বিজ্ঞাপন

জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় গিয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী

May 15, 2018 | 7:01 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের নির্যাতনের শিকার হয়ে আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মী মানবেতর জীবন যাপন করছে। বাংলাদেশর মানুষের জীবনে যাতে এ ধরণের ঘটনা আর না ঘটে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) গণভবনে আয়োজিত ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের পরিবার এবং আহতদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কাজই তো ছিল খুন-খারাপি। আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। মেয়র ইলেকশনের পর প্রায় ছয়-সাত জনকে হত্যা করলো। এ রকম সারা বাংলাদেশে তারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। তাদের অত্যাচারে কত মানুষ মারা গেছে, কত মা সন্তানহারা হয়েছে, কত বোন বিধবা হয়েছে, কত ছেলে পিতৃহারা হয়েছে তার হিসেব নেই।’

বিজ্ঞাপন

‘জিয়াউর রহমান আসার পর থেকে শুরু হয় আওয়ামী লীগের ওপর নির্যাতন। খালেদা জিয়া এসেও একই কাজ করলো। ২০০১ সালের পর থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। ঘরে থাকতে পারেনি কেউ, বাড়িতে থাকতে পারেনি কেউ, মেয়েদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে, রাস্তায় ফেলে। একদিকে পুলিশ অন্যদিকে বিএনপির ক্যাডাররা। যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছে সেটাতো আমরা ভুলে যায়নি।’

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সে ভোট চুরিতে এক্সপার্ট, মানুষ খুনে এক্সপার্ট। দুর্নীতি করে, কালোটাকা সাদা করে, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে দেশের মানুষকে নিয়ে তামাশা করেছে। কাজেই বিচার একটা হয়ে গেছে, কোরআন শরীফেই তো আছে এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করলে কি হয়। এটা যে অন্যায়, সেটার শাস্তি সে পাচ্ছে।’

‘তাকে আবার বলা হচ্ছে, ‘গণতন্ত্রের মা’। গণতন্ত্র হলো কী-ভাবে, ৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি যে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থেকে খুব বড়াই করছিল। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলো। আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে জনগণ। কারণ জনগণের ভোট চুরি করে তারা ক্ষমতায় গিয়েছিল। জনগণ তা মেনে নেয়নি। যার ফলে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছিল। ৩০ মার্চ সে পদত্যাগ করে’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর সেনাবাহিনীতে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর আকাশ-বাতাস তখন ভারি ছিল বিধবার কান্নায়, সন্তানহারা পিতার কান্নায়। এই অবস্থা ছিল। ১৯টা ক্যু হয়েছে এই দেশে। এ রকম দিন যেন দেশের মানুষের কপালে আর না আসে। মানুষ এখন স্বস্তিতে বসবাস করছে, দুবেলা খাবার পাচ্ছে। যারা গৃহহারা তাদের ঘর করে দিচ্ছি, মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শও তো তাই। বঙ্গবন্ধুর কারাগারের রোজনামচা পড়লেই দেখবেন সারাজীবন কীভাবে সারা জীবন তিনি কষ্ট করে গেছেন।

আজ আমরা উত্তত দেশ হয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ আমরা স্যাটেলাইট পাঠিয়ে বাংলাদেশকে একটা অন্য মর্যাদায় নিয়ে গেছি। মাত্র ৯ বছরে আমরা বাংলাদেশের যে উন্নয়ন করেছে, অন্য কেউ সেটা করতে পারেনি। দেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের ক্ষমতায় নিয়েছে বলেই তো আমরা সেটা করতে পেরেছি। ওরা তো করেনি, ওরা করবে কেন। ওরা রাজাকার, আলবদর, যুদ্ধাপরাধী তাদেরকে মন্ত্রী বানিয়েছে। জাতির পিতার খুনিকে ভোট চুরি করে এমপি বানিয়েছে। দুর্নীতিবাজ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসীদের নিয়ে ক্ষমতায় গিয়েছে। তাদের হৃদয়ে-পেয়ারে পাকিস্তান, বাংলাদেশ নাই এটা বাস্তব কথা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাবা-মা ভাই বোন হারিয়ে আমি দেশের মানুষকে পেয়েছি, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পেয়েছি। আমার একটাই লক্ষ্য কীভাকে দেশের মানুষের জন্য কাজ করা যায়। তাদের সেবা করা যায়। যতদূর করতে পেরেছি আল্লার কাছে শোকর করি, যেন আরও ভালো থাকে বাংলা দেশের মানুষ। একটা মনুষও যেন গরীব না থাকে, কষ্ট না পাই। খুনি জালেমদের হাতে যেন দেশটা না যায়।’

সারাবাংলা/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন