বিজ্ঞাপন

ট্রেন যাত্রা: দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার

November 30, 2023 | 4:39 pm

বিপ্লব বড়ুয়া

১লা ডিসেম্বর থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে বানিজ্যিকভাবে ট্রেন যাত্রা শুরু হতে চলেছে। এই সংবাদটি আজ শুধু চট্টগ্রাম বা কক্সবাজারের মানুষদের জন্য আনন্দদায়ক নয়, পুরো দেশের মানুষের জন্য শুভ সংবাদ। এই ট্রেন চলাচলের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের মানুষদের দীর্ঘ বছরের প্রতীক্ষার অবসান এবং খুলবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। ব্যবসা-বানিজ্যের ক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন আসবে বলে দেশের অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা ইতিমধ্যে ধারণা পোষণ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সত্যিই এ এক আশ্চর্য, বিস্ময়কর, অভূতপূর্ব, অবিশ্বাস্য এভাবে শত শত শব্দে বিশেষায়িত করলেও আবেগ-আনন্দ শেষ করা যাবে না। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের সাথে দেশের অন্যান্য জেলার ট্রেন যোগাযোগ স্থাপন প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার ইচ্ছাশক্তির সফল বাস্তবায়ন এবং সেই সাথে একটি অভাবনীয়, ঐতিহাসিক স্বপ্নের প্রতিফলন! নতুন কাজ করতে যত না সহজ, তার চেয়ে অধিকতর কঠিন পুরনো কাজকে পুনঃনির্মাণ পূর্বক উপযোগি করে তোলা। চট্টগ্রাম টু কক্সবাজার রেল লাইন করতে গিয়ে খুব বেশি ভুগিয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্তদের। কখনো কখনো কাজটি থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পরে। চট্টগ্রাম টু চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পর্যন্ত আগে থেকেই ৪৮ কিলোমিটারের রেল লাইন ছিল। এই লাইনটি ব্রিটিশদের করা। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দুরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই লাইনকে সম্প্রসারণ করে সৃদূর কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাটি এই সরকারই প্রথম গ্রহণ করেন। এটি ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আজকে স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসে কক্সবাজারের সাথে সমগ্র বাংলাদেশে ট্রেন যোগাযোগে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হতে দেখে স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে অনেকের মতো আমিও সত্যিই গর্ব অনুভব করছি। ব্রিটিশ আমলের পুরনো লাইন দিয়ে কক্সবাজারের যোগাযোগ স্থাপন করতে গিয়ে কতবার যে জরিপ কার্য পরিচালনা করতে হয়েছে তার হিসেবে নেই। পথে পথে যখন জরিপ কাজ এবং শেষে জায়গা অধিগ্রহণ করা হচ্ছিল তখনো পর্যন্ত কারো বিশ্বাসে ছিলনা এই অবিশ্বাস্য ঘটনার আসল রুপটি অতি সহসা ধরা দেবে। এবং একই সাথে চট্টগ্রাম টু দোহাজারী পর্যন্ত পুরনো নড়েবড়ে রাস্তা দিয়ে বৃহৎ পরিসরের ট্রেন চালানো সম্ভব হবে কিনা এটি নিয়েও মানুষের মনে সন্দেহের কমতি ছিল না। কারণ আগে থেকে এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েকজোড়া লক্করঝক্কর ট্রেন চলাচল করতো। অতীব দূভার্গ্যরে বিষয়, যে ট্রেন গুলি এই লেনে চলাচল করতো তা দিয়ে যাতায়ত করা উপযোগি ছিল না। আমার বাড়ি পটিয়ায় হওয়ার কারণে এক সময় ধলঘাট ষ্টেশন হয়ে শহরে যাতায়াত করতাম। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাড়ি থেকে ট্রেনে করে শহরে যাতায়ত করেছি। এরপর বিগত ৩৩ বছর পর্যন্ত এই রোড দিয়ে আসা-যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। তার একমাত্র সমস্যা অনুপযোগী ট্রেন ব্যবস্থাপনা। যেখানে কোনরকম বসার সু-ব্যবস্থা ছিলনা, ভাঙাচোরা সিট, ট্রেনের ভিতরে ভুতুরে অন্ধকার লাইটিংয়ের ব্যবস্থা ছিল না, দরজা-জানালা নষ্ট, জরাজীর্ণ, অপরিস্কার, যাত্রী কম্পার্টমেন্টে মালামাল তুলে দেওয়া, যত্রতত্র মলমূত্র পরে থাকা, মাদকসেবী ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য, যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি, আবার চট্টগ্রাম রেল ষ্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়া ও গন্তব্যে পৌঁছার মধ্যে কোনোরকম সময়জ্ঞান না থাকা এ ধরনের প্রচুর সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়েছে এই রোডে যাতায়তকারী ট্রেন যাত্রীদের। মূলত এসব কারণে সাধারণ যাত্রীরা ট্রেন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। অথচ এমন একটা সময় ছিল বোয়ালখালী, পটিয়া, চন্দনাইশ উপজেলার মানুষদের যাতায়তের একমাত্র বাহন ছিল ট্রেন যোগাযোগ। আজ থেকে ৩০ বছর আগে ২ টাকা, ৩ টাকা এবং সর্বশেষ ৫ টাকার টিকিট ক্রয় করে চট্টগ্রাম শহরে এসেছি। রেলওয়ের সার্বিক অব্যবস্থাপনার কারণে সেদিনটি কোথায় যেন হারিয়ে গেল! ঊহু বছর পর আবার নতুন করে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সফল রাষ্ট্র নায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রবল আকাঙ্খার কারণে গত ১১ নভেম্বর কক্সবাজারে দেশের আইকনিক ট্রেন ষ্টেশন ও রেল যাত্রার শুভ উদ্বোধন করেন। প্রিধানমন্ত্রী কক্সবাজার ষ্টেশন থেকে ট্রেনে চড়ে রামু ষ্টেশন পর্যন্ত পৌঁছান। এসময় রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাজার হাজার মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে হাত নেড়ে স্বাগত ও অভিভাদন চানান। সেদিন পুরো কক্সবাজার জেলা জুড়ে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। ট্রেন যাত্রার সংবাদ এখন এতদাঞ্চলের সবচেয়ে বড়ো সংবাদ হিসেবে সংবাদ কর্মিদের চোখেও ধরা পড়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ফিরে পাবে রেলের নিরাপদ বাহন। এটি ভাবতে নিজের মধ্যে কি যে আনন্দ লাগছে ভাষার প্রকাশ করার মতো নয়। ১ ডিসেম্বর থেকে বানিজ্যিকভাবে ট্রেন যাত্রা সূচন হতে চলেছে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত দিনে আপাতত একজোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এর কয়েকদিন পর থেকে চট্টগ্রাম থেকেও কক্সবাজার ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ঢাকা থেকে ইতিমধ্যে ট্রেনের টিকিট বিক্রী শুরু হয়েছে। রেলওয়ে সুত্রে জানাযায়, ১১ দিনের অগ্রীম টিকিট বিক্রী হয়েগেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য এটি একটি নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন।

১৯৩১ সালে ব্রিটিশের করা পুরনো জরাজীর্ন কালুরঘাট সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলে যে সন্দেহের দানা বেঁধে ছিল পুননির্মাণের মধ্যে দিয়ে সে ভয় আতংক উপরে ফেলেছে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইনটি ২০১০ সালের ৬ জুলাই এ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায়। কাজ ধরতে গিয়ে জমি অধিগ্রহণ এবং অন্যান্যখাতে বহুপরিমান ব্যয় বেড়ে যায়। এ জন্য মাঝখানে কয়েকবছর প্রকল্পের কাজ থমকে দাঁড়ায়। ২০১৭ সাল নাগাদ পুনঃবাজেট অনুমোদন লাভ করলে প্রকল্পটি গতি ফিরে পায়। ২০১৮ সালে রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কাজটি ২০২২ সালের ৩০ জুন শেষ করার কথা থাকলেও মাঝখানে কয়েকবছর করোনার কারণে আবারো ধীরগতিতে চলতে শুরু করায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রকল্পের কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন করা হয়। ৫ নভেম্বর পরীক্ষামুলক প্রথম পরিদর্শন ট্রেন কক্সবাজার গমন করেন। ট্রেন যাওয়ার পথে মানুষের কী যে বাঁধভাঙ্গা উচ্চাস তা বর্ণনাতীত। কেউ কেউ নেচে গেয়ে ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে মোবাইলে সেল্ফি তুলে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ করেছে। এই প্রথম কক্সবাজার অভিমুখে ঘন ঘন ট্রেনের হুইসেল বাঁজিয়ে যাওয়ার পথে ঘরবাড়ি ছেড়ে মানুষরা তখন ট্রেনের রাস্তায় ওঠে আসে নতুন অতিথিকে সাদরে বরণ করতে। এ যেন বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার! অনেকে এই অতিথিকে এভাবে দেখবে কল্পনাতেও ভাবেনি তাই অকস্মাৎ ছুঁয়ে চোখেমুখে আনন্দ অশ্রু বর্ষণ করেছে। দর্শনার্থিদের ভিড়ের কারনে সেদিন পরিদর্শক টিম অনেক জায়গায় ঠিকমতো পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালাতে হিমসীম খেয়েছে আবার অনেক জায়গায় করতেও পারেনি। ট্রেন চলাচলের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের অধিবাসীদের দীর্ঘবছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে। আমি বলবো এ প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার সার্থক প্রতিফলন। তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।

বিজ্ঞাপন

রেললাইন, ষ্টেশন, সেতু, কালভার্ট নির্মাণে সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নযন ব্যাংক (এডিবি) সহায়তা দিয়েছে ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা বাকী ৪ হাজার ১১ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দিয়েছে। নতুন এই রেল লাইন চালু করতে গিয়ে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১ হাজার ৩৬৩ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুনভাবে ষ্টেশন করা হয়েছে ৯টি। নতুন ষ্টেশন গুলো হল- দোহাজারী ষ্টেশন, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ইসলামাবাদ, রামু ও সর্বশেষ কক্সবাজার আইকনিক ষ্টেশন। আর চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত আগের রেল ষ্টেশনগুলো ছিল- ঝাউতলা, ষোলশহর, জানালীহাট, গোমদন্ডী, বেঙ্গুরা, ধলঘাট, খানমোহনা, পটিয়া, চক্রশালা, খানমোহনা, খরনা, হাসিমপুর, দোহাজারী। সম্প্রতি কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মিত হয়েছে। এই দুই রোডই দক্ষিণ চট্টগ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং একই সাথে ব্যবসা-বানিজ্য ও শিল্পন্নোয়নে বিপুল অবদান রাখবে। দক্ষিণ চট্টগ্রাম তথা সুদূঢ় কক্সবাজার-টেকনাফ পর্যন্ত সরকার এবং ব্যক্তি মালিকানায় প্রচুর বড়ো বড়ো প্রকল্প ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে বোয়ালখালি, পটিয়া, আনোয়ারা, সাতকানিয়া ও বাঁশখালিতে বৃহৎ বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে। কক্সবাজারে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত তো আছেই এছাড়া চকরিয়া চিংড়ি প্রজেক্ট ও লবণ শিল্পের জন্য বিখ্যাত। মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গড়ে তোলা হচ্ছে গভীর সমুদ্র বন্দর, বিদুৎ কেন্দ্র। আছে চুনতী অভায়রণ্য, ডুলাহাজারা খ্রিষ্টীয়ান হাসপাতাল, চন্দনাইশে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, বাঁশখালিতে ইকোপার্ক, বিদুৎ কেন্দ্র, যোগাযোগ ব্যবস্থার অমুল পরিবর্তনের ফলে টেকনাফ, কক্সবাজার, চকরিয়া, মহেশখালী থেকে খুব সহজে পণ্যসামগ্রী চট্টগ্রাম শহর হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়বে। এছাড়া আনোয়ারা উপজেলায় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার (কাফকো), চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার (সিইউফল), পারকি বিচ, কর্ণফুলী উপজেলায় কেইপিজেড ও ইয়ংওয়ানের মতো বিশ্ববিখ্যাত শিল্পপ্রতিষ্ঠান শতাধিক ফেক্টরি খুলেছে যেখানে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। পটিয়া ও বোয়ালখালিতেও বহু সংখ্যক গার্মেন্ট শিল্পসহ অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে। দক্ষিণ চট্টগ্রাম এবং টেকনাফ, কক্সবাজার পর্যন্ত বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন উন্নত ছিলনা। তাই কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী-কর্মকর্তা, দক্ষিণ চট্টগ্রামের শিক্ষার্থি এবং চট্টগ্রাম শহর তথা বৃহত্তর চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী ও অফিস-আদালতে কর্মরতদের সীমাহীন কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাতায়ত করতে হতো। এই ট্রেন যোগাযোগের ফলে ব্যবসা-বানিজ্য ও নতুন নতুন শিল্পায়নে গতি ফিরে পাবে।

লেখক: সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক

বিজ্ঞাপন
প্রিয় পাঠক, লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই ঠিকানায় -
sarabangla.muktomot@gmail.com

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব, এর সাথে সারাবাংলার সম্পাদকীয় নীতিমালা সম্পর্কিত নয়। সারাবাংলা ডটনেট সকল মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে মুক্তমতে প্রকাশিত লেখার দায় সারাবাংলার নয়।

সারাবাংলা/এসবিডিই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন