বিজ্ঞাপন

খুলনা ৬: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে নৌকা-ঈগলের

January 5, 2024 | 1:47 pm

ডিস্ট্রিক্ট করসেপন্ডেন্ট

খুলনা: উপকূলীয় অঞ্চল খুলনা জেলার দুই উপজেলা কয়রা ও পাইকগাছা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসন। এ আসনে ৭ জন প্রার্থী থাকলেও, মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. রশীদুজ্জামান ও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী জি এম মাহবুবুল আলমের মধ্যে। ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন জি এম মাহবুবুল আলম।

বিজ্ঞাপন

এই দু’জন ছাড়াও এই আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন, জাতীয় পার্টির (লাঙল) মো. শফিকুল ইসলাম মধু, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (আম) মো. আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের (ডাব) প্রার্থী মির্জা গোলাম আজম, বিএনএম প্রার্থী (নোঙর) এস এম নেওয়াজ মোরশেদ, তৃণমূল বিএনপির (সোনালী আঁশ) মো. নাদির উদ্দিন খান।

নির্বাচনি প্রচারের শেষ দিকে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা এ এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিত্যসঙ্গী। মজবুত ও টেকসই বেড়িবাঁধের আশ্বাস থাকলেও গত দুই দশকে এ আসনের মানুষ প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে। ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলার ক্ষত বয়ে বেড়ানো উপকূলীয় এ অঞ্চলটিতে অধিকাংশ জনসাধারণই দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। তবুও টেকসই বাঁধের স্বপ্ন থেকেছে অধরা। এবাবের নির্বাচনে যিনিই বিজয়ী হবেন। তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবেন বলে আশাবাদী তারা।

এই আসনে ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট স ম বাবর আলী। ১৯৭৯ সালে বিএনপির অ্যাডভোকেট শেখ রাজ্জাক আলী, ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির মমিন উদ্দীন আহমেদ, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির সরদার জহুরুল হক, ১৯৯১ সালে জামায়াতের অধ্যক্ষ শাহ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির অ্যাডভোকেট শেখ রাজ্জাক আলী, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট শেখ মো. নুরুল হক, ২০০১ সালে জামায়াতের অধ্যক্ষ শাহ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব আলী সানা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট শেখ মো. নুরুল হক। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের আকতারুজ্জামান বাবু।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, খুলনা-৬ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৫ হাজার ৩১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪০ হাজার ৪৯ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ৬৭ জন।

নৌকার প্রার্থী মো. রশীদুজ্জামান বলেন, আমি দলীয় সমর্থক ও নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সমর্থন পাচ্ছি। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনি গণসংযোগে গিয়ে আমরা নৌকা মার্কার পক্ষে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। মানুষ এখন নৌকা ছাড়া অন্য কোথায়ও ভোট দিতে চায় না। এই আসনের জনগণ নৌকার পক্ষেই রায় দেবে।

স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম বলেন, জনগণের ব্যাপক সাড়া পেয়ে, আমি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি প্রার্থী হয়েছি। তারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। এ বিষয়ে আমি শতভাগ আস্থা রাখি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইই

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন