বিজ্ঞাপন

‘১৪ বছরে সফল হননি, আগামী এক-দেড় মাসেও পারবেন না’

September 18, 2023 | 8:36 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আন্দোলন, সংগ্রাম, বিক্ষোভ, অবরোধ, অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, সরকার পতনের আন্দোলন করে আপনারা গত ১৪ বছরে সফল হননি; আগামী এক-দেড় মাসেও সফল হতে পারবেন না। আপনারা আবারও ব্যর্থ হবেন, আবারও চরম হতাশায় নিমজ্জিত হবেন। আপনারা এ ভুল পথ থেকে বেরিয়ে আসুন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে ‘কৃষি বিপ্লব ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘একটু আগেই আমি শুনলাম, বিএনপি বলছে আগামী ১৫ দিন তারা প্রতিদিনই বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে। এ হুমকিও দিচ্ছে, ঢাকা শহরে তারা অবস্থান নেবে এবং রাজধানীকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে। আপনারা এ ভুল পথ থেকে বেরিয়ে আসুন। গত ১৪ বছরে পারেননি, আগামী এক-দেড় মাসেও পারবেন না। আপনারা ফের ব্যর্থ হবেন। ব্যর্থতার গ্লানি নেওয়ার চেয়ে আপনাদের উচিত হবে নির্বাচনে আসা ও জনগণের রায় মেনে নেওয়া।’

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশে একটি সক্ষম বিরোধীদল থাকুক। এটা যেকোনো দেশের সরকারের জবাবদিহিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন এত উন্নয়ন করেছি, সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ উন্নয়নের রেফারেন্স কান্ট্রি, উন্নয়নের রোল মডেল। ক্লিনটন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি) থেকে শুরু করে যত প্রেসিডেন্ট আছেন- সবাই বাংলাদেশকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে, সকল ফোরামে বাংলাদেশ প্রশংসিত। আমরা চাই, সারা জাতিই চায় এ ধারা অব্যাহত থাকুক। আমরা উন্নয়নের মহাড়কে, সেটিকে আরও গতিময় করতে চাই। এর জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা লাগবে। দেশে একটি শান্তিময় পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

বর্তমানে সরকারের আমলে কৃষি উৎপাদনে বিরাট সাফল্য এসেছে জানিয়ে মন্ত্রী জানান, ‘কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশ পরিচালনা করা হচ্ছে। সার্বিক উন্নয়নে আগামীতেও কৃষি অনেক গুরুত্ব রাখবে।’

তিনি বলেন, ‘গ্রামে রাস্তার পাশের জমি কিনে মানুষ ঘরবাড়ি বানাচ্ছে। ফলে জমি কমছে। অন্যদিকে, মানুষ বাড়ছে। এটা আমাদের জন্য বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ। আর নতুন চ্যালেঞ্জ যুক্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন প্রযুক্তি আনতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘এ দেশের দিন বদলের মূল নায়ক কৃষক। বাংলাদেশের কৃষি আমাদের রক্ষাকবচ। উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কৃষি ভূমিকা পালন করছে। কৃষি সাফল্য না দেখালে আজ মূল্যস্ফীতি আরও অনেক বাড়তো।’

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী মো. ফজলুর রহমান খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. শাহজাহান কবীর। বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. ইকরাম-উল-হক, ফাও’র কৃষি বিশেষজ্ঞ মঈন উস সালাম, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়ার্টার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক খন্দকার মু. রাশেদ ইফতেখার, ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের পরিচালক শেখ ফজলুল হক মনি, বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন