বিজ্ঞাপন

সহকর্মী দ্বারা অধ্যাপক হেনেস্তা, ৬ মাসেও হয়নি বিচার

October 31, 2023 | 10:55 am

জবি করেসপন্ডেন্ট

জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্যের সামনেই মারধরে শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কাদের। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে মত দেওয়ায় সহকর্মীদের দ্বারা এই হেনেস্তার শিকার হন তিনি। ঘটনার ৬ মাস অতিবাহিত হলেও বিচার পাননি তিনি। উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোনো ফল নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী এই অধ্যাপক।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, গত ৬ এপ্রিল উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫তম বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিল সভায় জবি’কে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন অধ্যাপক আব্দুল কাদের। এ সময় সহকর্মী দ্বারা মারধর এবং হেনেস্তায় শিকার হন তিনি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগপত্রে অধ্যাপক আবদুল কাদের বলেন, ‘সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় যুক্তিতর্কের এক পর্যায়ে ৮-১০ জন শিক্ষক তাদের আসন থেকে উঠে এসে আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। কিন্তু তাদের সবাই আমাকে ফিজিক্যালি অ্যাটাক করেনি। পরবর্তীতে কেউ কেউ দাবি করছেন এমন ঘটনা ঘটেনি। কারণ তারা সবাই আমাকে ফিজিক্যালি অ্যাসোল্ড করেনি। আশপাশে যারা দাঁড়িয়ে ছিলেন তাদের কারণে দূর থেকে দেখা যায়নি এখানে কী ঘটছে। সবাই শারীরিক নির্যাতনে অংশ নেয়নি। কয়েকজন পাশে ছিলেন, কিন্তু এর মধ্যে কেউ কেউ রোধ করেছেন। এর মধ্যেই ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ভিসি স্যার ট্রেজারার স্যারও ঘটনাটি রোধ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর হয়নি। যা ঘটার তা ঘটে গেছে।’

দুঃখ প্রকাশ করে অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, ‘আমি টেবিল চাপড়ানো ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করি। সবাইকে বলেছি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য। এটাও বলেছি যে, আমি টেবিল চাপড়িয়েছি তার মানে আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করার অধিকার কারও নেই। আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। আপনারা আমার সঙ্গে যা করেছেন তা ঠিক হয়নি। তারপর আমি বের হয়ে গিয়েছিলাম উপাচার্যের অনুমতি নিয়ে। পরবর্তীতে নিজে স্থির হওয়ার চেষ্টা করেছি ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

‘উপাচার্যের নিকট আবেদন দিয়েছি এই ঘটনার প্রকৃত পক্ষে যারা দোষী তাদের যেন বিচারের আওতায় আনা হয়। একইসঙ্গে আমি ক্ষমা চেয়েছি একাডেমিক সভায়। এই শাস্তি যদি পর্যাপ্ত না হয় তাহলে বিধি মোতাবেক যে শাস্তি হবে তা মেনে নিতে প্রস্তুত আছি। আর আমার ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, তাদের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যেন বিচার হয়’— ওই অভিযোগে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আবদুল কাদের।

বিচার বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমি অভিযোগ দেওয়ার পর আর সিন্ডিকেট হয়নি। আমার বিষয়টি সিন্ডিকেটে ওঠার কথা ছিল। এই সিন্ডিকেটে এখন আলোচ্য বিষয় কি থাকবে আমার জানা নেই।’

তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে কি না— এর জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে এ ঘটনায় কোনো তদন্ত কমিটি গঠন হয়নি।’

বিজ্ঞাপন

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়নি। উপাচার্য স্যার এসব দেখেন। বর্তমানে স্যারও তো অসুস্থ। সামনের সিন্ডিকেটে দেখা যাক কি হয়।’

সারাবাংলা/এএসএস/এনএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন