বিজ্ঞাপন

সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়া যাবে না

December 19, 2023 | 6:49 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়া যাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রেস ক্লাবের সামনে মিছিল শেষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহাল, নির্বাচনের তফসিল বাতিল এবং খালেদা জিয়াসহ বিরোধীদলের কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ডাকা হরতালের সমর্থনে এ মিছিল আয়োজন করা হয়। মিছিলটি মেহেরবা প্লাজা থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর, কালভার্ট রোড, পুরানা পল্টন হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুরসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি-র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন। সভা পরিচালনা করেন নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক।

সমাবেশে নেতারা বলেন, তামাশার ডামি নির্বাচন মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সরকার তা পরিষ্কার বুঝতে পেরেছে। এ কারণে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে মিছিল মিটিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। জনগণ এই অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক নিষেধাজ্ঞা মানে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জনগণকে রাস্তায় নেমে এসে রাজপথ দখলে নেবে।

বিজ্ঞাপন

তারা বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সরকারের কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন বিরোধীদল নির্বাচনে এলে এক রাতে সবাইকে জামিন দেওয়া হতো। অর্থাৎ জাতীয় পার্টির মতো ভিক্ষার সিট নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে ২০ হাজার নেতা-কর্মীকে মুক্ত করে দেওয়া হতো। তার এ কথাই প্রমাণ করে দেশের আইন-আদালত সব তাদের নির্দেশেই চলে। শাজাহান ওমর ভিক্ষার সিট নিয়ে হ্যাডম দেখায়, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জামিন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধীদলের নেতা-কর্মীরা একই ধরনের মামলায় গ্রেফতার হলেও তাদের জামিন হয় না।

তেজগাঁও স্টেশনে চলন্ত ট্রেনে আগুন দিয়ে নাশকতা এবং এর ফলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে অনেক সাধারণ যাত্রীর হতাহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, সরকার নাশকতার দায় বিরোধীদলের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এ ধরনের নাশকতার সঙ্গে চলমান আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নাই। আন্দোলনকে কলিমালিপ্ত করার জন্য এইসব নাশকতা ঘটিয়ে বিরোধীদলের ওপর চাপানো হচ্ছে। যেমনটা করা হয়েছিল ২৮ অক্টোবরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে। তামাশার নির্বাচনের বিরুদ্ধে জনগণের চলমান আন্দোলন ক্র্যাকডাউন করার জন্য এ ষড়যন্ত্র চলছে।

নেতারা বলেন, মিছিল মিটিং এর অধিকার হরণ করে প্রহসনের নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়া যাবে না। অবিলম্বে তামাশার তফসিল স্থগিত এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উদ্যোগ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করুন।

বিজ্ঞাপন

কর্মসূচি

বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং একতরফা নির্বাচন ও পরিকল্পিত সহিংসতার প্রতিবাদে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন