৩ দিনে আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ১৬৮ জন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলে শুনানিতে তৃতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৬১ জন। এদিন ৩৫ জন প্রার্থীর আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। চারজনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তৃতীয় দিনের মতো মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে তিন দিনে ৩০০ আবেদনের ওপর আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হলো। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন মোট ১৬৮ জন।

নির্বাচন কমিশনের আইন শাখা সূত্রে জানা গেছে, আপিল শুনানির প্রথম দিন ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিনে মঞ্জুর হয় ৫১ জনের আবেদন। সে হিসাবে তৃতীয় দিনেই সবচেয়ে বেশি ৬১ জনের প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।

আরও পড়ুন- শুনানির তৃতীয় দিনে দুপুর পর্যন্ত প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ১৬ জন

এদিন (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ে সন্তুষ্ট না হলে প্রার্থীর উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আপিল শুনানিতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ সময় অন্য চার কমিশনারসহ ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।

ইসি সূত্র জানায়, আপিল শুনানির প্রথম দিনে ১০০ জন প্রার্থীর শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ছয়জন অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে ৯৪ জন প্রার্থীর শুনানি হয়। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফিরে পান ৫৬ জন, ৩২ জনের আপিল নামঞ্জুর করে ইসি। আর ছয়জন প্রার্থীর বিষয়ে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানায় ইসি।

দ্বিতীয় দিনেও শুনানি হয়েছে ১০০ প্রার্থীর। এর মধ্যে ৫১ জনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। নামঞ্জুর হয় ৪১ জনের আবেদন। বাকি আটজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। আর তৃতীয় দিনে ১০০ আবেদনের শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৬১ জন।

আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে (বেজমেন্ট-২) আপিল আবেদনের শুনানি প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন ১০০টি করে আপিল আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আবেদন পড়ায় শেষ দিনে শুনানি হবে ৬১টি আবেদন।

আপিল শুনানি শেষ হলে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত প্রার্থীরা বৈধ হিসেবে বিবেচিত হবেন। তারা ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ পাবেন। পরদিন রিটার্নিং কর্মকর্তারা চূড়ান্ত বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেবেন। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোট নেওয়া হবে ৭ জানুয়ারি।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর