বিজ্ঞাপন

শচীনের অবদানে বাংলাদেশ সফর করেছিল ভারতের দলটি

May 16, 2018 | 6:24 pm

সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

আগেও একাধিকবার ভারতের দৃষ্টিহীন ক্রিকেট দলের সমর্থনে এগিয়ে এসেছিলেন ক্রিকেট লিজেন্ড শচীন টেন্ডুলকার। বিশ্বজয়ী দৃষ্টিহীন দলের স্বীকৃতি ও আর্থিক সাহায্যের জন্য নিজেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, বিসিসিআইয়ের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে সবশেষ তিনি বিসিসিআইয়ের কাছে আবেদন জানাননি কিংবা কোনো অনুরোধও করেননি। নিজের অর্থ দিয়ে ভারতের হুইলচেয়ার ক্রিকেট দলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শচীন।

বাংলাদেশে হয়ে যাওয়া এশিয়া কাপে অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন জনের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছিল ভারতীয় হুইলচেয়ার দল। আর্থিক অনটনের মধ্যে থাকা ভারতীয় হুইলচেয়ার দলটি স্পনসর জোগাড় করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল শচীনের কাছেও। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেট। ভারতীয় বোর্ডের কাছে কিংবা কোনো স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কাছে যাননি, নিজেই সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন শচীন।

হুইলচেয়ার ক্রিকেট ইন্ডিয়ার সেক্রেটারি জেনারেল প্রদীপ রাজ জানান, আমি শচীনকে ইমেইল করেছিলাম দলের জন্য স্পনসর এনে দেওয়ার অনুরোধ করে। তিন দিনের মধ্যেই শচীনের অফিস থেকে ফোন করে জানতে চাওয়া হয় আমাদের ঠিক কত পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন। আমরা সেটা জানানো মাত্রই আমাদের কাছে সেই অর্থ পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, এশিয়া কাপে অংশ নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সর্বভারতীয় হুইলচেয়ার ক্রিকেট সংস্থার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন শচীন। রাজ আরও জানান, আমাদের ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার দরকার ছিল। আমি অনেক কষ্টে একটি স্পন্সর যোগাড় করি। তিনি আমাদের ২ লাখ টাকা দেন। বাকি টাকার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছিলাম। এমন সময় শচীনের কথা মাথায় আসে। কষ্ট করে তার ইমেইল অ্যাড্রেস যোগাড় করি। তাকে ইমেইল করি, তার সাহায্য চাই। তিনি যেভাবে আমাদের সাড়া দিয়েছেন তাতে আমরা অতিভূত। দলের ক্রিকেটাররা শচীনের অবদানে দারুণ খুশি। তারা প্রত্যেকেই অন্তত একবার হলেও তার সঙ্গে দেখা করে ধন্যবাদ জানাতে চেয়েছে।’

সেই টাকায় বাংলাদেশ সফর করেছিল ভারতীয় হুইলচেয়ার দল। তিন ম্যাচের সিরিজে স্বাগতিকদের ২-০ ব্যবধানে সিরিজও হারিয়েছিল দলটি। প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যায়। ২০১৬ সালে বাংলাদেশকে ভারতের মাটিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারতীয় হুইলচেয়ার দলটি।

বিজ্ঞাপন

রাজ আরও যোগ করেন, শচীনের টাকা না পেলে আমাদের দেশের বাইরে গিয়ে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলা হতো না। আমরা বাংলাদেশে খেলতে যেতে পারতাম না। এমন সময় এসেছিল যে বাংলাদেশকে সিরিজটি আয়োজন বাতিল করতে বলতে চেয়েছিলাম। পরে সেই টাকায় আমরা ১৯ সদস্যের দল বিমানের টিকিট কাটি। বেঁচে যাওয়া টাকা থেকে প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি সিরিজ ফি বাবদ। এছাড়া, একজন বিজেপি মন্ত্রী যাকে আমরা ভোজপুরি অভিনেতা হিসেবেই চিনি, মনোজ তিওয়ারি আমাদের প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ১০ হাজার করে টাকা দিয়েছেন। প্রথমবারের মতো আমার ছেলেরা একটা বিদেশি সিরিজ খেলে ২০ হাজার করে টাকা আয় করেছে, যারা জাতীয় দলের মতো নীল জার্সি গায়ে চাপানোর স্বপ্নটা দেখেছিল।’

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন