বিজ্ঞাপন

সাঈদীর গায়েবানা জানাজার পর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, নিহত ১

August 15, 2023 | 11:59 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কক্সবাজার: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর গায়েবানা জানাজার পর পুলিশের ওপর হামলা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি যানবাহনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হলে একজন নিহত এবং পুলিশসহ অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার লামার চিরিঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত ফোরকানুল ইসলাম (৬৫) চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবুল ফজলের ছেলে। জামায়াতের নেতাকর্মীরা তাকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছেন।

কক্সবাজারের জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর গায়েবানা জানাজার ঘোষণা দিয়েছিলেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় পুলিশ সেখানে জানাজা আয়োজনে বাধা দেয়। পরে সেখান থেকে সরে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা চকরিয়া পৌরসভার লামার চিরিঙ্গা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। সেখানে তারা গায়েবানা জানাজা আদায় করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, জানাজা শেষে অংশগ্রহণকারী লোকজন বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। একপর্যায়ে মিছিলে থাকা লোকজন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালান। পুলিশ হামলাকারীদের থামাতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা এবং সরকারি যানবাহনে ভাঙচুর চালান। এ সময় মুখোশধারী একদল লোককে গুলি করতে দেখা গেছে। হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

আহতদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছৈয়দ ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যার আগে গুলিবিদ্ধসহ নানাভাবে আহত আটজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে হাসপাতালে আনার আগেই একজনের মৃত্যু হয়েছিল। তার শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে।

জামায়াতের নেতাকর্মীদের দাবি, পুলিশের গুলিতে ফোরকানুলের মৃত্যু হয়েছে। তবে এসপি মাহফুজুল বলেন, চকরিয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় লাঠিচার্জ করলেও পুলিশ গুলি ছুড়েনি। নিহত ব্যক্তি কীভাবে এবং কাদের গুলিতে মারা গেছেন, পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়। ঘটনা তদন্তের পরই তা নিশ্চিত করা যাবে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, সম্ভাব্য সংঘাত ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার ব্যাটেলিয়ান সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন