মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ময়মনসিংহের ত্রিশালের বীরমুক্তিযাদ্ধা মতিন মাস্টার হত্যা মামলায় ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড ও দু’জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় জনের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত দু’জনের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে ২য় অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবরিনা আলী অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন। মামলায় রাষ্টপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিযুষ কান্তি সরকার। আসামি পক্ষের হয়ে আব্দুল গফুর, নুরুল হক ও শফিকুল্লাহ এ মামলাটি পরিচালনা করেন।

রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- ত্রিশালের মাগাটিপাড়ার মৃত ইছব আলী আকন্দের ছেলে মোবারক হোসেন, জামতলী মোক্ষপুরের মৃত আ. ছোবহানের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন, নারায়ণপুরের পক্কু মিয়ার ছেলে রুবেল, চান মিয়ার ছেলে সেলিম, তোফাজল হোসেনের ছেলে সোহাগ, মৃত ইমান আলীর ছেলে মো. ইদ্রিছ।

আর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দু’জন হলো- ত্রিশালের রায়মনির আবু বকর ছিদ্দিকের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন রবেল ও মাগাটি পাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে দুলাল উদ্দিন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ জুলাই রাতে ত্রিশালের মঠবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও খাগাটি জামতলী মাদরাসার সহকারী শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন (৬৫) মাছের ঘেরে রাত্রি যাপনের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরদিন ভোরে ঘেরের পানিতে তার গলাকাটা লাশ ভাসতে দেখা যায়।

এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের বড় ছেলে মাহমুদুল হাসান মামুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে। তদন্ত শেষে পুলিশ আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় ২৫ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আজ এ রায় ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, সমাজের একজন সচেতন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী ছিসেবে পরিচিত চিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মাস্টার।

সারাবাংলা/কেএম/পিটিএম