বিজ্ঞাপন

দুপুরে প্রত্যাহার, বিকেলেই এপিবিএনে পদায়ন এডিসি হারুনকে

September 10, 2023 | 7:53 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) পদ থেকে প্রত্যাহারের কয়েক ঘণ্টা পরেই পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে নতুন দায়িত্বে পদায়ন করা হয়েছে। এবারে তিনি দায়িত্ব পেয়েছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্ব।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে পেটানোর অভিযোগ ছিল এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ নিয়ে বিভাগীয় তদন্তের কথা জানিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে ডিএমপি কমিশনারের সই করা এক আদেশে এডিসি হারুনকে রমনা জোন থেকে প্রত্যাহার করা হয়। তাকে সংযুক্ত করা হয় পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে।

আরও পড়ুন- ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পিটুনি: এডিসি হারুন প্রত্যাহার

বিজ্ঞাপন

পরে রোববার সন্ধ্যাতেই পুলিশ সদর দফতর থেকে নতুন এক আদেশ এসেছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সই করা প্রজ্ঞাপনে তাকে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্বভার অর্পণ করতে হবে হারুন-অর-রশিদকে। তা না করলে ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) হিসেবে বিবেচিত হবেন।

এর আগে শনিবার রাতে শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে এডিসি হারুন ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য পিটিয়ে আহত করেন বলে অভিযোগ ওঠে। আহতরা হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- ‘থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের ২ নেতাকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে’

আহত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে একজন বাসায় ফিরলেও আরেকজন এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ছাত্রলীগের নেতারা জানান, এডিসি হারুন শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সামনে এক নারীর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ওই নারীর স্বামী ছাত্রলীগের ওই দুই নেতাকে নিয়ে সেখানে হাজির হন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন সেখান থেকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর তিনি কয়েকজন পুলিশ পাঠিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যান। সেখানে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেধড়ক মারধর করা হয়।

এর আগেও একাধিকবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন এডিসি হারুন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হওয়া ও আন্দোলনকারী শিক্ষকদের পিটুনি ছাড়াও সহকর্মীকে থাপ্পড় মেরেও সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। সর্বশেষ তার মারধরের শিকার হলেন ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে এ অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক রোববার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন