বিজ্ঞাপন

পাগলা মসজিদের সিন্দুকে ২৩ বস্তা টাকা

August 19, 2023 | 1:24 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কিশোরগঞ্জ: জেলার ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৮টি দানসিন্দুক খুলে এবার ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন গণনার কাজ চলছে। সিন্দুকে টাকা ছাড়াও ডলার, পাউন্ড, রিয়াল, দিনার, রিঙ্গিত ও দিনারসহ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গহনা পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্স কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে সিন্দুক খোলা হয়।

সিন্দুক খুলে প্রথমে ২৩টি বড় বস্তায় টাকা ভরা হয়। এরপরই টাকা গণনার কাজ শুরু হয়। টাকা গণনায় মসজিদ-মাদরাসার ১৩৮ জন ছাত্র, রূপালী ব্যাংকের ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মসজিদ-মাদরাসার কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ দুই শতাধিক মানুষ অংশ নিয়েছেন।

আবুল কালাম আজাদ জানান, মসজিদের প্রাপ্ত দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদ এবং এই মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদরাসা, এতিমখানা ও কবরাস্থানের ব্যয় নির্বাহ করাসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানায় সহায়তা করা হয়। পাশাপাশি গরিব ছাত্র ও দুঃস্থদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কাজেও টাকা প্রদান করা হয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, সব টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হবে। বর্তমানে পাগলা মসজিদ কমপ্লেক্সকে ঘিরে এখানে একটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হলে মসজিদ কমপ্লেক্স আরও দৃষ্টিনন্দন হবে।

এর আগে, সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৬ মে দান দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৩ মাস ৬ দিন পর ৮টি দানসিন্দুক খুলে ১৯ বস্তা থেকে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ সাত হাজার ৬৮৯ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এবার দানবাক্স খোলা হয়েছে ৩ মাস ১৩ দিন পর।

সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজ বিশিষ্ট তিনতলা বিশাল পাগলা মসজিদ কিশোরগঞ্জে অন্যতম ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থাপনা। জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকায় অবস্থিত মসজিদটি প্রায় চার একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। কথিত আছে, প্রায় পাঁচশত বছর পূর্বে বাংলার বারো ভুঁইয়া বা প্রতাপশালী বারোজন জমিদারদের অন্যতম ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামক একজন ব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে ওই স্থানটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসসি/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন