বিজ্ঞাপন

চবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষক সমিতির অবস্থান

December 18, 2023 | 7:30 pm

চবি করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ এবং সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে উপাচার্য ও উপউপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে টানা অবস্থান কর্মসূচিতে নেমেছেন শিক্ষক সমিতি।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।

কর্মসূচিতে চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগের শিক্ষক প্রয়োজন হলে বিভাগগুলো জানাবে। বিভাগ ঠিক করবে তাদের শিক্ষক কখন কতজন লাগবে। উপাচার্য জোর করে বিভাগগুলোকে শিক্ষক লাগবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিতে বলেন।’

‘যেখানে শিক্ষক প্রয়োজন নেই, সেখানে নিয়োগের প্রশ্ন আসে না। উপাচার্য আমাদের এক ঘণ্টা বসিয়ে রেখে এরপর বলেন উনাদের সঙ্গে আমি কথা বলতে রাজি নই। উপাচার্যের কথায় অপমানিত বোধ করেছি,’— বলেন আব্দুল হক।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘গতকাল (রোববার) উপাচার্য আমাদের বক্তব্য না শুনেই চলে গেছেন। এর চেয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ আর হতে পারে না। আমাদের দাবি না মানলে সেটি তার ব্যাপার, কিন্তু আমাদের কথা না শোনাটা অসৌজন্যতা। এ ধরনের নজিরবিহীন ঘটনা কোনো ভিসি করেছে কি না আমার জানা নেই।’

চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি আরও বলেন, ‘নিয়োগ বোর্ড নিয়ে এ ধরনের লুকোচুরি, এ ধরনের মিথ্যাচার কীভাবে হয়, আমরা জানি না। এ ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করার জন্য এবং জোর করে কয়েকজন শিক্ষককে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্পূর্ণ বেআইনি, নজিরবিহীন এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। তাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার জন্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইন সমুন্নত রাখার জন্য অবিলম্বে উপাচার্য ও উপউপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করছি।’

এর আগে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) উপাচার্যের কাছে গিয়ে আইন ও বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের নির্বাচনি বোর্ড (নিয়োগ বোর্ড) বাতিলের দাবিতে উপাচার্যকে চিঠি দেন চবি শিক্ষক সমিতির নেতারা। এ সময় উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির নেতাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উপাচার্য কক্ষ ছেড়ে কনফারেন্স রুমে চলে যান।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ উঠেছে, অজ্ঞাত স্থানে নির্বাচনি বোর্ডের সভা বসে। এদিন দ্বিতীয় দফায় উপাচার্যের সাক্ষাৎ পেতে ব্যর্থ হয় শিক্ষক সমিতি। পরে সন্ধ্যা ৬টায় সংবাদ সম্মেলন করে উপাচার্য ও উপউপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করে চবি শিক্ষক সমিতি।

রোববার আইন বিভাগ ও সোমবার বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের নির্বাচনি বোর্ড সভা হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনি বোর্ড বাতিলের দাবিতে উপাচার্যকে চিঠি দেয় শিক্ষক সমিতি। অন্যদিকে বোর্ডে না বসার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন বাংলা বিভাগের সভাপতি তাসলিমা খাতুন ও পরিকল্পনা কমিটির বিশেষজ্ঞ মহীবুল আজিজ।

এর আগে সম্প্রতি বাংলা বিভাগে সাতজন ও আইন বিভাগে দুজন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন নেই বলে দুই বিভাগের পরিকল্পনা কমিটি থেকে দেওয়া সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপাচার্যের একক ক্ষমতাবলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন। এ প্রক্রিয়াকে ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইনের লঙ্ঘন বলছে চবি শিক্ষক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরাও শিক্ষক সমিতির বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইসি/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন