বিজ্ঞাপন

বিশ্ব রাজনীতির খেলায় বল এখন ব্রিকসের পায়ে

August 19, 2023 | 2:08 pm

রজত রায়

২০১১ সালে ফিনান্সিয়্যাল টাইমসের কলামিস্ট ফিলিপ স্টিভেন বলেছিলেন, শুরুর আগেই ব্রিকস শেষ। ঢাল-তলোয়ার ছাড়া যে অর্থনৈতিক জোটটি গড়ে উঠেছে তার টিকে থাকার দিন ফুরিয়ে এসেছে। ২০০৯ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনকে নিয়ে ‘ব্রিক’ অর্থনৈতিক জোট আত্মপ্রকাশ করেছিল। পরের বছর ওই জোটে যোগ দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে ব্রিক থেকে জোটের নতুন নামকরণ হয় ব্রিকস। বিগত এক যুগেরও বেশি সময় ব্রিকসে কোন নতুন দেশ যোগ দেয়নি। তবে এই সময়ের মধ্যেই ব্রিকস নিজেদেরকে আমেরিকা তথা পশ্চিমা শক্তিগুলোর বিকল্প একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তুলে ধরতে পেরেছে। বিশেষ করে ‘গ্লোবাল সাউথে’র কন্ঠস্বর হিসেবে ব্রিকস একটা আলাদা পরিচয় অর্জন করেছে।

বিজ্ঞাপন

সমালোচকরা প্রায়ই বলে থাকেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও বিশ্বব্যাংক দক্ষিণ বিশ্বকে কাঠামোগত দিক থেকে তাদের নীতির আওতায় আনতে চায়। এ দুটি সংস্থা পশ্চিমা পররাষ্ট্রনীতির যে লক্ষ্য তার সঙ্গে অনেক বেশি ঘনিষ্ট। তাহলে ব্রিকস কি পশ্চিমের উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর বাইরে একটি শক্তিশালী জোটে পরিণত হচ্ছে?

ব্রিকস একটি অর্থনৈতিক জোট বিশ্ব রাজনীতিতে এর একটি সুস্পষ্ট অবস্থান ও পক্ষপাত আছে। ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৯৬ টি প্রকল্পে ৩৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে দ্য নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি)। অন্যদিকে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাংক প্রায় ৬৭ বিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে। এ ছাড়া ব্রিকসের সদস্য দেশগুলো একে অপরের থেকে ভৌগলিকভাবে দূরে অবস্থিত। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক ব্যবস্থার ভিন্নতা আছে। ব্রিকস পুরোপুরি বাণিজ্য সংস্থা নয়, আবার পুরোপুরি ভূ-রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য ও নেই।

রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞার ফলে সারা বিশ্বের সরবরাহ ব্যবস্থা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। একটা সময়ে ভারতের আমদানিকৃত তেলে রাশিয়ার ভাগ ১ শতাংশের কম থাকলেও তা বাড়তে বাড়তে এখন ৪০ শতাংশে পৌছেছে। কম দামে সেই তেল কিনছে ভারতের সংস্থাগুলি। কমেছে ইরাক ও সৌদি আরবের তেলের ভাগ। তেলের দাম যেন রাশিয়া ভারতীয় মুদ্রায় পরিশোধ করে তার জন্যও উদ্যোগী হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু দীর্ঘ আলাপচারিতায় মস্কো রাজি হয়নি। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় জুনে প্রথম বার আইসিআইসিআই ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে রাশিয়ার তেলের দাম ইউয়ানে মেটায় রাষ্ট্রায়াত্ত ইন্ডিয়ান অয়েল। এটা থেকে স্পষ্ট বলা যাচ্ছে তাদের লক্ষ্য আমেরিকার ডলারকে স্থানচ্যুত করা। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমনের পর ব্রিকসের সদস্যগুলোর ভূমিকা এ ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। এই ইস্যুতে সদস্য দেশগুলো পশ্চিমের সঙ্গে দুরত্ব বজায় রেখেছে। এই পাঁচ দেশের কোনোটিই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় অংশ নেয়নি, বরং এই সময়ে ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য বেড়েছে।

বিজ্ঞাপন

পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ব্রিকসের সদস্য দেশগুলোর প্রধান পার্থক্যের জায়গা হলো, এই দেশগুলো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানোর নীতি মেনে চলে। ব্রিকসের দেশগুলোর ভিন্ন ভিন্ন শাসন পদ্ধতি রয়েছে কিন্তু কেউ কারও অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করে না। রাজনৈতিক ভাবে দেখতে গেলে এটাই ব্রিকস দেশগুলোকে একত্রে ধরে রাখার সুতো। তবে, ব্রিকসের সদস্যদের মধ্যে দৃশ্যমান কিছু পার্থক্য রয়েছে। একদিকে গণতান্ত্রিক ভারত ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা, অন্যদিকে এক রকমের স্বৈরতান্ত্রিক রাশিয়া ও চীন। এ ছাড়া ভারত চীনের দ্বন্দ্ব, অর্থনৈতিক অসমতা, আমদানি রপ্তানির আলাদা বাজার, সব মিলিয়ে একটি হযরবল অবস্থা। তবে এত কিছুর পরও ব্রিকসের মূল শক্তি দেশগুলোর একজোট থাকার মনোভাব। পশ্চিমাদের আধিপত্য কমিয়ে নিজেদের সক্ষমতাকে জাহির করা। সবকিছুর পরও এমন হয়নি ব্রিকসের সম্মেলনে পাঁচ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কেউ কখনো অনুপস্থিত ছিলেন। এমনকি করোনার সময়েও ভার্চুয়ালি ব্রিকস তার সম্মেলন চালিয়ে গেছে। এ থেকে একটি ব্যাপারে অন্তত শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়, ব্রিকসের সদস্যরা নিজেদের ঐক্যের প্রশ্নে আপসহীন। এই ঐক্যের সুফল এর মধ্যে পেয়েছে ব্রিকস। যে জি-৭ ও পশ্চিমারা ব্রিকস নিয়ে এতদিন হাসি তামাশা করে এসেছে, সেই জি-৭ এর জিডিপিকে ছাড়িয়ে গেছে ব্রিকস। অ্যাক্রন ম্যাক্রো কনসাল্টিং-এর দেয়া তথ্যানুযায়ী, সম্মিলিতভাবে ব্রিকস দেশগুলোর বর্তমান জিডিপির পরিমাণ ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ এর বিপরীতে জি-৭ এর সম্মিলিত জিডিপির পরিমাণ ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ।

ব্রিকসকে এক সময় বিভিন্ন উদীয়মান অর্থনীতির একটি দুর্বল সংগঠন হিসেবে দেখা হতো। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শান্তি, নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও সহযোগিতাকে উৎসাহিত করা। বর্তমানে বিশ্বে ব্রিকসভুক্ত দেশের মোট জনসংখ্যা ৩৪২ কোটি । মোট আয়তন ৪০ মিলিয়ন বর্গাকিলোমিটার, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪২ শতাংশ এবং মোট আয়তনের ৩০ শতাংশ। ব্রিকস গ্রুপের দেশগুলোর ব্যাপ্তি বিশ্বের প্রায় ২৮ শতাংশ ভূখন্ড জুড়ে এর ব্যাপ্তি, যেখানে বিশ্বের ৪৫ শতাংশ মানুষের বসবাস। ব্রিকসভূক্ত দেশগুলো বিশ্বের ২৫ শতাংশ জ¦ালানি তেল এবং ইস্পাত তৈরিতে ৫০ ভাগ আকরিক লোহা উৎপাদন করে থাকে। বিশ্বের ৪০ শতাংশ ভূট্টা এবং ৪৬ শতাংশ গম এ জোটভুক্ত দেশগুলোর উৎপন্ন হয়ে থাকে।

কুটনৈতিকভাবে ইউক্রেন যুদ্ধপূর্ব সমর্থিত রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমের বিভক্তির একটি স্পষ্ট রেখা উন্মোচিত করেছে-এ মন্তব্য ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ডের অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ম্যাথুউ বিশপের । গত বছর ইকোনমিক অবজারভেটিরিতে তিনি লিখেছেন, সেই বিবেচনায় কিছু ইউরোপীয় ও যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক এই ভেবে উদ্বিগ্ন যে ব্রিকস সম্ভবত উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর একটি ক্লাবে পরিণত হওয়ার চেয়ে বরং রাজনৈতিক ক্লাবে পরিণত হতে যাচ্ছে। এই দেশগুলোর কর্তৃত্ববাদী জাতীয়তাবাদ তাদের রাজনৈতিক পরিচয়কে তুলে ধরে। জার্মান ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের (এসডব্লিউপি) উপপরিচালক গুন্ঠার মাইহোল্ড মনে করেন, ব্রিকস দেশগুলো ভূ রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার অবস্থানে রয়েছে। তার ধারণা, এই দ্বিমেরুর বিশ্বে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও ব্রাজিলের মতো দেশগুলো নিজেদের অবস্থান ভালো করার চেষ্টায় আছে। অন্যদিকে চীন এই প্ল্যাটফর্মকে তার বৈশ্বিক উচ্চাকাঙ্খার জন্য ব্যবহার করছে। আবার চীন এবং ভারতের স্নায়ুচাপও কাজ করছে এই জুটে। দীর্ঘদিন ধরেই নয়াদিল্লীর আপত্তি রয়েছে ‘বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পের একটি নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে। কিন্তু সেই নির্দিষ্ট অংশটি কি? চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) নামের এই রাস্তা চীন অধিকৃত উইঘুর এলাকা শিনজিয়াংয়ের কাশগড়কে যুক্ত করেছে পাকিস্তানের গোয়েদর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে। ওই রাস্তার একটি অংশ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালটিস্তান এলাকার ভিতর দিয়ে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অংশ বলে স্বীকার করে না ভারত। তাই নয়াদিল্লীর যুক্তি, এই রাস্তা তৈরি করে ভারতের সার্বভৌমত্বে ভাগ বসিয়েছে বেইজিং। তাই চীনের স্বপ্নের প্রকল্প হয়তো স্বপ্নই থেকে যাবে। পর্যবেক্ষকরা মনে করেছেন ‘বিটুইন দ্য লাইনস’ অর্থ করছেন এভাবে, ব্রিকসে যাতে চীনের প্রভাব বলয়ে থাকা বেশি বেশি দেশ ঢুুকে গিয়ে জোটের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্যটা নষ্ট না হয়ে যায়, ভারত সে দিকে ও সতর্ক নজর রাখতে চাইছে।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা শক্তিশালী করেছে দিল্লী। তারা নিরাপত্তা বিষয়ক গ্রুপ কোয়াডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে এক্ষেত্রে তারা করোনা মহামারিকালে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য টিকা উৎপাদন করেছে। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত,চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত জোট ব্রিকসের পরিধি বাড়াতে চেষ্টা চালাচ্ছে চীন। বিশ্বের পাঁচ বৃহৎ দেশকে নিয়ে গঠিত এ জোটে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ, সৌদি আরব, ইরান ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলো। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ ২৮ জুলাই ২০২৩ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায় ব্রিকস জোটে দ্রুত সময়ে নতুন সদস্য অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়টি আপত্তি জানিয়েছে ভারত ও ব্রাজিল।

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে আগামী ২২-২৪ আগষ্ট পর্যন্ত ব্রিকস শীর্ষক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। সেখানে ভারত ও ব্রাজিল নতুন সদস্য অর্ন্তভুক্তির ব্যাপারে আলোচনা করতে রাজি আছে তবে নতুনদের পূর্ণ সদস্য করার আগে পর্যবেক্ষণে থাকা দেশ অবস্থায় রাখতে চায় তারা। ব্রাজিল প্রস্তাব করেছে আপাতত পর্যবেক্ষণ এবং সহযোগী দেশ এ দুটি ক্যাটাগরি চালু করা যেতে পারে। এদিকে রাশিয়ার বৈদেশিক ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের প্রধান ফায়োদোর লুকায়োনোভ জানিয়েছেন, তারা চায় ব্রিকসের পরিধি বাড়ুক। তবে এ নিয়ে এত বেশি আগ্রহ দেখাবে না মস্কো।

সারা বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ব্রিকস জোটে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে ২৫ টি দেশ ব্রিকসে যোগ দিতে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য নতুন মুদ্রা গ্রহন করতে প্রস্তুত। যে দেশগুলো ব্রিকস জোটে যোগ দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে সেগুলো হলো-আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, বাংলাদেশ, বেলারুশ, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাজাখস্তান, মেক্সিকো, নিকারাগুয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, সৌদিআরব, সেনেগাল, সুদান, সিরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, তিউনিশিয়া, তুরস্ক, উরুগুয়ে, ভেনিজুয়েলা এবং জিম্বাবুয়ে। এ দেশগুলো যোগ দিলে মোট ৩০টি দেশ ব্রিকস মুদ্রা চালু করতে পারে। তারা মার্কিন ডলারকে এড়িয়ে যাবে এবং বৈশ্বিক রিজার্ভ অবস্থায় ডলার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদি দেশগুলো ডলার ব্যবহার না করে এবং নতুন মুদ্রা দিয়ে লেনদেন শুরু করে তাহলে একক আধিপত্য হারাতে পারে ডলার এবং বিশ্বব্যাপী ডলার দুর্বল মুদ্রায় পরিণত হতে পারে। এছাড়া যে দেশগুলো ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহী তারা অনেকে আবার তেল সমৃদ্ধ দেশ। তাই এ জোট ইউরোপীয় দেশগুলোকে তেলের বিনিময়ে নতুন মুদ্রা দিয়ে অর্থপ্রদানে বাধ্য করতে পারে। এতে ইউরো ও ডলারের বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা বিশ্ববাণিজ্য বিশ্লেষকদের।

বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় একেবারে নিরপেক্ষ থাকা যখন দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের ব্রিকসে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ততটা উষ্ণ যাচ্ছে না। বর্তমানে অযথা নজরদারি ও চাপ প্রয়োগকে ভালোভাবে দেখছে না ঢাকা। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ড সফর শেষে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এককভাবে কারও ওপরে নির্ভরশীল থাকতে চায় না। একক নির্ভরশীলতা কমাতেই ব্রিকসে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের আর্থ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবং পশ্চিমা শক্তির সঙ্গে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন হবে কিনা তা হয়ত সময়েই বলে দিবে। খেয়াল করলে দেখা যায়, ব্রিকসের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের রপ্তানির থেকে আমদানির সম্পর্ক অনেক বেশি। এক্ষেত্রে ব্রিকসে যোগ দিলে বাংলাদেশের আমদানি ব্যবস্থার ওপরে চাপ কমবে এবং বিকল্প মুদ্রাব্যবস্থা চালু হলে ডলারের ওপরেও চাপ কমবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদগণ।

বিজ্ঞাপন

লেখক: অর্থনীতি বিশ্লেষক

সারাবাংলা/এসবিডিই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন