বিজ্ঞাপন

‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অপরাধের ক্ষেত্র তৈরি করছে’

December 10, 2023 | 11:14 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো : নজরদারি না থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপরাধের ক্ষেত্র তৈরি করছে বলে মত এসেছে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায়।

বিজ্ঞাপন

‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তি প্রতিরোধে অংশীজনদের ভূমিকা’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভায় শনিবার শিক্ষক, ইমাম, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মী, শিক্ষার্থী, জন প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। দ্যা এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট’ এ সভার আয়োজন করে।

সভায় কবি সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়টা একজন প্রশিক্ষিত মানুষের হাতে অস্ত্র থাকার মতো এবং একজন ডাকাতের হাতেও অস্ত্র থাকার মতো। দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য প্রচার দেখার কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। এর ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অপরাধের ক্ষেত্র তৈরি করছে। এখন সমাজে-রাষ্ট্রে এর যে নেতিবাচক প্রভাব, সেটা বন্ধে আলোচনা হচ্ছে। মানব সভ্যতায় আমরা এরকম অনেক সংকট পার করেছি। আশা করি, এ সংকটের সমাধানও হবে।’

সভায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে গুজব ও ধর্মীয় উসকানির বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘গুজব নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। সুনামগঞ্জের শাল্লায় আমরা ধর্মীয় উসকানি দেখেছি, কী ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে। তবে সরকার তৎপর আছে। তৃণমূল থেকে গুজব, ধর্মীয় উসকানি বন্ধে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নিয়ে কমিটি হয়েছে। এরপরও পুরোপুরিভাবে থামানো যাচ্ছে না। এ কারণে আমরা বলছি যে, প্রতিরোধ নয়, প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে এসব বিষয়ে সচেতনা তৈরি করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

সূচনা বক্তব্যে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘কয়েকটি প্রজন্ম তৈরি হয়ে গেছে বা হচ্ছে যাদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রযুক্তি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এতে অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে, যা প্রচলিত মূল্যবোধ, প্রতিষ্ঠান ও জীবন পদ্ধতিকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করে দিচ্ছে। আমরা গণতন্ত্র, ডিজিটালাইজেশন ও টেকসই অগ্রগতি নিয়ে কাজ করছি। সরকার আইন করেছে। কিন্তু যাদের জন্য করা হয়েছে, তারা যাতে সেই আইনের সুফল পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপদভাবে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করছি কি না সেটি দেখতে হবে।’

সভায় বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের গবেষণা সহকারী ইফতেখার হাসান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আলোচনায় আরও অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিনবোধী ভিক্ষু, আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর শহীদুল আলম ও শৈবাল দাশ সুমন, অধ্যক্ষ সৈয়দ মো. আবু ছালেহ, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের প্রধান নির্বাহী উৎপল বড়ুয়া, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ইকবাল বাহার সাবেরী, যুগান্তর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক সাঈদুল আরেফীন, অধ্যাপিকা সালমা আহসান, শিক্ষক টিংকু ভৌমিক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের শরৎ জ্যোতি চাকমা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন