বিজ্ঞাপন

ভারতে চলে গিয়েছিল মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোর, ৫ মাস পর ফিরল দেশে

November 30, 2023 | 9:07 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি কিশোর লিল চন্দ শিলকে (১৭) দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে ভারত। প্রায় পাঁচ মাস আগে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ডাউকি ও বাংলাদেশের তামাবিল সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছে লিল। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশান প্রোগ্রাম, ভারতের ইমপালস এনজিও নেটওয়ার্ক ও গৌহাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

এদিকে ছেলেকে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন লিল চন্দের বাবা সিপন চন্দ। পরিবারের কাছে হস্তান্তরের সময় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে লিল চন্দকে জরুরি সহায়তা হিসেবে খাবার, জরুরি কাউন্সেলিং সেবা ও অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। হস্তান্তরের সময় তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জ রনু মিয়া, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সিলেটের সমন্বয়ক শুভাশীষ দেবনাথ, ইমপালস এনজিও নেটওয়ার্কের কর্মকর্তা জোনাথান ও নিউ শিলং বয়েজ অবজারভেশন হোমের কর্মকর্তা জোসেফাইন সুমার উপস্থিত ছিলেন।

লিল চন্দের বাবা সিপন চন্দ বলেন, ‘আমার ছেলে গত দুই-তিন বছর ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ। তাকে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়। না হলে সে পালিয়ে যায়। গত জুলাই মাসে পায়ের শিকল খুলে সে পালিয়ে গিয়েছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।’

বিজ্ঞাপন

লিলের বাবা সিপন জানান, লিল নিখোঁজ হওয়ার ১৭-১৮ দিন পর অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর থেকে তাদের কাছে কল আসে। বলা হয়, লিল ভারতের মেঘালয়ে আছে। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

পরিবার, ব্র‍্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ভার‍তের ইমপালস এনজিও নেটওয়ার্ক সূত্রে জানা গেছে, জাফলং জিরো পয়েন্ট দিয়ে ভারতের আসামে চলে গিয়েছিল লিল। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আটক হয়। বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় লিলকে আদালতের নির্দেশে নিউ শিলং বয়েজ অবজারভেশন হোমে আটক রাখা হয়। পরে ভারতের বেসরকারি সংস্থা ইমপালস এনজিও নেটওয়ার্ক ও ব্র্যাক তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ করে।

বিজ্ঞাপন

নিউ শিলং বয়েজ অবজারভেশন হোমের কর্মকর্তা জোসেফাইন সুমার জানান, লিল চন্দ শিল মানসিকভাবে সুস্থ নয়। সে আমাদের কেন্দ্র থেকেও একবার পালিয়ে গিয়েছিল। আদালতের নির্দেশে আমরা তাকে বাংলাদেশে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।

সিপন চন্দ পেশায় নাপিত। ছেলেকে হারানোর পর থেকে কাজ করতে পারছিলেন না। বাসায় ঠিকমতো রান্না হয়নি। উচ্চ রক্তচাপে ভোগা লিলের মাও ছেলের শোকে কাতর হয়ে পড়েছিলেন। ছেলেকে ফিরে পেয়ে তারা যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন