বিজ্ঞাপন

একাদশে `উপেক্ষা’ দ্বাদশে নৌকা পেলেন নানক-মায়া-রহমান-নাছিম

November 26, 2023 | 5:52 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বানে মনোনয়ন বঞ্চনা শেষে অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কয়েকজন হেভিওয়েট নেতার। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটে আবারও নৌকা প্রতীক ফিরে পেলেন তারা। এরা হলেন আওয়ামী লীগের তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিষয়ক মন্ত্রী ও সভপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেল চারটার পর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ওবায়দুল কাদের।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩), আব্দুর রহমান (ফরিদপুর-১), আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম (ঢাকা-৮) ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (চাঁদপুর-২) আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত করা হয়েছে। তারা সবাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েন। তবে তৎকালীন সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক শরীয়তপুর -১ আসন থেকে এবারও মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত হন ৫৬ জন সংসদ সদস্য। তার আগে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনেও বাদ পড়েন ৪৯ জন সংসদ সদস্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে টানা চতুর্থবারের মতো দলের জয়যাত্রা অব্যাহত রাখতে নৌকা তুলে দিল। এ লক্ষ্যে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা দফায় দফায় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

বিজ্ঞাপন

তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত হেভিওয়েট নেতাদের গণভবনে ডেকে নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কার্যক্রম মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই থেকে নেতারা ফের পুরোদমে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হন। তারা নির্বাচন পরিচালনা কার্যক্রম মনিটরিংয়ের দায়িত্ব পালন করে লাইমলাইটে আসেন। সে ধারাবাবাহিকতার পরে মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের গুরুত্বপূর্ণ পদেও বসানো হয়। এরপর দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সময়ও ওইসব নেতারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে গত কয়েকদিন সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করে আওয়ামী লীগ। শনিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের প্রার্থী মনোনয়নের মধ্য দিয়ে সব আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়। এর আগে বৃহস্পতি ও শুক্রবার ছয় বিভাগের প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হয়।

এবার জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশায় সর্বমোট ৩,৩৬২ টি ফরম বিক্রি হয়। ফরম বিক্রি বাবদ দলের আয় হয় ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

মনোনীত প্রার্থীদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার পর সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেখানে মনোনয়ন-পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে বলেও জানা গেছে। তার আগে সকালে গণভবনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দলটির সভাপতি ও জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন: একাদশে ‘বঞ্চিত’, দ্বাদশে ‘সবুজ সংকেত’

সারাবাংলা/এনআর/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন