মির্জা আব্বাস-মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল গ্রেফতার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর শহীদ বাগের ঢাকা ব্যাংক শাখা থেকে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) রাতে সোয়া আটটার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান বিএনপির প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

এরপর রাত ৯ টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, শহীদবাগ মসজিদ গলির পাশ থেকে মির্জা আব্বাস ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয় শনিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে তার শাহজাহানপুরের বাসা ঘিরে রাখে পুলিশ।

এর আগে, সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর মঞ্জুরুল ইমামের আদালতের তার জামিন বাতিল করে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এদিন এ মামলার সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আসামি মির্জা আব্বাস ও সাফাই সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন না মঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করেন। একই সঙ্গে এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশে পণ্ড হওয়ার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন মির্জা আব্বাস। সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালও গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষ, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই এবং বিষ্ফোরক মামলায় তারা দুইজনই আসামি।

সারাবাংলা/এজেড/ইউজে/এনইউ