May 15, 2018 | 12:32 pm
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: খুলনা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোট ডাকাতি চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ভোট গ্রহণ শুরুর আড়াই ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (১৫ মে) নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তবে ভোট ‘ডাকাতির’ অভিযোগ করলেও বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবেন বলে জানান রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা ডাকাতির যে চরিত্র, অর্থাৎ কেড়ে নেওয়া, ধরে নেওয়া বা আটক রাখা, রক্তাক্ত করা—গৃহস্থের বাড়িতে ডাকাতি করলে যা হয়, গৃহস্থকে রক্তাক্ত করা, জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে যাওয়া— ঠিক তারা (আওয়ামী লীগ) সেভাবে করছে। ধানের শীষের এজেন্টদের আঘাত করছে, মহিলা এজেন্টদের হুমকি দিচ্ছে, বের করে দিচ্ছে— এটা তো ডাকাতিরই সমস্ত চিহ্ন- নিদর্শন।’
‘তবুও আমাদের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন। ভোটাররা এর মধ্যেও যদি সুযোগ পায় এই অবিচারের, এই জুলুমের, এই সন্ত্রাসের জবাব দেবে’— বলেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে ভোট মানেই উৎসব। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার এই ভোট উৎসবকে লাশের বাড়িতে পরিণত করেছে। একটা বাড়িতে নিকট জনের মৃত্যু হলে যেমন শোকের ছায়া নেমে আসে, তেমনি নির্বাচনের মাঠে শোকের ছায়া নামিয়ে দিয়েছে এই সরকার।’
‘ধানের শীষের মহিলা এজেন্টদের বাড়ি-বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তারা যেন ভোট কেন্দ্রে না যায়, ভোট কেন্দ্রে গেলে তারা হেনস্থা হবে। আর পুরুষদের ওপর তো হামলা চলছেই। ধানের শীষের এজেন্ট- ভোটারদের হুমকি দেওয়ার সিংহভাগ দায়িত্ব পালন করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী’— অভিযোগ রিজভীর।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে জয় লাভ ক্ষমতাসীনদের করায়ত্ত করতে তারা (ক্ষমতাসীন দল) মরিয়া। অশান্তি আর নিগ্রহে ভরপুর খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। শেখ হাসিনার আমলে নির্বাচন মানে বিরাট ধাপ্পা। সরকারের অনেক মন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশন শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অঙ্গীকার করেছিলেন। বলেছিলেন সেনা বাহিনী দেওয়ার দরকার নেই। বিভিন্ন জেলা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ডেপ্লয় করা হয়েছিল সেখানে। তারা সেখানে গ্রিক মূর্তির মতো নিশ্চল, নির্বাক, নিথর হয়ে আছে।’
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা’ ভোটারদের বাধা দিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ধানের শীষের এজেন্টদের মারধর করছে, তাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। এখন জনগণ উপলব্ধি করছেন যে, আওয়ামী সরকার কেন সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে চায় না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তারা দায়িত্ব পালন করাতে চায়, কারণ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী শেখ হাসিনা যেভাবে বলবে সেভাবে কাজ করবে। যেমন নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলেও শেখ হাসিনার কথা অক্ষরে, অক্ষরে পালন করে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেনসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এজেড/একে