বিজ্ঞাপন

ঢাকার জলাবদ্ধতা ঠেকাতে ৫৫০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব

May 17, 2018 | 8:47 am

।। জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ঢাকার ১৩টি স্থানের জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। খাল খননসহ পানি নিষ্কাশন সংক্রান্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৫শ ৫০ কোটি টাকা। ‘ঢাকা মহানগরীর ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও খাল উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা ওয়াসা।

ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মহানগরীরর ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং খাল উন্নয়নের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, শঙ্কর, জিগাতলা, রায়েরবাজার এলাকা এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, শের-ই বাংলা নগর, দারুস সালাম, মিরপুর, পল্লবী, ক্যান্টনমেন্ট, উত্তরা ও বিমানবন্দর এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করা হবে। এছাড়া প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত বিদ্যমান খালগুলো খনন ও প্রশস্ত করে তীর উন্নয়ন এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণের মাধ্যমে খালের দুই তীরের পরিবেশ উন্নত করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণ শেষ করা হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘চলমান সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ পানি ও নগর এলাকায় শতভাগ স্যানিটেশনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কথা উল্লেখ রয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টির সময় পানি দ্রুত নিষ্কাশনসহ নতুন ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও খালগুলোর উন্নয়নের মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা বাড়ানোর জন্য প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে। তাই এটি পরিকল্পনার উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ১৫১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ৪৪টি খাল, ১০টি বক্স কালভার্ট ও বিভিন্ন সংস্থার কয়েক হাজার কিলোমিটার পাইপ লাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। যেকোনো স্থানের ড্রেনেজ ব্যবস্থার প্রাইমারি অবকাঠামো হচ্ছে খাল। এরর মাধ্যমে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হয়ে নদীতে নিষ্কাশিত হয়। ঢাকা মহানগরীতে ৪৩টি প্রাকৃতিক খাল রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা ওয়াসার আওতায় রয়েছে ২৬টি খাল। এসব খালের অধিকাংশেরই স্থায়ী অবকাঠামোর মাধ্যমে উন্নয়ন করা হয়নি। ফলে বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টির সময় পানি দ্রুত নিষ্কাশিত হতে পারে না। নগরীতে জলজটের সৃষ্টি হয়। এ বিবেচনায় প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ একনেকের জন্য তৈরি করা সারসংক্ষেপে বলেছেন, ঢাকা ওয়াসার ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা জোন-১ ও ২ এলাকায় বিদ্যমান খালগুলোর পানি নিষ্কাশনে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেসব প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। ফলে প্রকল্প এলাকায় প্রায় ৫২ লাখ মানুষ বর্ষা মৌসুমে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে। এতে বর্ষাকালে যানবাহন ও মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচলা সম্ভব হবে।

প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে— ৭ দশমিক ১৩ কিলোমিটার সড়ক মেরামত, ৮ দশমিক ২১ কিলোমিটার আরসিসি পাইপ ক্রয়, স্টর্ম স্যুয়ার নির্মাণ, ১১ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার খাল রক্ষণাবেক্ষণ, ২০ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন, ১ দশমিক ১০ কিলোমিটার ইউ টাইপ চ্যানেল নির্মাণ, ১ দশমিক ২৭ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ, সড়ক ক্রসিং ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ, ১ হাজার টি সিআই/এসএমসি কভার ও গ্রোডং ক্রয় এবং শূন্য দশমিক ৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর/এমএইচ

* দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন