বিজ্ঞাপন

দেশে ফিরে থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গ্রেফতার

August 22, 2023 | 2:08 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে জেলে পাঠিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোট। তাকে আট বছর জেল খাটতে হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন আদালত। ১৫ বছর নিজ ইচ্ছায় নির্বাসিত থাকার পর দেশে ফিরলে তাকে গ্রেফতার করে দেশটির পুলিশ। খবর আলজাজিরা।

বিজ্ঞাপন

থাইল্যান্ডের খাওসোদ মিডিয়া ও থাই পিবিএস’র তথ্যমতে, টেলিকমিউনিকেশন ব্যবসায়ী থাকসিন সিঙ্গাপুরে থেকে ব্যক্তিগত বিমানে করে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার পর ব্যাংককের ডন মুয়াং বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

বিমানবন্দরে পৌঁছানের পর দেশটির রাজার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা। এর পরপরই তাকে গ্রেফতার করে সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। পরে বিচারক তাকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে এসব অভিযোগকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন থাকসিন।

এদিকে বাবার দেশে ফেরাকে স্বাগত জানিয়েছেন মেয়ে পেতোংটার্ন সিনাওয়াত্রা। একটি পরিবারিক ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘থাইল্যান্ডে আবার স্বাগতম বাবা। এর মধ্যে দিয়ে তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করলেন।’

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আদালত থেকে তাকে ব্যাংকক কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্ট একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, থাকসিন সিনাওয়াত্রা আট বছর জেল খাটবেন।

এর আগে, ২০০১ সালে একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম থেকে ক্ষমতায় আসেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা। এরপর শাসকগোষ্ঠীর দ্বারা অবহেলিত এই দলটি থাই রাজার কাছে দেশ শাসন করার জন্য আবেদন করেছিল। এর পাঁচ বছর পর ব্যাপক বিজয় নিয়ে আবারও ক্ষমতায় আসেন তিনি। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে থাকসিন যখন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে ভাষণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, সেই সময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী।

দেশটির মুসলিম অধ্যুষিত দক্ষিণ প্রদেশে সংঘাত চলাকালে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত থাকসিন। এছাড়া তার শাসনকালে ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ নামক এক অভিযানে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়, যার কারণে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়। এরপর ২০০৮ সাল থেকে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত ছিলেন তিনি। নির্বাসনকালে তার বেশির ভাগ সময় কাটে দুবাইতে।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভুগছে থাইল্যান্ড। নির্বাচনের দাবি ও অভ্যুত্থানের বিপক্ষে থাকসিনপন্থীরা বিক্ষোভ করছেন। একইসঙ্গে সেনা বাহিনী সমর্থিত লোকজনরাও বর্তমান সরকারের পক্ষে রাস্তায় নেমেছে।

সারাবাংলা/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন