বিজ্ঞাপন

রিকশায় বসে মেয়র বললেন— জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিকের হাত নেই

August 5, 2023 | 8:44 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: টানা বৃষ্টিপাতের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবন এখনও পানিবন্দি হয়ে আছে। তবে এই অবস্থার দ্বিতীয় দিনে মেয়র রিকশায় চড়ে বাসা থেকে বের হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন এবং পরে আবার রিকশাযোগে বাসায় ফিরেছেন। রিকশায় বসে মেয়র সাংবাদিকদের বলেছেন— জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশনের কোনো হাত নেই।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতভর বৃষ্টিপাতের পর নগরীর বহদ্দারহাটে মেয়রের বাসভবনের উঠোন ও নিচতলা হাঁটু পানিতে ডুবে যায়। শুক্রবার কার্যত মেয়র পানিবন্দি বাসায় আটকা ছিলেন।

শনিবারও বাসভবন পানিবন্দি থাকলেও এদিন সকালে মেয়র বের হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকালে মেয়র বাসা থেকে বের হয়ে রিকশায় চড়ে সামনের সড়ক পার হয়ে মূল সড়কে ওঠেন। মূল সড়কে পানি ছিল না। সেখান থেকে তিনি করপোরেশনের গাড়িতে করে কর্মসূচিতে যোগ দিতে যান। মেয়র নগরীর টাইগাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে গিয়ে প্রয়াত শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

মেয়র যখন বাসা থেকে বের হন তখনও উঠোনে এবং বাসার নিচতলায় প্রায় হাঁটু পানি ছিল। সড়কেও ছিল হাঁটু পরিমাণ পানি। মেয়রকে অবশ্য বাসা থেকে বের হয়ে খানিকটা পানি মাড়িয়ে রিকশায় উঠতে হয়েছে এবং একইভাবে বাসায় ঢুকতে হয়েছে। সকাল থেকে মেয়রের বাসার সামনে অপেক্ষমাণ ছিলেন একদল সংবাদকর্মী। রিকশা থামিয়ে মেয়র তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

রিকশায় বসে মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, ‘মানুষ শুধু শুধু জলাবদ্ধতা নিয়ে সিটি করপোরেশনকে গালিগালাজ করছে। অথচ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলছে, সেটা করছে সিডিএ (চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কোনো হাত নেই। আমি বারবার বলেছি, আপনারা ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করুন। কিন্তু তারা এ পর্যন্ত কি একজন কাউন্সিলরকে কখনও ডেকেছে? সিডিএ তাদের নিজেদের মতো করেই কাজ করছে। সুতরাং এখানে আমাদের অর্থাৎ সিটি করপোরেশনের কোনো এনগেজমেন্ট নেই।’

স্থানীয় চান্দগাঁও ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এসরারুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘মেয়র মহোদয়ের বাসাটা যেখানে, সেটা মূল সড়ক থেকে নিচু এলাকা। এটা রোড লেভেলে না হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেও পানি জমে থাকে। এখানে আমরা একটা বড় ড্রেন করছি। সেটার কাজ শেষ হলে সেভাবে পানি জমবে না। এছাড়া বারইপাড়া খাল খননের কাজ চলছে। সেটার কাজ শেষ হলে বহদ্দারহাটসহ আশপাশের এলাকা জলাবদ্ধতামুক্ত হবে বলে আমরা আশা করছি।’

এদিকে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ৬৬ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। আমবাগান আবহাওয়া অফিস ৮৬ মিলিমিটিার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

বিজ্ঞাপন

অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল সারাবাংলাকে বলেন, ‘পাহাড়ধস হতে পারে। জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা এবং নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন