May 13, 2018 | 6:08 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ঠিকমতো টাকা পাওয়াটাই একসময় বিস্ময়ের ছিল। তবে প্লেয়ার্স বাই চয়েজ করার পর খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক আরও উন্নত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা দূরে থাক, উল্টো পাওনা টাকার একটা পয়সাও পাননি, এমন অভিযোগ এসেছে। রোববার (১৩ মে) মিরপুরে বিসিবির কাছে নালিশ করে গেছেন কলাবাগানের দুই ক্রিকেটার তাসামুল হক ও নাবিল সামাদ চৌধুরী।
এবারের প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট তালিকার সবার নিচে ছিল কলাবাগান, অবনমনও নিশ্চিত হয়েছে সবার আগে। কিন্তু লিগ শেষের আগে পাওনা টাকার ৭৫ শতাংশ পেয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও কলাবাগানের কোনো কোনো ক্রিকেটার এক টাকাও পাননি, এমন অভিযোগ করেছেন তাসামুল-নাবিলরা। তাসামুল জানান, বোর্ডের কাছে তারা আগেই অভিযোগ করেছিলেন, ‘আমরা বোর্ডের কাছে আগেই অভিযোগ করেছিলাম, সেটা ছিল লিখিত। বোর্ড সেটা বিবেচনায় এনে ক্লাবের কাছে চিঠি পাঠায়। ক্লাব প্রত্যুত্তরে বিসিবিকেও একটি চিঠি পাঠায়। বিসিবি সেটা গ্রহণ করে বিবেচনা করছে। ক্লাবের সঙ্গে এরপর বৈঠকে বসে জানাবে। তবে কবে জানাবে, তেমন কোনও নির্দিষ্ট তারিখ নেই।’
এর মধ্যে আশরাফুল, সঞ্জিত সাহা দীপ, জসিম উদ্দীনের মতো কয়েকজন ক্রিকেটার এক টাকাও পাননি, সেটাও স্পষ্ট করেই বলেছেন তাসামুল, ‘কিছু কিছু প্লেয়ার আছে, তিন-চারজন যারা এক টাকাও পায়নি। আমরা অ্যাপ্লিকেশনে সেসব উল্লেখ করেছি। এখানে জসিম উদ্দিন আছে, সঞ্জিত সাহা দীপ আছে, মোহাম্মদ আশরাফুল আছেন, আবু বকর অনিকও আছে।’ নাবিল সামাদ অবশ্য যোগ করেছেন, তিন-চার দিনের মধ্যে আশরাফুল টাকা পাননি।
যাদের টাকা দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ টাকা পেয়েছেন অনেকে, সেটাও জানালেন তাসামুল, ‘আমরা নিয়মানুযায়ী ৫০ শতাংশের পর ২৫ শতাংশ পাওয়ার কথা, বলা হয়েছিল খেলা শেষ হলে দেবে। টাকা কেটে নেওয়ার কোনও সুযোগই নেই। আমরা বিসিবিকে বলেছিলাম। আমরা বাকি ৫০ শতাংশই দাবি করছি। ক্লাব প্রত্যাখ্যান করলে আমরা বিসিবিকে জানাই।’
কিন্তু কলাবাগানের এই গড়িমসি করার কারণ কী? নাবিল সামাদ বলেছেন, পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ার পরেই ক্লাব থেকে ফটোকপি কাগজে টাকা কেটে নেওয়ার একটা বার্তা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কোনো ক্লাব নিয়ম অনুযায়ী এটা করতে পারবে না বলে তারা গা করেননি। পরে কলাবাগান কর্তৃপক্ষ বলেছে, ৪০ শতাংশ টাকা তারা সবার কাছ থেকে কেটে রাখবে। তবে কয়েকজন আদতে কোনো টাকাই পাননি।
তাসামুল বললেন, কলাবাগান এখন বল ঠেলে দিয়েছে বিসিবির কোর্টে। বোর্ডই টাকাটা দেবে, এমন কথাও নাকি তারা জানিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু বিসিবি এ ব্যাপারে কী ভাবছে? প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীকেও এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ তারা পেয়েছেন। এখন সংশ্লিষ্ট ক্লাবের সঙ্গে কথা বলে তারা বিষয়টা মীমাংসা করার চেষ্টা করবেন।
সারাবাংলা/এএম/এমআরপি