বিজ্ঞাপন

সাকিবের ১৫ হাজার রান ও ৭০০ উইকেট হতে আর কত অপেক্ষা?

December 30, 2023 | 3:48 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ তিনি। প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির সেরা অলরাউন্ডার হওয়ার কৃতিত্বটা সাকিব আল হাসানেরই। ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ব্যাটিং বোলিং দুই বিভাগেই দ্যুতি ছড়িয়ে সাকিব ভেঙ্গেছেন একের পর এক রেকর্ড। আগামী বছর সাকিবের সামনে হাতছানি দিচ্ছে আরেকটি কীর্তি। ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫০০০ রান ও ৭০০ উইকেট নিয়ে অমরত্বের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সাকিব।

বিজ্ঞাপন

২০০৬ সালে অভিষেকের পর সাকিব খেলেছেন মত ৪৩০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এর মাঝে ওয়ানডে ২৪৭টি, টেস্ট ৬৬টি ও টি-টোয়েন্টি ১১৭টি। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সাকিবের রান ১৪৪০৬। ওয়ানডেতে করেছেন ৭৫৭০ রান, টেস্টে ৪৪৫৪ ও টি-টোয়েন্টিতে ২৩৮২। ওয়ানডেতে তার গড় ৩৭.২৯, টেস্টে ৩৯.০৭ ও টি-টোয়েন্টিতে ২৩.৮২। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সাকিবের সেঞ্চুরি ১৪টি, এর মাঝে টেস্টে ৫ ও ওয়ানডেতে ৯টি।

১৫০০০ রান পূর্ণ করতে সাকিবের আর প্রয়োজন মাত্র ৫৯৪ রান। ইতিহাসে এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান করা ক্রিকেটার আছেন ৪১ জন। এর মাঝে একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে আছেন তামিম ইকবাল। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তার রান ৩৯১ ম্যাচে ১৫২৪৯ রান। সবার উপরে আছেন শচীন টেন্ডুলকার, ৬৬৪ ম্যাচে তার রান ৩৪৩৫৭।

ব্যাটিংয়ের সাথে বোলিংয়েও দারুণভাবে এগিয়ে সাকিব। ৪৩০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে সাকিব নিয়েছেন ৬৯০ উইকেট। ৭০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁতে তার লাগবে আর মাত্র ১০ উইকেট। টেস্টে সাকিব নিয়েছেন ২৩৩ উইকেট, ওয়ানডেতে ৩১৭ ও টি-টোয়েন্টিতে ১৪০ উইকেট। টেস্টে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৯ বার, ওয়ানডেতে ৪ ও টি-টোয়েন্টিতে ২ বার। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং টেস্টে ৩৬ রানে ৭ উইকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭০০ উইকেট নেওয়ার বোলারের সংখ্যা ১৬জন। সবার উপরে আছেন ৪৯৫ ম্যাচে ১৩৪৭ উইকেট নেওয়া শ্রীলংকার মুত্তিয়া মুরালিধরন।

বিজ্ঞাপন

১৫০০০ রান কিংবা ৭০০ উইকেট তো পেয়েছেন অনেকেই। কিন্তু দুটি কীর্তি একসাথে করেননি কেউই। সাকিবের সামনে তাই অবিশ্বাস্য এই রেকর্ডের হাতছানি। এই বছরে সাকিব করেছিলেন এমনই এক কীর্তি। গত জুলাইয়ে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১৪০০০ রান ও ৬০০ নিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছিলেন সাকিব। এর আগে ১২০০০ রান, ১৩০০০ রান ও ৬০০ উইকেট নেওয়ার প্রথম ক্রিকেটারও হয়েছেন তিনিই।

ব্যাটিং-বোলিংয়ের এমন রেকর্ডে সাকিবের ধারেকাছে আছেন শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস ও পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি। ক্যালিস তার ক্যারিয়ারে ৫১৯ ম্যাচে ২৫৫৩৪ রান, নিয়েছেন ৫৭৭ উইকেট। ৫২৪ ম্যাচে আফ্রিদির রান ১১১৯৬, উইকেটে পেয়েছেন ৫৪১ টি। সাকিবের আগে ৫০০ উইকেট ও ১১০০০ রানের ‘ডাবলের ক্লাবে’ ছিলেন শুধু এই দুই অলরাউন্ডারই। সাকিব তাদের ছাড়িয়ে গেছেন অনেক আগেই। এবার সাকিবের সামনে আরেকটি নতুন ইতিহাস গড়ার হাতছানি।

নতুন ইতিহাস লিখতে সাকিবের প্রয়োজন আর ৫৯৪ রান ও ১০ উইকেট। ২০২৪ সালের ঠিক কখন সাকিব এই মাইলফলক ছোঁবেন, সেটার অপেক্ষাতেই আছে পুরো বাংলাদেশ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এফএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন