বিজ্ঞাপন

হরতাল-অবরোধের কর্মসূচিতে অবশেষে মাঠে বক্কর

November 22, 2023 | 8:22 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: গত ২৯ অক্টোবর থেকে বিএনপির ডাকা টানা হরতাল-অবরোধে চট্টগ্রাম নগরীর কোনো মিছিল-মিটিংয়ে দেখা যায়নি দলটির শীর্ষ নেতাদের। বিএনপির নেতারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে গ্রেফতার এড়াতে একে ‘কৌশল অবলম্বন’ বললেও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন ছিল। অবশেষে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ষষ্ঠ দফা অবরোধের প্রথম দিনে মিছিলে অবশেষে দেখা গেল নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করকে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর চাঁন্দগাও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।

নির্বাচন কমিশন আওয়ামী নির্বাচনি তফসিল বাস্তবায়ন করতে জোরেশোরে মাঠে নেমেছে মন্তব্য করে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘বিএনপির একদফা আন্দোলনের মধ্যে আরেকটি একতরফা পাতানো ভুয়া নির্বাচনের অপচেষ্টা করছে সরকার। মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন আওয়ামী নির্বাচনি তফসিল বাস্তবায়ন করতে জোরেশোরে মাঠে নেমেছে। ভোটাধিকারের দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ছে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।’

‘দিশাহীন ও উন্মাদ হয়ে গণগ্রেফতার চালাচ্ছে। আর বিএনপির বিরুদ্ধে নাশকতার অপবাদ দিয়ে দেশে-বিদেশে প্রচার করছে। কিন্তু এবার সন্ত্রাসের অপবাদ দিয়ে আর বিদেশে মার্কেটিং করতে পারছে না। কারণ সারা দুনিয়া টের পেয়েছে, বিএনপির নামে সন্ত্রাসের অপবাদ মূলত একতরফা নির্বাচনের কৌশল। তাই সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরাই আত্মঘাতীমূলক নাশকতা চালাচ্ছে,’— বলেন নগর বিএনপির এই নেতা।

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘বিএনপিসহ বিরোধী মত দমনে আওয়ামী লীগ এখন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। চট্টগ্রামে বিএনপির বলিষ্ঠ নেতাকর্মীদের বেছে বেছে গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিএনপির সব প্রবীণ নেতাদের জেলে আটকে রেখেছে। অনেককে মিথ্যা মামলায় সাজাও দিয়েছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে এ সব বিরোধী দলের নেতারা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত।’

মিছিলে নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, সদস্য মাহবুব আলম, আনোয়ার হোসেন লিপু ও চাঁন্দগাও থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় দলের মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনার পর মহাসচিবসহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের পর থেকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আড়ালে চলে যান। পরদিন ২৯ অক্টোবর নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের এনায়েত বাজার বাটালী রোডের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইসি/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন