বিজ্ঞাপন

সারা দেশে ঢিলেঢালা হরতাল পালিত

October 29, 2023 | 8:08 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

ঢাকা: কয়েকটি বিচ্ছিন্ন  ঘটনা ছাড়া সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে। কর্মসূচি সফল করতে দল দুটির নেতাকর্মীদের মাঠে তেমন একটা দেখা যায়নি। ফলে জন-জীবনে তেমন প্রভাব পড়েনি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। যানবাহন চলাচলও ছিল প্রায় স্বাভাবিক। তবে দূরপাল্লার পরিবহন খুবই কম সংখ্যক চলাচল করেছে। ব্যক্তিগত যানবাহন তুলনামূলকভাবে কম চলেছে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক-বীমা ও অফিস পাড়ায় হরতালের প্রভাব পড়েনি। সবখানে স্বাভাবিক কাজকর্ম চলেছে।
বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে:
নওগাঁ: বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কোনো প্রভাব নওগাঁয় পড়েনি। সকাল থেকেই যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। হরতাল সফল করতে বিএনপি-জামায়াতের কোনো নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি। হরতাল চলাকালীন সময়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেনি।
হরতালকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ও বিশৃঙ্খলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলার ১১টি উপজেলার রাজনৈতক দলীয় কার্যালয়, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও মোড়গুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুর হক জানান, বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা ছাড়া এ পর্যন্ত নগরী এবং জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আশা করি কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবেও না।
যশোর: যশোরেও ঢিলেঢালাভাবে চলছে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। প্রধান সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি কম থাকলেও গণপরিবহন ছিলো চোখে পড়ার মতো। জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়াও পুলিশকে সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে। এখনও পর্যন্ত বড় ধরণের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সকালে শহরের দড়াটানাসহ কয়েকটি স্থানে বিএনপি মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এসময় দুইজনকে আটক করে পুলিশ। যশোর নিউমার্কেট এলাকায় পিকিটিংয়ের চেষ্টা করা হলে জনতা ধাওয়া দেয়।
নরসিংদী: নরসিংদীতে হরতালের প্রভাব নেই বললেই চলে। সব কিছুই ছিল স্বাভাবিক। সকালের দিকে রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে।
নরসিংদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভেলানগর, জেলখানা মোড়, সাহেপ্রতাব এলাকায় তিন চাকার ছোট যানবাহন থেকে শুরু করে মিনি বাস চলতে দেখা গেছে। তবে বাস কাউন্টার গুলো বন্ধ রয়েছে।
এখন পর্যন্ত মহাসড়কে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিক ভাবেই চলাচল করতে পারছে ছোট যানবাহন গুলো।
কুষ্টিয়া: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতালে কুষ্টিয়ায় তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। হরতাল সফল করতে বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি। সকাল থেকে দূর পাল্লার বাস না চললেও সব ধরনের পরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। স্বাভাবিক দিনের মতোই ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন।
হরতালে যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে শহরে পুলিশ মোতায়েনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহারা গেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে র‌্যাব পুলিশ শহরে টহল দেয়।
অন্যদিকে, হরতালের বিপক্ষে আওয়ামী লীগের শহর কমিটির নেতাকর্মীরা শহরে মিছিল করেন।
মাগুরা: অভ্যন্তরীণ রুটে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও মাগুরা পৌর টার্মিনাল থেকে দূর পাল্লার কোনো গাড়ি ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। তবে সরকারি অফিস আদালতসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠন খোলা ছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেন ব্যবসায়ীরা। হরতাল সমর্থনে কোনো মিছিল বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, অগ্নি, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কড়া নিরাপত্তা ছিলো চোখে পড়ার মতো।
বগুড়া: ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে বগুড়ায় পালিত হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। তবে শহরের রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা ছিলো চোখে পড়ার মতো। রিকশা, অটোরিকশা ও সিএনজিচালিথ অটোরিকশা অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাও চলাচল করেছে স্বাভাবিক দিনের মতোই।
হরতালের সমর্থনে সকালে শহরের নবাববাড়ি বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে। মিছিল শহরের পুলিশ প্লাজার সামনে এলে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। এসময় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া হয়। পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এঘটনায় বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওয়ালিউল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আল রাজী জুয়েল ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়সহ ১০/১২ জন গুরুতর আহত হন। এসময় পুলিশ ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
অন্যদিকে শহরের গালাপট্টি শহর বিএনপির কার্যালয় থেকে ছাত্রদল ও বিএনপির একটি গ্রুপ আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালানোর চেষ্টা করে এসময় তাদের প্রতিহত করা চেষ্টা করলে বিএনপি ছাত্রদল কর্মীরা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
এছাড়া আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ একটি শান্তি মিছিল নিয়ে নবাববাড়ী রোড দিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপি অফিসের সামনে তাদের শান্তি মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, পুলিশ বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে প্রথমে বাধা ও পরে রাবার বুলেট ছুড়েছে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার পুলিশ দিয়ে বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা দিচ্ছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালালে পুলিশ ছয় রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়েছে। এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক আছে।
এদিকে, হরতালে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ মোতায়ানে করা হয়। এছাড়াও র‌্যাব শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দেয়।
রাঙামাটি: সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকে রাস্তায় ছিল না বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। সকালের দিকে নেতাকর্মীরা সংঘটিত হলে চাইলেও ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রাঙামাটি জেলা শহরের অভ্যন্তরীণ একমাত্র যোগাযোগমাধ্যম সিএনজি অটোরিকশা চলাচল ছিল স্বাভাবিক। মোটর-সাইকেল ও অটোরিকশা চলাচল নির্বিঘ্ন হওয়ায় অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে কোনো প্রভাব পড়েনি। অন্যদিকে, রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা সুপার সার্ভিস বাস চলাচল করছে।
উপজেলাগুলোতেও হরতালে কোনো পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। এক কথায় রাঙামাটির যে চিরচেনা রূপ সেটি বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালে কোনো পরিবর্তনে দেখা যায়নি। তবে শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন বলেন, রাঙামাটিতে হরতালে কোথাও কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সকালের দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘটিত হতে চাইলেও পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি।
এদিকে, রোববার সকাল ১০টার দিকে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রতিবাদে রাঙামাটি পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ‘শান্তি সমাবেশ’ করেছে আওয়ামী লীগ। কর্মসূচি থেকে আওয়ামী লীগ হরতাল প্রতিহত ও বিএনপি-জামায়াতের ‘নৈরাজ্য’ ঠেকাতে প্রস্তুত বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
বরিশাল: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দেশজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের তেমন কোনো প্রভাব পরেনি বরিশালে। ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে দূরপাল্লার বাস। চলেছে লঞ্চও। তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যাত্রীচাপ অনেকটা কম ছিল। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বরিশাল নগরী ও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আঞ্চলিক সড়কগুলোতে সকালের দিকে যান চলাচল কম থাকলেও দুপুর থেকে স্বাভাবিক হয়ে আসে। তবে নগরীর সড়কগুলোতে স্বাভাবিকের থেকে কম যানবাহন চলতে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

ভোর থেকেই বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে চাঁদপুর, ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে লঞ্চ ছেড়ে যায়। কিন্তু লঞ্চে যাত্রী একেবারে কম। সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়মিত ফ্লাইট ঢাকা থেকে বরিশাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে যাত্রীবোঝাই করেই ফিরে গেছে।

এদিন, সড়কে বিএনপি-জামায়াতের কোনো নেতাকর্মীকেও দেখা যায়নি। নগরী বেশ কিছু জায়গায় শান্তি সমাবেশ করছে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, হরতালের ঘোষণার পর শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাত থেকেই নগরীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। হরতালের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

নোয়াখালী: নোয়াখালীতে হরতালের কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এদিন পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াত সন্দেহে ৮৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলার সোনাপুর বাস স্টেশন থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস স্টেশন ছেড়ে যায়নি। জেলার নয়টি উপজেলার অভ্যন্তরীণ রুটে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। সরকারি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস সব কিছুই ছিল খোলা।
ব্যবসায়ীরা বেলা বাড়ার সাথে সাথে জেলা শহরের অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলতে থাকে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহলে রয়েছে। এখান পর্যন্ত হরতালের সমর্থনে জেলার কোথাও মিছিল বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। হরতালে সমর্থণে মাঠে ছিলনা বিএনপি-জামায়াতের নেতা কর্মীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতে সেনবাগ উপজেলার সেবারহাট বাজার এলাকায় একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। রোববার সকালের দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলায় হরতালের সমর্থনে বিএনপির নেতাকর্মিরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। সকাল ৮টার দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলার একটি সড়কে গাছের গুডি পেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে হরতাল সমর্থকরা।
দুপুর ১টা ১০মিনিটের দিকে জেলা শহর মাইজদীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের সামনের সড়কে ১৫-২০জন বিএনপির নেতাকর্মী হরতালের সমর্থনে ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিল করে। একপর্যায়ে তারা সেখানে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। জেলা বিএনপি অভিযোগ করেছেন, তাদের ২৫ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে।
অপরদিকে, হরতাল ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, নোয়াখালী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু প্রমুখ।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা থেকে সাতজন, হাতিয়া থেকে একজন, কোম্পানীগঞ্জ থেকে ছয়জন, বেগমগঞ্জ থেকে ১৭ জন , সেনবাগ থেকে ১৪ জন ,চাটখিল থেকে চারজন, সোনাইমুড়ী থেকে ২১ জন, সুবর্ণচর থেকে ছয়জন, জেলা গোয়ান্দো পুলিশ (ডিবি) আটকজন সহ মোট ৮৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে রাস্তায় দেখা যায়নি। সকাল থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। তবে চলেছে আন্তঃজেলা বাস। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলাতো ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। কিছুটা বিলম্বিত হলেও ট্রেনগুলো চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরসহ সদর,আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা থেকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সুনামগঞ্জ: বিএনপি-জামায়াতের ঢাকা হরতাল সুনামগঞ্জে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে। সকাল ৬টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পৌর শহরের পুরাতন বাস-স্টেশন এলাকা থেকে নতুন কোর্ট পয়েন্ট এলাকা পর্যন্ত যানচলাচলে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। শহরে ব্যক্তিগত গাড়ি কম চলতে দেখা গেলেও গণপরিবহনের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  শহিদুল হক মুন্সি বলেন, হরতালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। জনজীবনে হরতালের কোনো প্রভাব পড়েনি।
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে হরতালের কোনো প্রভাব ছিল না বললেই চলে। সড়কে নিত্যদিনের মতো গণপরিবহন চললেও বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। সকাল থেকেই সবগুলো ট্রেন সময়মতো স্টেশন ছেড়েছে। তবে দূরপাল্লার বাস চলাচল ছিল সীমিত।
হরতালের সমর্থনে কোনো মিছিল বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। শহরের টাইনহল মোড়, রহমতপুর বাইপাস, শম্ভুগঞ্জ ও বাস টার্মিনালসহ গুরুত্বপূর্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন ছিল। এছাড়া প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে পুলিশের টহল দেখা যায়। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরা: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে সাতক্ষীরায় তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। সকাল থেকে সাতক্ষীরার সব রুটে বাস-মিনিবাস সহ অন্যান্য যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। তবে, অন্যান্য দিনের তুলনায় সড়কে যান চলাচল কিছুটা কম ছিল।
দোকান-পাট, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত খোলা ছিল। হরতালের সমর্থনে কোথাও কোনো পিকেটিং বা মিছিল করতে দেখা যায়নি। এদিকে, যে কোন ধরনের নাশকতা এড়াতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সজাগ ছিল।
সাতক্ষীরা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ জানান, বাস মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সাতক্ষীরার সব রুটে বাস-মিনিবাস চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সকাল থেকেই সব রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
তিনি বলেন, জনবিরোধী এই হরতালে বাস মালিক-শ্রমিকরা সাড়া দেয়নি। তারা এ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে।

সারাবাংলা/এনইউ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন