বিজ্ঞাপন

অজিদের উড়িয়ে দুইয়ে দুই দক্ষিণ আফ্রিকার

October 12, 2023 | 10:38 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

অটল বিহারি বাজপেয়ী স্টেডিয়ামে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে এক প্রকার উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করে কুইন্টন ডি ককের টানা দ্বিতীয় শতকে ৩১১ রানের পাহাড়সম পুঁজি দাঁড় করায় প্রোটিয়ারা। জবাবে কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনিগিডি, মার্কো জ্যানসেনদের পেস তোপে ৭০ রানে ৬ উইকেট হারিয়েই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। তবে টেল এন্ডারদের মান বাঁচানো ইনিংসে নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্কোর গড়ার লজ্জা থেকে রেহাই মেলে তাদের। তবে তাতেও মাত্র ৪০.৫ ওভারে ১৭৭ রানে অল আউট হয় অজিরা। আর প্রোটিয়ারা পেয়ে যায় ১৩৪ রানের বিশাল জয়।

বিজ্ঞাপন

লক্ষ্ণৌয়ের এই স্টেডিয়ামে রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডই কেবল পক্ষে কথা বলছিল অস্ট্রেলিয়ার। তবে উইকেট ম্যাচের শুরুর দিকে কিছু না থাকলেও পরের ইনিংসে ঠিকই সুবিধা আদায় করে নিয়েছে প্রোটিয়া পেসাররা। আর তাদের বিপক্ষেই রান তাড়ার শুরুতে দুই অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং মিচেল মার্শ আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন। তবে উইকেট থেকে সুইং-সিম, বেশ মুভমেন্ট পাচ্ছিলেন দুই পেসারই। এনগিডি লাইন-লেংথের দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণে পাঁচ ওভারের স্পেলে মাত্র ৯ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। ৫ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ১৬। চাপটা দুই ওপেনারের উপরই চেপে বসেছিল ভালো মতোন। নিজেদের শক্তির জায়গা, পুলে মিসটাইমিং হচ্ছিল মার্শের, ওয়ার্নার বেশ বাইরের বলে কাট করে একেবারে হাতে তুলে দিলেন!

জ্যানসেনের বলে মাত্র ৭ রান করে মার্শ আউট হওয়ার পর ওয়ার্নারও একই পথ ধরেন ১৩ রান করে। এনগিডি-জ্যানসেনের স্পেল শেষে আসেন দক্ষিণ আফ্রিকা দলের প্রধান পেসার কাগিসো রাবাদা। আর এসেই কিছুটা সময় নিয়ে ফেরালেন ভয়ংকর স্টিভেন স্মিথকে। তাতেই পাওয়ার প্লে’র ১০ ওভার শেষে ৫০ রান করা অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারই সাজঘরে।

এরপরে আবারও আঘাত হানলেন রাবাদা। এবার তার শিকার জস ইংলিশ। ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারানো অজিরা তখন ভরসা খুঁজছিলেন ম্যাক্সওয়েল-লাবুশেনের ব্যাটে। তবে এবার আঘাত স্পিনার কেশব মহারাজের। ম্যাক্সওয়েল ১৬ বলে ৩ রানে আউট হন। দলীয় ৭০ রানে রাবাদার বলে ডাউন দ্য লেগের বলে ডি ককের দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার বনে আউট হয়ে যান স্টয়নিস। এতেই অস্ট্রেলিয়ার জয়ের আশা নিভে যায়।

বিজ্ঞাপন

৭ম উইকেটে মিচেল স্টার্ককে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ে লজ্জা এড়ানোর লড়াই চালাতে থাকেন লাবুশেন। এই দুইজন মিলে ৭৭ বলে ৫০ রানের জুটিও গড়ে ফেলেন। লাবুশেন ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে অর্ধশতকের দিকে ছুটছিলেন। তবে তাকে সঙ্গ দিতে থাকা মিচেল স্টার্ক ২৭ রানে স্টার্ক আউট হয়ে যান জ্যানসেনের বাউন্সারে ক্যাচ দিয়ে। ১৩৯ রানে স্টার্ক যাওয়ার পর লাবুশেনও একই পথ ধরেন ৭৭ বলে ৪৬ রানে আউট হয়ে। কামিন্স এসে আগ্রাসী রুপ ধারণ করে ৪টি চারের মারে ২২ রান এনে আউট হয়ে যান শামশির বলে, ওই ওভারেই অস্ট্রেলিয়া ১৭৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ৫৫ বল বাকি থাকতে।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনটি উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা। আর দুটি করে উইকেট নেন মার্কো জ্যানসেন, কেশব মহারাজ এবং তাবরিজ শামসি।

এর টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক। স্টার্ক-হ্যাজলউডের নিয়ন্ত্রিত বোলিং দেখেশুনে খেলতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারপর ধীরে ধীরে হাত খুলতে শুরু করেন প্রোটিয়ারা। শেষে ডি ককের সেঞ্চুরি আর এইডেন মার্করামের অর্ধশতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩১১ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বিজ্ঞাপন

য়ানডে বিশ্বকাপের সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন জিটিভি। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র‍্যাবিটহোলবিডি‘তেও দেখা যাবে এবারের বিশ্বকাপ।

সারাবাংলা/এসএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন