বিজ্ঞাপন

ফিটনেস নিয়ে মাশরাফিদের ভাবনা-বদলে খুশি বিসিবি ট্রেনার

May 13, 2018 | 7:48 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

বেশ কয়েক দিন ধরেই দেশের ক্রিকেট যেন ঝিম মেরে আছে। প্রিমিয়ার লিগ, বিসিএল শেষ, এই কদিনে মিরপুরে ক্রিকেটারদের আনাগোনাও ছিল না। তবে ক্রিকেটারদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে নিয়মিত দেখা গেছে মিরপুরে। মাশরাফি, তামিমরা খরা মৌসুমেও নিজেদের নিয়মিত ঝালিয়ে নিয়েছেন জিমে। বিসিবির ফিটনেস ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়েনের কাছে ফিটনেস নিয়ে এই ভাবনাটা ইতিবাচক মনে হচ্ছে। রোববার (১৩ মে) মিরপুরে প্রস্তুতি ক্যাম্পের প্রথম দিন বাংলাদেশ দলের ফিটনেস ট্রেনার কথা বলেছেন সেটা নিয়েই।

আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ সামনে রেখে রোববার মিরপুরে শুরু হয়েছে জাতীয় দলের অনুশীলন। প্রথম দিন কোনো ব্যাটিং বা বোলিং অনুশীলন হয়নি, শুধু ইনডোরে নিজেদের ফিটনেস পরখ করে নিয়েছেন ক্রিকেটাররা। বিপ টেস্টে যেমন প্রথম হয়েছেন মিরাজ, আর রুবেল হয়েছেন সর্বশেষ। তামিম, মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকসহ সিনিয়ররাও ছিলেন প্রথম দিন। ভিল্লাভারায়েন বললেন, এর মধ্যে হাঁটুর চোট থেকে সেরে ওঠা তামিমই কাজ করছেন আলাদা করে। তবে পিঠের চোটে ভোগা তাসকিন, গোড়ালির চোটে ভোগা মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরাও স্বাভাবিক অনুশীলন শুরু করেছেন।

তিনি জানান, ‘প্রথম দিন হিসেবে ভালোমতোই হয়েছে। তাসকিন, মুশি, রিয়াদ সবাই ঠিকঠাক ছিল। তামিমও সকাল সকাল শুরু করেছে, তবে সে ঠিক আছে। তামিমের যেহেতু অন্যরকম সমস্যা, তাই তাকে একটু অন্য কিছুও করতে হয়েছে। ’

বিজ্ঞাপন

একটা সময় এই ফিটনেস নিয়েই খানিকটা অনীহা কাজ করত ক্রিকেটারদের। এখন সবাই কমবেশি নিজেদের ফিট রাখার ব্যাপারে সচেতন। এই ব্যাপারটা তৃপ্তি দিচ্ছে শ্রীলঙ্কান ট্রেনারকে, ‘হ্যাঁ, বড় একটা বদল ঘটেছে মানসিকতায়। আমি ক্রিকেটারদের সকালেই বলছিলাম, চার বছর আগে মে তে আমি এখানে এসেছি। এই চার বছর ভালোই কেটেছে। এমনকি আমি যখন কলম্বোতে ছিলাম তখনও জেনেছি তামিম নিজে নিজে তার কাজ করছে। এটা আমাকে বেশ আনন্দ দিয়েছে। কারণ আমি শুরু থেকেই চেয়েছিলাম, ক্রিকেটাররা নিজেদের দায়িত্ব নিজেরা নিতে শিখুক। এই মানসিকতার বদলটাই আমি বলব বড় একটা উন্নতি। আমি চাই, যখন আমি থাকব না, তখনও যাতে এই অবস্থা ওরা ধরে রাখে। ’

প্রসঙ্গক্রমে চলে এলো ফুটবল খেলতে গিয়ে চোট পাওয়ার ব্যাপারও। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে মোস্তাফিজের পর মুশফিক-নাসিরও ফুটবল খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছেন। মুশফিক সেরে উঠলেও নাসির লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে গেছেন মাঠ থেকে। তবে ভিল্লাভারায়েনের খানিকটা দ্বিমত আছে, ‘আমি তো চার বছরে এরকম কিছু প্রথম শুনলাম। মোস্তাফিজ তো হাঁটতে গিয়ে অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়েছিল। ওটা ফুটবল খেলতে গিয়ে হয়নি। আমি যতক্ষণ থাকি, আমি বলে দিই এখানে খুব বেশি আগ্রাসী খেলা যাবে না। যখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে কী হয় আমি বলতে পারব না। তবে এটা করতে গেলে ঝুঁকি তো থাকেই, এই ব্যাপারটাই সামাল দিতে হবে। ’

ফুটবল খেলতে গিয়েও নিজের দায়িত্ব নিজে নেওয়ার ব্যাপারটা বড় করে দেখলেন ট্রেনার, ‘ফুটবল খেলতে গিয়ে বিশ্বকাপ মিস করলে তো কিছু করার নেই। সেই দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও এই ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে। ’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন