বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে প্রস্তুত ‘দ্বিতীয় টুঙ্গীপাড়া’ মাতারবাড়ী

November 10, 2023 | 9:50 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কক্সবাজার: ১৯৯৪ সালে কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হেনেছিল প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়। ওই সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন বিরোধী দলীয় নেতা। সেই ঘূর্ণিঝড়ের পর কক্সবাজারে সফরে গিয়ে প্রত্যক্ষ করেছিলেন মানুষের দুর্দশা। গিয়েছিলেন মাতারবাড়ীতেও। স্থানীয় আওয়ামী লীগ তার আগমনে সেই দুর্যোগের মধ্যেও আয়োজন করেছিল সংক্ষিপ্ত এক জনসভা। তবে সেই জনসভা সংক্ষিপ্ত থাকেনি। সেদিন জনসভাস্থল মাতারবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ছাপিয়ে জনতার ঢল নেমেছিল আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায়।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানান, সেদিন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও ঢল নেমেছিল শেখ হাসিনার জনসভার। নিজেদের দুর্যোগ-দুর্ভোগ ভুলে নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ নির্বিশেষে মানুষ হাজির হয়েছিল শেখ হাসিনাকে দেখতে। অভূতপূর্ব জনসমাবেশের সেই দৃশ্য দেখে আবেগাপ্লুত হয়েছিলেন শেখ হাসিনা। মাতারবাড়ীকে ‘নানা বাড়ি’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন, বলেছিলেন মাতারবাড়ী ‘দ্বিতীয় টুঙ্গীপাড়া’। দীর্ঘ ২৮ বছর বিরতির পর সেই ‘দ্বিতীয় টুঙ্গীপাড়া’ মাতারবাড়ীতে পা রাখছেন শেখ হাসিনা। তাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত মাতারবাড়ীর বাসিন্দারা।

আগামীকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) কক্সবাজার রেললাইন, আইকনিক স্টেশন, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেলসহ ছোটবড় ১৯টি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দুপুরে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রসংলগ্ন টাউনশিপ মাঠে যোগ দেবেন মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায়।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে মহেশখালীসহ জেলাজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে মাতারবাড়ীসহ পুরো মহেশখালী। আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে দলের তৃণমূল পর্যায়ে বর্ধিত সভা করে সব স্তরে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। চলছে স্বাগত মিছিল, মাইকিং ও প্রচারণা। তারা আশা করছেন, সমাবেশে লাখো মানুষের সমাগম ঘটবে।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনার আগমনের অপেক্ষায় কক্সবাজার। ছবি: সারাবাংলা

স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বৃহত্তর মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সিংহভাগ মানুষ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সমর্থক। এই ইউনিয়নের ভোটাররা জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনেও বরাবরই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন। দীর্ঘ ২৮ বছর পর সেই স্বজনের আগমনে আবেগে ভাসছে মাতারবাড়ীবাসী।

মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। চলছে স্বাগত মিছিলসহ নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা। লাখো মানুষের সমাগমে জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দেওয়া হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। সবাই প্রধানমন্ত্রীর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে মাতাবাড়ী পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ মাহমুদ আল স্বপন। তিনি বলেন, মাতারবাড়ীকে প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় টুঙ্গীপাড়া হিসেবে জানেন। মাতারবাড়ীর প্রতি তার গভীর আবেগ ও ভালোবাসা রয়েছে। তার আগ্রহেই মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে। এতে কেবল এই অঞ্চল নয়, দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক গতি সঞ্চার হবে।

মাতারবাড়ীতে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি ছোটবড় উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এর মধ্য দিয়ে মাতারবাড়ী অত্র এলাকাসহ দেশের অর্থনীতির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন