বিজ্ঞাপন

মানিকগঞ্জ ১: আ.লীগের পদধারীরা লাঙ্গলের, কর্মী-সমর্থকরা ঈগলের

January 5, 2024 | 2:20 pm

রিপন আনসারী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

মানিকগঞ্জ: নির্বাচনি আমেজ নেই মানিকগঞ্জ-১ আসনে। ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা না থাকায় অনেকটা নিশ্চুপ ভোটের মাঠ। এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামকে প্রত্যাহার করে জাতীয় পার্টির জহিরুল আলম রুবেলকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে এই আসনে নৌকা প্রতীক না থাকলেও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে ভোটের মাঠ অনেকটাই সরগরম করে রেখেছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ।

বিজ্ঞাপন

ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মারপ্যাঁচে বিভক্ত হয়ে পড়েছে দলটির নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। তবে জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের পদধারী বেশিরভাগ নেতা জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল আলম রুবেলের পক্ষে মাঠে। নির্বাচনি আসনের তিনটি উপজেলা ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলায় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা নেতা-কর্মী ও সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে লাঙ্গলের পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

দলীয় নির্দেশ মানতে গিয়ে তিনটি উপজেলার পদধারী নেতারা অনেকটা বাধ্য হয়ে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের একটি অংশ এবং দলটির সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের বড় একটি অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদের পক্ষে জোরেসোের মাঠে আছে।

এই আসনে দুইবারের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদকে সমর্থন দিয়েছেন। ফলে দলের বড় একটি অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

তবে নির্বাচনে প্রার্থীদের ক্ষেত্রে আঞ্চলিকতা জয়-পরাজয়ে বড় ধরনের ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। মানিকগঞ্জ ১ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ভৌগলিকভাবে মানিকগঞ্জ-৩ আসনের ভোটার এবং বাসিন্দা। ফলে মানিকগঞ্জ ১ আসনের নির্বাচনি এলাকার ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। আঞ্চিলকতা ফ্যাক্টর কাজ করলে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদের ভোটের রাজনীতিতে বাড়তি সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

এদিকে ঘিওর, শিবালয় ও দৌলতপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে একসময় বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আসনটি বিএনপির হাতছাড়া হয়ে আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী এবিএম আনোয়ারুল হকের কাছে পরাজিত হন খন্দকার দেলোয়ার হোসেন। এরপর ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের দুটি নির্বাচনে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হন। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার পরিবর্তে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। যদিও পরে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হয় তাকে।

তবে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে,এই আসনে বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে ভোট নিয়ে কোনো ধরনের সাড়াশব্দ নেই। তার মধ্যে ভোট বয়কটে সারাদেশের মতো এখানেও লিফট বিতরণ করে গণসংযোগ করায় বিএনপি সমর্থকরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইই

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন