আগুন সন্ত্রাসে ভোট উৎসব ম্লান হবে না: তথ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঢাকায় ট্রেনে আগুন দেওয়ার জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আগুন সন্ত্রাস করে ভোট উৎসব ম্লান করা যাবে না। যেসব নেতা এসব ঘৃণ্য ও জঘন্য কাজের নির্দেশদাতা, তারাও সমান অপরাধী। আমরা সরকার গঠন করতে পারলে আগুন সন্ত্রাসীদের মূলোৎপাটন করা হবে। একটি সভ্য দেশে এসব চলতে দেওয়া যায় না।’

শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনে নিজ বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গতকাল তারা শুধু ট্রেনে হামলা চালিয়েছে তা-ই নয়। ঢাকায় গাড়িতে আগুন দিয়েছে, বগুড়ায় চলন্ত ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করেছে, হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে, রাজশাহী মহানগরে একটি ভোট কেন্দ্রের পাশ থেকে ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে, তার আগের রাতে দুটি ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে। চট্টগ্রামেও নাশকতার ঘটনা ঘটাচ্ছে। তারা চেষ্টা করছে, এগুলো করে নির্বাচনে যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেই পরিবেশকে নষ্ট করার জন্য’

তারেক জিয়ার নেতৃত্বে আগুন সন্ত্রাস হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগুন সন্ত্রাসের ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায়। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট হচ্ছে, নাশকতা করার পর এগুলোর ছবি তোলা এবং ভিডিও করা হয়। পরে সেগুলো লন্ডনে পাঠানো হয়। সেগুলো পাঠালে নাশকতাকারীদের দলে পদোন্নতিসহ নানাভাবে পুরস্কৃত করা হয়। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না।’

বিএনপি ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সমস্ত ঘটনা ঘটিয়ে অস্বীকার করা বিএনপির অভ্যাস। ইতোপূর্বেও একই এলাকায় ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। মা ও শিশুসহ চারজন একসাথে মৃত্যুবরণ করেছে। ওই এলাকায় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস সাহেবের বাড়ি। এর আগের ঘটনা কার নির্দেশে, কারা করেছে, সবাই গ্রেফতার হয়েছে, তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছে।’

যারা সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা মারছে তাদের নির্মূল করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে, আশা করি আন্তর্জাতিক মহল এবার মুখ খুলবে। দুষ্কৃতিকারীদের নির্মূল করার ক্ষেত্রে তারাও সহযোগিতা করবে।’

নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচণ্ড আগ্রহ তৈরি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ, সার্কভুক্ত এবং ওআইসিভূক্ত দেশগুলো নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মহল এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে। আশা করছি, আগামীকাল (রোববার) দেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিকভাবে সর্বজন গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ধস নামানো বিজয় হবে। শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।’

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ