বিজ্ঞাপন

কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ

May 14, 2018 | 5:41 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: কোটাব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা শাহবাগে অবস্থান নেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোটা সংস্কার নিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে আশ্বাসের পরও আন্দোলনকারীরা প্রজ্ঞাপনের জন্য আলটিমেটাম দেওয়ার কারণে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেন।

সোমবার (১৪ মে) মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এমন প্রতিক্রিয়া জানান। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক মন্ত্রী এসব কথা জানান।

জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা প্রজ্ঞাপনের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে— এমন তথ্য উত্থাপন করা হয় মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে। এতে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, আমি তো বলেছি, এটা নিয়ে কাজ চলছে। এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাই কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেই কিছুটা সময় লাগে। এরপরও তারা থ্রেট করছে। এটা খুবই বাড়াবাড়ি।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘কোটা নিয়ে বিভ্রান্ত্রি ছড়ানো হচ্ছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা যায় কি না, একটু ভাবুন।’

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন প্রক্রিয়াধীন। প্রজ্ঞাপনের জন্য সারসংক্ষেপ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই আমরা নির্দেশনা পাব।

তবে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে কোটা সংস্কার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি। যদিও পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল শেরেবাংলানগরে তার কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রী নিজেই কোটা সংস্কারের বিষয়টি দেখছেন বলে মন্ত্রিপরিষদের আজকের (সোমবার) বৈঠকে জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে গত ৮ এপ্রিল রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। তখন পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস, জলকামান ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে এ আন্দোলন ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। এ কারণ আন্দোলনকারীরা প্রজ্ঞাপন চেয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (১৪ মে) দেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করা হয়। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির এক পর্যায়ে দুপুর থেকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।

প্রজ্ঞাপন জারির ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

সারাবাংলা/এইচআই/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন