বিজ্ঞাপন

‘নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে পরিণতি ভাল হবে না’

November 18, 2023 | 1:11 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে একটা শুভ দিন। আমাদের যারা প্রার্থী হবে। তারা সবাই ফরম নেবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। যদি নির্বাচন বানচালের কেউ চেষ্টা করে, আর অগ্নিসন্ত্রাস অব্যাহত রাখে তাদের পরিণতি ভালো হবে না। যারা করবে দেশের মানুষেই তাদের শাস্তি দেবে।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার কার্যক্রম সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সেখানে যান তিনি। এ সময় শেখ হাসিনার পক্ষে গোপালগঞ্জ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) ফরম সংগ্রহ করেন নেতারা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মধ্যে দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপলক্ষে দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়। এসময় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে একটা শুভ দিন। আমাদের যারা প্রার্থী হবে। তারা সবাই ফরম নেবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। যদি নির্বাচন বানচালের কেউ চেষ্টা করে, আর যদি অগ্নিসন্ত্রাস অব্যাহত রাখে তাদের পরিণতি ভালো হবে না। যারা করবে দেশের মানুষেই তাদের শাস্তি দেবে। আজকের দিনে এই আহ্বান থাকবে।’

বিজ্ঞাপন

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের অনেক কষ্টের অর্জিত গণতান্ত্রিক ধারাকে যেন কেউ ব্যাহত করতে না পারে। এটা দেশবাসীর ভোটের অধিকার, তারা ভোট দেবেন। ভোট দিয়ে তাদের পছন্দমতো নেতা নির্বাচন করবেন।’

অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না। অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’ পাশাপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।

বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা একটা গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা আনতে পেরেছি। আর্থসামাজিক উন্নতি করতে পেরেছি। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এটা ধরে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাব।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দেশবাসীর দোয়া চাই। যেন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়। আর নির্বাচন যারা বানচাল করতে চায়, অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে মারে, রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে মেট্রোরেল ও থার্ড টার্মিনাল, যা আমরা করে দিয়েছি- এগুলো যারা ধ্বংস করতে যাবে। জনগণকে আহ্বান করব তাদের প্রতিরোধ করতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এমন একটা সংগঠন, যে সংগঠনের জন্ম হয়েছিল দুঃখি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে। শোষিত বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য। জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র মেনে চলে। দেশের সংবিধান মেনে চলে। প্রতিটি কাজ অত্যন্ত সুচারুভাবে করে। আমাদের যারা প্রার্থী হবে, পার্টির নমিনেশন যারা চায় তারা এখান থেকে ফরম সংগ্রহ করবে।’

আওয়ামী লীগের সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা চাই যারা প্রার্থী হবেন, সবাই যোগ্য। এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে একটা সিটে দিতে হবে একজন। সেই একজনকে বাছাই করা বোর্ডের কাজ এবং আমরা তৃণমূল থেকেও মতামত নেই। আমাদের এমন একটা পদ্ধতিও করা আছে। তৃণমূল থেকে জানানো হয়। তারপর প্রার্থী নির্বাচন করি।’

নির্বাচন বয়কট করা রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম অন্যান্য দলগুলো এভাবে নির্বাচনে আসবে। তবে যে সমস্ত দল নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই। আর যাদের মানুষের উপর আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই বা দল হিসাবে সুসংগঠিত না, তারাই নির্বাচন বানচালের একটা চেষ্টা করে যাচ্ছে। অথচ নির্বাচন বানচাল করলে একটা দেশের যে ক্ষতি হয়। সেটা হচ্ছে দুঃখজনক।’

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন ঠেকানোর নামে ২০১৩-১৪ সালের মতো এবার অগ্নি সন্ত্রাসের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে, এটা কোন ধরনের রাজনীতি? অগ্নিসন্ত্রাস করে, জাতীয় ও ব্যক্তিগত সম্পদ নষ্ট করা? এই ধ্বংসাত্মক কাজ করে অর্থাৎ গণতান্ত্রিক ধারাকে যারা ব্যাহত করতে চায় তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। কারণ অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। এই ভোটের অধিকার অব্যাহত থাকবে এবং ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হয়।’

সারাবাংলা/এনআর/এনএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন