বিজ্ঞাপন

‘জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্থাগুলোর আরও সমন্বয়ের প্রয়োজন’

August 11, 2023 | 10:49 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্থাগুলোর মধ্যে আরও সমন্বয়ের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সংস্থা যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে, সেখানে সমন্বয় করার জন্য আমরা ইতিপূর্বেও বেশ কয়েকবার বসেছি। বসার পর কিছুটা সমন্বয় হয়েছে, কিন্তু আরও সমন্বয়ের প্রয়োজন। সেই কারণেই আজ আমরা বসেছি। এছাড়া জঙ্গল সলিমপুরসহ আরও কিছু বিষয়াদি আছে।’

শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আয়োজিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আশাতীতভাবে অনেক কিছু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ চট্টগ্রামের জন্য করেছে। কিন্তু এটির সুফল জনগণকে পেতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

‘জনগণ সুফল পেতে হলে যেকোনো কাজ সুচারুভাবে করতে হয় এবং জনগণের বিরক্তির উদ্রেক যেন না হয় সেভাবে সময়মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সেটার বাস্তবায়ন করতে হয়। সেটি না হলে অর্থ ও সময়ের অপচয় হয় এবং জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।’

জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রামে যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেটির সুফল সাধারণ মানুষ এখনও পায়নি মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা জানেন গত সপ্তাহের প্রচণ্ড বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম শহরের প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল এবং মানুষের ব্যাপক দুর্ভোগ হয়েছে। সেটি নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে বদানুবাদও হয়েছে। এটির সমাধান আসলে আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব।’

‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য যখন এই প্রকল্প নেওয়া হয় এবং টাকাগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়, তখন ডলারের মূল্যমানে সেটির পরিমাণ ছিল ১.২ বিলিয়ন ডলার। এখন ১১ হাজার কোটি টাকা; ওয়ান বিলিয়ন ডলারের সমান।’

বিজ্ঞাপন

‘জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য এত বড় অর্থ বরাদ্দ ঢাকা শহরের জন্যও দেওয়া হয়নি, যেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের জন্য দিয়েছেন। কিন্তু নগরবাসী এখনও সেটার সুফল পাওয়া শুরু করেনি। গতবারের বর্ষা এবং এবারের বর্ষায় যে পরিমাণ জলাবদ্ধতা হয়েছে নগরবাসীর মধ্যে কিছুটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডেরও প্রকল্প আছে। এতবড় প্রকল্প, এত মূল্যমানের প্রকল্প, এটার জন্য ভবিষ্যতে তো আবার এই পরিমাণ টাকা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভবপর হবে না। কেন আমরা সুফল পাচ্ছি না, কোথায় সমস্যা, কোথায় সমন্বয়ের অভাব সেগুলো আলোচনা করার জন্যই আমরা সবাই মিলে এখানে বসেছি।’

চট্টগ্রামের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার অনেক কিছু করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আপনারা জানেন শিগগির বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, যেটি দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে সড়ক টানেল। একই সাথে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল স্থাপন করার জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর হচ্ছে, এটা একটি নতুন নগর নির্মাণ করা হচ্ছে। যেখানে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে ভবিষ্যতে। চট্টগ্রামের মানুষ এত উন্নয়ন কখনও দেখেনি এবং এত উন্নয়ন আশাও করেনি।’

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-৮ আসনের (বোয়ালখালী-চাঁন্দগাও) সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম জলাবদ্ধতা প্রকল্পের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ আলী, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, পুলিশ সুপার এ কে এম শফিউল্লাহ, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও সিডিএ’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইসি/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন