বিজ্ঞাপন

পুরানো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় শাস্তি ‘কমতে’ পারে

August 29, 2023 | 7:49 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম ও বিষয়বস্তু পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের পর থেকেই পুরানো আইনের মামলায় শাস্তির বিধান নিয়ে নিয়ে নানা মহলে নানান প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যেহেতু নতুন আইনে অনেক ক্ষেত্রে শাস্তি কমেছে, কারাদণ্ড বাদ দিয়ে জরিমানার বিধান যুক্ত করা, তাই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা হবে। সংবিধানের সঙ্গে আইনটি যাতে সাংঘর্ষিক না হয় সে বিষয়টি মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, ‘সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে পরিষ্কার লেখা আছে যে, অপরাধ করার সময় যে আইন বলবৎ ছিল সে আইনেই মামলা ও বিচার হবে। যদি সংশ্লিষ্ট নতুন আইন প্রণয়ন হয় সেখানে পুরনো আইনের চেয়ে সাজা অধিক হয় তাহলে সেটা দেওয়া যাবে না। পুরনো আইনেই মামলা চলবে।’

তিনি বলেন, ‘আইনটি যখন সংসদে পাস হবে তখন এর বিস্তারিত জবাব দিতে পারব।’ উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘পুরনো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২১ ধারায় শাস্তি ছিল ১০ বছর। নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে পাঁচ বছর করা হয়। বিজ্ঞ আদালত অপরাধের সময় যে আইন ছিল সে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারেন।’ আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা এমন কিছু করব না, যাতে সংবিধানের সঙ্গে আইনটি সাংঘর্ষিক হয়।’

বিজ্ঞাপন

আইনটি সংসদে পাস করার আগে অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি বলেছিলাম সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে। আমরা ডিজটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করেছি। আইনটি ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত করেছে। এখন সংসদে যাবে। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর সংসদ শুরু হচ্ছে। আমরা এই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সংসদীয় কমিটির সঙ্গে আইনটি নিয়ে আলোচনা করব।’

তিনি বলেন, ‘আইনটি নিয়ে নতুন বোতলে পুরনো মদ, যে লাউ সেউ কদু’- এমন মন্তব্য অনেকেই করছেন। আমি তাদের উদ্দেশে বলব আগের আইনের ২১ ধারায় সাজা ছিল ১০ বছর, সেটা কমিয়ে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে পাঁচ বছর করা হয়েছে। আবার ২৮ ধারায় মানহানিতে তিন বছর শাস্তি ছিল। সেটা বাদ দিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। এগুলো কি পরিবর্তন না?’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক ধারা ছিল অ-জামিনযোগ্য। সেগুলোর প্রায় সবগুলো জামিনযোগ্য করা হয়েছে। পরিবর্তনের যেকোনো সংজ্ঞায় এটাকে পরিবর্তন বলে।’ ডিজিটাল সিকিউটিরি আইনে যে আপত্তি ছিল তা নতুন আইনে অনেকটাই দূর করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংঘটিত অপরাধ দমনে ২০১৮ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’। আইনটি প্রয়োগের শুরু থেকেই এ নিয়ে বির্তক ছিল। বিশেষ করে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও বাক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ভাবতেন সংশ্লিষ্টরা। যে কারণ আইনটি কখনো বাতিল, কখনো সংশোধনের দাবি গত পাঁচ বছর ধরেই উঠে আসছে।

এই দাবির মধ্যেই গত ৭ আগস্ট ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনটির নাম পরিবতর্ন করে সাইবার সিকিউরিটি আইন নামে নতুনভাবে মন্ত্রিসভা নীতিগত অনুমোদন দেয়। এর পর সোমবার (২৮ আগস্ট) চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এটি এখন সংসদের পাস হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন