স্বাভাবিক হচ্ছে রাঙ্গামাটি শহরে পানি সরবরাহ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রাঙ্গামাটি: জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের (ডিপিএইচই) টানা তিনদিন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর তা সচল করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে করে বুধবার (১৮ অক্টোবর) ভোর থেকেই শহরে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানিয়েছে ডিপিএইচই। গত রোববার (১৫ অক্টোবর) থেকে গতকাল মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।

রাঙ্গামাটি শহরে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা সচল হতে শুরু হওয়ায় সুপেয় ও ব্যবহার্য পানি পেয়ে দুর্ভোগ কমছে শহরবাসীর। বিপিডিবি জানিয়েছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের বকেয়া টাকা পরিশোধের ‘কমিটমেন্টের’ ওপর বিচ্ছিন্ন সংযোগ পুনরায় সচল করেছে বিপিডিবি রাঙ্গামাটির বিতরণ বিভাগ।

রাঙ্গামাটি ডিপিএইচই নির্বাহী প্রকৌশলী পরাগ বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘বুধবার ভোর ৪টা থেকে রাঙ্গামাটি শহরে পানি সরবরাহ শুরু হয়েছে। এখনো সব এলাকায় পানি সরবরাহ দেওয়া না গেলেও আমরা ধাপে ধাপে সব এলাকায় পানি সরবরাহ করব। একসঙ্গে যাতে করে সব এলাকায় পানি সরবরাহ করা যায়, এমন একটি প্রকল্পের কাজ সামনে শুরু হবে।’

আরও পড়ুন: ডিপিএইচইর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, রাঙ্গামাটিতে বন্ধ পানি সরবরাহ

পরাগ বড়ুয়া আরও বলেন, ‘রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্যারও বকেয়া টাকা পরিশোধের বিষয়টি দেখছেন। পুরনো বকেয়া টাকা কমিয়ে আনতে থোক বরাদ্দ থেকে কিছু টাকা দেওয়া হবে। আগামীতে বকেয়া টাকা যেন না বাড়ে আমরা সে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) রাঙ্গামাটি বিতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘রাঙ্গামাটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল আমাদের একটি কমিটমেন্ট দিয়েছে বকেয়া টাকার থেকে ১০ লাখ টাকা দেবেন। সেটির ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হয়েছে।’

এর আগে, গত রোববার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল বিপিডিবি রাঙ্গামাটি বিতরণ বিভাগ। জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি রাঙ্গামাটিতে তিনটি গ্রাহক ক্যাটাগরিতে পৌর এলাকায় পানি সরবরাহ করে। প্রাইভেট ক্যাটাগরিতে রয়েছে বিভিন্ন দোকান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকারি ক্যাটাগরিতে রয়েছে বিভিন্ন সরকারি অফিস ও অফিসের স্টাফ কোয়ার্টার। আর তৃতীয় ক্যাটাগরি হলো আবাসিক খাত। জেলা শহরে জনস্বাস্থ্যের চার হাজার ৩৫৮টি বৈধ সংযোগ রয়েছে।

ডিপিএইচইর হিসাব বলছে, গ্রাহকদের কাছে তাদের পানির বিল বকেয়া চার কোটি টাকারও বেশি। অন্যদিকে ডিপিএইচইর কাছে সাড়ে চার কোটি টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পায় বিপিডিবি। এ হিসাব অনুযায়ী পাওনার চেয়ে দেনা বেশি আছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের।

সারাবাংলা/পিডিএনআর/এনএস