বিজ্ঞাপন

প্রেসক্লাব যশোরের ৩ মিলনায়তনের নাম ৩ শহিদ সাংবাদিকের নামে

October 29, 2023 | 8:55 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

যশোর: শহিদ তিন সাংবাদিকের স্মরণে প্রেসক্লাব যশোরের তিনটি মিলনায়তনের নামকরণ করা হয়েছে। মিলনায়তনগুলো হলো— শহিদ সাংবাদিক গোলাম মাজেদ মিলনায়তন, শহিদ সাংবাদিক আরএম সাইফুল আলম মুকুল মিলনায়তন ও শহিদ সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবল মিলনায়তন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে শহিদ পরিবারের সদস্যরা মিলনায়তনের নামফলক উদ্বোধন করেন।

প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহিদ সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবলের মা খায়রুন্নেছা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শহিদ সাংবাদিক রানার সম্পাদক আরএম সাইফুল আলম মুকুলের স্ত্রী হাফিজা শিরিন, শহিদ সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবলের ভাই সাজেদ রহমান বকুল ও শহিদ সাংবাদিক গোলাম মাজেদের ছেলে দৈনিক রানারের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আরএম কবিরুল আলম দিপু।

বিজ্ঞাপন

শহিদ সাংবাদিক শামছুর রহমান কেবলের ভাই সাজেদ রহমান বকুল বলেন, তিন সাংবাদিকদের নামে প্রেসক্লাব মিলনায়তনের নামকরণ করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাদের সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে। তাদের নাম মানুষের মাঝে উচ্চারিত হবে নিয়মিত। তারা নতুনভাবে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

শহিদ সাংবাদিক গোলাম মাজেদের ছেলে দৈনিক রানারের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আরএম কবিরুল আলম দিপু বলেন, তিন শহিদ সাংবাদিকের স্মরণে তিনটি মিলনায়তন করায় তাদের সম্মান জানানো হয়েছে। এজন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

শহিদ সাংবাদিক রানার সম্পাদক আরএম সাইফুল আলম মুকুলের স্ত্রী হাফিজা শিরিন বলেন, শহিদ সাংবাদিকদের হত্যার বিচার পাওয়া যায়নি। নতুন করে তাদের স্মরণে এই মিলনায়তন করা হলো। এনতুন প্রজন্ম তিন শহিদ সাংবাদিককে জানতে পারবেন। স্মরণের মধ্য দিয়েই তারা বেঁচে থাকবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বিজ্ঞাপন

প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান বলেন, নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন শহিদ সাংবাদিক স্মরণে মিলনায়তনের নামকরণ করা হয়েছে। এই মিলনায়তনগুলো আরও সমৃদ্ধ করা হবে।

প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন বলেন, কেবল নামকরণ নয়, তিন শহিদ সাংবাদিকের অবদান ও পরিচিতিও তুলে ধরা হবে। সবাই তাদের সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাদের স্মরণের মধ্য দিয়ে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হলো।

প্রসঙ্গত, স্বৈরাচার এরশাদের আমলে নির্যাতনে শহিদ হন তৎকালীন জনপ্রিয় দৈনিক রানার সম্পাদক গোলাম মাজেদ। তার ছেলে ও দৈনিক রানার সম্পাদক আরএম সাইফুল আলম মুকুল ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট রাতে শহরের বেজপাড়ায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। এখনো তার হত্যার বিচার শেষ হয়নি।

অন্যদিকে ২০০০ সালের ১৬ জুলাই রাতে শহরের দড়াটানায় নিজ কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার শামছুর রহমান কেবল। এখনো সে হত্যা মামলার বিচারিক কাজ শেষ হয়নি, সাজা হয়নি অপরাধীদের।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন