বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুলের জামিন হয়নি

November 22, 2023 | 3:16 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কারাগারে থাকা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের অভিযোগের মামলায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালত এই আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি চেয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আসাদুজ্জামান, বদরুদ্দোজা বাদল। অপরদিকে এই জামিনের বিরোধীতা করেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু, তাপস কুমার পালসহ অনান্যরা। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

ফখরুলের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ শুনানিতে বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। কথিত ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের কাওকে এ মামলায় সাক্ষী করা হয়নি। যাদের সাক্ষী করা হয়েছে তাদের ঢাকায় কোনো ঠিকানা নেই। মির্জা ফখরুল অসুস্থ, ৮১ বছর বয়স্ক, চারটা ব্লক আছে।

এছাড়াও অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান ও অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা বাদল শুনানি করেন। তারা বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার মামলায় আসামি করা হয়েছে যেন তিনি জুডিশিয়ারিতে সহানুভূতি না পান।

ফখরুলের জামিনের বিরোধিতা করেন মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু। তিনি বলেন, আসামি হওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন হয় না, নির্দেশনা বা ওই কাজের জন্য প্ররোচিত করলেও তিনি মামলার আসামি হবেন। তাদের নির্দেশনা ও প্ররোচনায় সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত আগুন সন্ত্রাস চালাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি জামিন নামঞ্জুরের আবেদন জানান। শুনানি শেষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেন।

গত ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিনের আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদদীন মোজবাহ।

গত ২৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাজে হত্যা ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর তাকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, সামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডুনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এর পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন এর শীর্ষ নেতা কর্মীরা হাতে লাঠিসোঠা, লোহার রড, ইট পাটকেল ও ককটেল সহ বিভিন্ন মারাত্মক অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হইয়া মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোপরের বাস ভবনের সামনে বে-আইনী সমাবেশ ঘটাইয়া রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেয় ও মিছিল করতে থাকে। ওই সময় তরা বৈশাখী পরিবহনে বাসসহ একাধীক বাস, পিকআপ ভাংচুর করে অনুমান ২০ (বিশ) লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এসময় মিছিলকারীরা বিএনপি ও তাহার অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতা কর্মিদের নির্দেশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে লাঠি গোটা, লোহার রড, ইটপাটকেল এবং ককটেল (বিস্ফোরক) সহ বেআইনী সমাবেশ ঘটাইয়া রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান নিয়া রাস্তায় জনসাধারনের ও মানবাহনের চলাচলে প্রতিবন্ধকরা সৃষ্টি করার অভিযোগ করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এআই/ইআ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন