, সেই ফোরামের লোক। তারা আবার ইলেকশন কমিশনে গিয়ে বক্তব্য দিচ্ছে প্রেসকে বলছে, এখানে (বাংলাদেশ) কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট চলবে না।

বিজ্ঞাপন

‘বারে বা! তুমি কে ভাই? হু আর ইউ? ওদের চেনেই না কেউ! এদেশের (বাংলাদেশ) মানুষ ওদের চেনে না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেউ চেনে না। ওদের যে ফোরাম, ওই ফোরামকে কেউ চেনে না, ওই ফোরামের যে প্রধান, তাকে কেউ চেনে না’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমি যেটা বলতে চাচ্ছি- কত দুর্বল এরা (সরকার)? এ ধারনের নামহীন, চিহ্নহীন লোকদের এনে বলতে হচ্ছে না, কেয়াটার নয়, এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচন চাই না। আমরা একটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা স্থির। আমরা জাতীয় ঐক্য তৈরি করেছি। আজকে দেখুন, প্রথম বারের মতো ডান-বাম এবং অন্যান্য সমস্ত রাজনৈতিক দল মিলে একটা ঐক্য তৈরি হয়েছে- এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। সবার এক দফা, এই সরকারকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

ক্ষমতাসীন দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বারবার একই কায়দা করবে এবং জনগণকে বোকা বানিয়ে তুমি নিয়ে যাবে, সেটা আর হবে না। বারবার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাওয়া ধান। এবার আর হবে না। এবার নিপীড়ন, নির্যাতন করে, গ্রেফতার করে কোনো লাভ হবে না।’

কারা কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা শুনেছি, ডিসেম্বরের মতো আবার আমাদের নেতা-কর্মীকে কারাগারে নির্যাতন করা হচ্ছে। পরিষ্কার করে বলতে চাই, যদি জেলকোডের বাইরে কোনো বন্দির সঙ্গে অন্যায় ব্যবহার করা হয়, তার সমস্ত হিসাব-নিকাশ বুঝে নেবে এই দেশের জনগণ।’

তিনি বলেন, ‘আজ সমস্ত দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে দাও, আমার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দাও, পদত্যাগ কর, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্রবস্থা কর। অন্যথায় পরিষ্কার করে করে বলে দিতে চাই, যেটা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, ফয়সালা হবে রাজপথে।’

যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই এক দফা আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে, উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় জনসমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সবাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন