বিজ্ঞাপন

টোকিও চায় ভোট, ঢাকা বড় বিনিয়োগ

May 13, 2018 | 7:39 pm

।। এমএকে জিলানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদে আবারো বাংলাদেশের ভোট মিশনে নেমেছে  জাপান। পদটিতে জাতিসংঘের ভোটযুদ্ধে বাংলাদেশের সমর্থন পেতে চায় দেশটি। কূটনীতিক সূত্রগুলো বলছে, তাতে বাংলাদেশ রাজি বটে, তবে শর্ত রয়েছে। ভোটের  বিপরীতে বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিনিয়োগ চায় ঢাকা। সাথে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করতে জাপানের সরব সমর্থনও চায় বাংলাদেশ।

দ্বিপক্ষীয় ইস্যুতে দরকষাকষি করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এরই মধ্যে চার দিনের সফরে টোকিও গেছেন। ১৩ মে (রোববার) সেখানে পৌঁছান তিনি।

টোকিও’র কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২০২৩-২০২৪ মেয়াদে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদের ভোটে জাপানের অংশ নেওয়ার ঘোষণা অনেক আগের। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারো কোনো সে ভোটযুদ্ধে জয়ী হওয়ার মিশনে নেমেছেন। এই ভোটযুদ্ধে জাপান চাচ্ছে, গত ২০১৬-২০১৭ মেয়াদের মতো এবারো বাংলাদেশ এই পদে জাপানকে ভোট দিক।

বিজ্ঞাপন

সে নিয়েই কথা হবে কারো কোনো ও মাহমুদ আলীর মধ্যে।

সেবার ওই পদে বাংলাদেশ নিজেও ছিলো প্রার্থী। কিন্তু কূটনৈতিক লবি ও কথা চালাচালির পর জাপানকে সমর্থন জানিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয় ঢাকা। তখন অবশ্য জাপান থেকে ৬০০ কোটি ডলারের ঋণসুবিধার ঘোষণা আসে; যা ছিল বাংলাদেশে একক কোনো দেশের দেওয়া সর্বোচ্চ ঋণ সহায়তা।

২০২৩-২৪ মেয়াদে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের লড়াইয়ে বাংলাদেশ প্রার্থী থাকছে না— তা এরই মধ্যে পরিষ্কার করেছে কূটনৈতিক সূত্রগুলো। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভোটের বিনিময়ে এবারেও টোকিওর কাছে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ সুবিধা হাঁকাবে ঢাকা, এমনটাই জানা যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেবে ঢাকা। জাপানের কাছে আরো বিনিয়োগ এবং বৈশ্বিক ইস্যুতে সমর্থন চাওয়া হবে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে টোকিওর সরব সমর্থন চায় ঢাকা।

২০১৬ সালে গুলশানের হলি আর্টিজানের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একগুচ্ছ পরামর্শ বাস্তবায়নের জন্য বলেছিল দেশটি। ওই ঘটনার পর পর বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ কমেছিল এবং বাংলাদেশে কাজ করা জাপানের কর্মীরা দেশে ফিরে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে টোকিওর দেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক পরামর্শ বাস্তবায়ন করে ঢাকা, যাতে আস্থার সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হয়।

ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো আরো জানাচ্ছে, হলি আর্টিজানের ঘটনা যে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল, তা এরই মধ্যে টোকিওকে বোঝাতে পেরেছে ঢাকা। জাপানের দেওয়া নিরাপত্তা পরামর্শগুলোও যে বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছে, তা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তুলে ধরে অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরো বিনিয়োগ, বাণিজ্যখাতের পরিধি আরো বাড়াতে সহায়তা চাওয়া হবে।

সারাবাংলা/জেআইএল/এমএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন