বিজ্ঞাপন

মানবিক আচরণে পুলিশকে আস্থা অর্জন করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

May 16, 2018 | 1:54 pm

।। সারাবাংলা ডেস্ক।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, জনগণের সঙ্গে আপনাদের একনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকতে হবে। সমাজ থেকে অপরাধ দূর, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষায় আপনাদের কাজ করে যেতে হবে। মানুষকে সেবা ও মানবিক আচরণের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। যা গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে নারী-শিশু ও প্রবীণদের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমরা সেটা করতে পারবেন।

রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে ৩৫ বিসিএসে নিয়োগে পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের সমাপনী কুচকাওয়াজ ও সালাম গ্রহণ শেষে বক্তৃতায় বুধবার (১৬ মে) প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ বিপদে পড়লে পুলিশের কাছে সাহায্য চায়। আমরা চাই, আমাদের জনগণ যথাযথ সেবা পাবে। জনগণের প্রত্যাশা আমাদের পূরণ করতে হবে। তার জন্য দরকার চৌকস, দক্ষ, পেশাদার পুলিশ সার্ভিস। সেই লক্ষ্যে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

বিজ্ঞাপন

পুলিশ বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসি। ক্ষমতায় এসে আমরা পুলিশের বাজেট বাড়িয়েছি। আমরা ভাতা বাড়িয়েছি, পুলিশ স্টাফ কলেজ নির্মাণ করেছি। ২০১৪ সালে পুলিশ বাহিনীতে ৫০ হাজার সদস্য বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের জনসংখ্যা বাড়ছে, জনসংখ্যার তুলনায় পুলিশ বাহিনীকে লোকবল কম। এই কারণে আমরা পুলিশ সদস্য বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছি যাতে পুলিশের ওপর চাপ কমে।’

‘পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন নতুন ইউনিট গঠন করা হয়েছে। রংপুর রেঞ্জ পুলিশ করা হয়েছে, নারী ব্যাটালিয়ন ইউনিট, নতুন নতুন থানা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া শিল্প এলাকায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ গঠন করা হয়েছে। কনস্টেবল থেকে এসআইদের জন্য ঝুঁকিভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা জাতীয় হেল্প লাইন, অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের ব্যবস্থা করেছি। যাতে জনগণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যায়। ২০১৫ সাল থেকে পুলিশ বাহিনীকে নারী সার্জেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা এখন কাজ করছে’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। কৃষি, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সব সেক্টরে বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন লক্ষ করা যাচ্ছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত বই পাচ্ছে। ছেলেমেয়েদের বই-খাতা কেনার দায়িত্ব আমরা নিয়েছি। অভিভাবকদের কোনো টাকা খরচ করতে হয় না। অনার্স মাস্টার্স এমনকি পিএইচডি যারা করবে তারাও বৃত্তি পাবে। আমরা ২ কোটি ৩ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিচ্ছি।’

সরকারের লক্ষ্য প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন করা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারো কাছে হাত পেতে নয়, আমরা মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই। আমরা প্রথম ক্ষমতায় আসার পর বাজেট ছিল ৬১ লাখ কোটি টাকা। আমরা সেই বাজেট সাড়ে লাখ টাকা কোটি টাকায় উন্নীত করেছি।’

প্রশিক্ষণ শেষ করা নতুন পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আপনাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন। জঙ্গিবাদ দমনের মতো মাদক ও অপরাধ দমনে আমরা সচেষ্ট হবেন। আপনাদের প্রতি আমার দোয়া ও আশীর্বাদ রইল।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় সারদা পুলিশ একাডেমিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠান শেষ করে বিকেলে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

সারাবাংলা/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন