বিজ্ঞাপন

কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম, রাত পোহালেই ভোট

January 6, 2024 | 6:19 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে সারা দেশে শুরু হবে ভোটযুদ্ধ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আর এই ভোটগ্রহণ উপলক্ষে শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে নির্বাচনি সরঞ্জাম।

বিজ্ঞাপন

এদিন ভোরের শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করেই সরঞ্জাম বিতরণকেন্দ্রে উপস্থিত হন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা। একে একে প্রতিটি কেন্দ্রেই দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ব্যালট বাক্স, অমোচনীয় কালী, স্টাম্পসহ বাকি সরঞ্জাম। ঢাকার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো.সাবিরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, রাজধানীর ১৫টি পয়েন্ট থেকে বিতরণ করা হচ্ছে ঢাকার ১৫টি আসনে ভোটের সরঞ্জাম। ব্যালট পেপার বাদে বাকি সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে।

বিজ্ঞাপন

এবার ঢাকা মহনগরীর ১৫টি সংসদীয় আসনে ভোটযুদ্ধে লড়বেন ১২৬জন প্রার্থী। প্রায় ৩ হাজার কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট থাকবে ৩৭ হাজার ৭৯৩ জন। সারাদেশে ৪২ হাজার কেন্দ্রের কিছু কেন্দ্রে ব্যলট পেপার পৌঁছে যাবে আজকেই। আর বাকি কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছাবে আগামীকাল অর্থাৎ ভোটের দিন ভোরে।

বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে:

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে নির্বাচন সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এবার মোট ভোটার ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯০ জন, নারী ভোটার ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৭৫১ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৫৬ জন।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামের সব আসন মিলিয়ে মোট ভোটকেন্দ্র ২০২৩টি এবং ভোট গ্রহণ কক্ষ ১৩ হাজার ৭৩২টি। প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৪৩ হাজার ২১৯ জন। ১০ শতাংশ অতিরিক্তসহ ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন মোট ৪৭ হাজার ৫৪৪ জন।

এবারের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত, কিছু বাম দল এবং তাদের সমমনা দলগুলো অংশ নিচ্ছে না। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তার মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পাশাপাশি দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পথ খোলা রাখায় বিপুলসংখ্যক প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদসহ সব মিলিয়ে ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা এবার ভোটে অংশ নিচ্ছেন।

এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে পাঁচস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সন্দ্বীপে বিজিবির পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে নৌবাহিনী।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। নির্বাচনি সরঞ্জাম অনেকগুলোই আগে পাঠানো হয়েছে। আজ (শনিবার) সকাল থেকে বাকিগুলো পাঠানো হচ্ছে। পুলিশ, আনসার বাহিনীর সদস্যদের কেন্দ্রের দায়িত্ব ইতিমধ্যেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যালটপেপার আগামীকাল (রোববার) সকাল ৭টার মধ্যে কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে যাবে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীও মাঠে কাজ করছে।’

এছাড়া চট্টগ্রাম জেলার ২ হাজার ২৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৪৬৩টিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে; শতাংশের হিসেবে যা ৭২ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে জেলায় ১০১৩টি কেন্দ্র এবং নগরীতে ৪৫০টি কেন্দ্র ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এসব কেন্দ্রের নাম ও তালিকা নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। সে হিসেবে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

নির্বাচনে নগর পুলিশের ৪ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানা গেছে। আর জেলা পুলিশের মোতায়েন থাকবে ৪ হাজার ৫০০ সদস্য।

চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের ৪ হাজার ৫০০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মোটরসাইকেল চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে বিজিবি, আনসার কোস্ট গার্ড দায়িত্ব পালন করবে। এখন পর্যন্ত বড় কোনো নাশকতা ঘটনা ঘটেনি। উৎসাহ, উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ভোটকেন্দ্রে মানুষ ভোট দিতে পারবে। তবুও আমরা সতর্ক আছি যে কোনো নাশকতা মোকাবিলায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ বিশেষ করে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া, বাঁশখালী ও পটিয়া আসনে আমরা আলাদাভাবে নজর রেখেছি। সে সঙ্গে আলাদা ফোর্সও রেডি করেছি। কোনো ভোটারকে যদি কেউ বাধা দেয়, আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। কেউ ভোটকেন্দ্র দখল বা দখলের সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারবে না।’

বরিশাল:

বরিশাল জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের ৮২৭ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে প্লাস্টিকের ব্যালট বক্স, সিল, স্টিকারসহ প্রায় ২০ রকমের সরঞ্জামি। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে ভোট শুরুর আগে এসব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার দেওয়া হবে।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় জেলার ছয়টি সংসদীয় এলাকার স্ব-স্ব উপজেলা পরিষদ থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে ভোটের সরঞ্জামাদি বুঝিয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। ভোটের সরঞ্জামাদি পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় কেন্দ্রে পৌঁছেছেন তারা।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনী সরঞ্জামসহ কেন্দ্রে পৌঁছে কেন্দ্র ও বুথ প্রস্তত এবং বেস্টনি নির্মাণসহ পুরো ভোট কেন্দ্রের দায়িত্ব নেবেন তারা। দিনে এবং রাতে ভোট কেন্দ্রে অবস্থানের পর রোববার সকাল ৮টায় যথারীতি ভোট গ্রহণ শুরু করবেন। এবার ৬টি আসনে স্বতন্ত্রসহ ১০টি দলের মোট ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলার ৬টি আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ৮২৭টি। ভোট কক্ষ ৪ হাজার ৯৪১টি। এরমধ্যে বরিশাল-১ আসনে ১২৯ ভোট কেন্দ্রে ভোট কক্ষ ৬৭৮টি, বরিশাল-২ আসনে ১৩৬টি ভোট কেন্দ্রে ভোট কক্ষ ৮৩৮টি, বরিশাল-৩ আসনে ১২৪ কেন্দ্রে ভোট কক্ষ ৭৪৬টি, বরিশাল-৪ আসনে ১৪৯ ভোট কেন্দ্রে ভোট কক্ষ ৯৬৭টি, বরিশাল-৫ আসনে ১৭৬ ভোট কেন্দ্রে ভোট কক্ষ ১ হাজার ৯০টি এবং বরিশাল-৬ আসনে ১১৩টি কেন্দ্রে ভোট কক্ষের সংখ্যা ৬২২টি। এবার ৬টি আসনে মোট ভোটার ২১ লাখ ২৯ হাজার ৯৭৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ লাখ ৮১ হাজার ১৫০ জন, নারী ভোটার ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৮১৫ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯ জন।

খুলনা: খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসনের ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রে পৌঁছাচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে খুলনা সার্কিট হাউজ থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে ব্যালট পেপার বাদে ভোট গ্রহণ সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। দুপুর থেকেই কেন্দ্রগুলোতে এসব সামগ্রী পৌঁছাতে শুরু করেছে। ছয়টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩৯ জন। ভোটকক্ষ রয়েছে ৪৭২০টি।

খুলনা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যে কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে। মাঠে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।

সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনের কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে নির্বাচনি সরঞ্জাম। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে জেলার সাতটি উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসাররা প্রিসাইডিং অফিসারদের কাছে এসব সরঞ্জাম হস্তান্তর শুরু হয়।

সাতক্ষীরা জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, ভোট কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসাররা কেন্দ্রে পৌঁছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে ব্যালট পেপার কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হবে।

ইতিমধ্যে সাতক্ষীরায় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এজন্য জেলা ব্যাপী আইনশৃংখলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সহিংসতা, সংঘাত ও সংঘর্ষমুক্ত রাখতে চারটি আসনের বিপরীতে জেলা ম্যাজিস্টেটের ৯জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ২৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সশস্ত্র বাহিনীর একটি ব্যাটিলিয়ন, ১০ প্লাটুন বিজিবি, ৪ প্লাটুন র‌্যাব, পাশাপাশি ৭ হাজার পুলিশ ১৪ হাজার আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

জেলার চারটি সংসদীয় আসনে ৬০২টি ভোট কেন্দ্রে ৩ হাজার ৭১৮টি বুথে ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ২২৪ জন ভোটার তাদের ভোটধিকার প্রয়োগ করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন পুলিশ ও ১০ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া জেলায় ১০০ টি সাধারন ও গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে দুইজন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আচরণ বিধি দেখভালসহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। পাশাপাশি তারা বিজিবি, কোস্টগার্ড ও সশস্ত্র বাহিনীর টিমকে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। এবারের এ সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার চারটি আসনে ১০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ২২জন এবং ৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মাগুরা: জেলার কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছেছে নির্বাচনি সামগ্রী। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে নির্বাচনি সামগ্রী বিতরণ শুরু করে জেলা রির্টার্নিং কর্মকর্তা।

কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রির্টার্নিং কর্মর্তার কার্যালয় থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের হাতে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার, আমোছনীয় কালি, স্ট্যাম্প, প্যাড ও সিলসহ ভোটের প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।

পুলিশ ও আনসার সদস্যদের উপস্থিতিতে নির্বাচনী সামগ্রী হাতে পেয়ে কর্মকর্তারা তা নিয়ে যানবাহনযোগে স্ব-স্ব কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের সরঞ্জাম ব্যালট বাক্স, ব্যাগ ও গালা বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এ সকল উপকরণ বিতরণ করা হয়। ঠাকুরগাঁওয়ে ৩টি আসনে মোট ৪১৭টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১২টি স্টাইকিং ফোর্স, ৪৫টি মোবাইল টিম, স্ট্যান্ডবাই পার্টি ৪টি, র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার-ভিডিপিসহ এক হাজার ১০০ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১২টি স্টাইকিং ফোর্স, ৪৫টি মোবাইল টিম, স্ট্যান্ডবাই পার্টি ৪টি, র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার-ভিডিপিসহ এক হাজার ১০০ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁওয়ে ৩টি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৪২ হাজার ৯২৩ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৩ হাজার ২৮১ জন এবং পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৮ জন।

নাটোর: জেলার ৫৬৬টি কেন্দ্রে বিভিন্ন উপজেলার সরকারি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে নির্বাচন সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এসময় দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসার সদস্য ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নাটোরের মোট চারটি আসনে ৫৬৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু নাসের ভূঁঞা। এসব ভোটকেন্দ্র গুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিশ।

ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে একজন অফিসার সহ দু’জন পুলিশ এবং র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা দায়িত্বপালন করবেন। এছাড়া জেলায় ১৫ প্লাটুন বিজিবি ও ৭ প্লাটুন সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়ন রয়েছে।

রংপুর:

নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যেই সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রংপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান জানিয়েছেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রকার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্র পাঠানো হয় নির্বাচনি আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম। নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর ঘটনায় ছাড় দেওয়া হবে না।
সাধারণ কেন্দ্রে বা গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা নির্বাচন কমিশন থেকে গাইডলাইন দেওয়া আছে। আমরা সেই গাইডলাইন ফলো করব। তা ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে যা প্রয়োজন আমরা সবই করব, সেই প্রস্তুতি আমাদের আছে।

তিনি জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর রংপুর জেলার সংসদীয় ছয়টি আসনে ৪৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ে ১০ জনের মনোনয়ন বাতিল এবং ৩৯ জনের বৈধ হয়। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান আরও সাতজন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ১০ জন সরে যান। প্রতীক বরাদ্দ শেষে চূড়ান্ত হওয়া ৩৬ প্রার্থী এখন দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রংপুর-১ আসনে নয়জন, রংপুর-২ আসনে তিনজন, রংপুর-৩ আসনে ছয়জন, রংপুর-৪ আসনে তিনজন, রংপুর-৫ আসনে আটজন এবং রংপুর-৬ আসনে সাতজনসহ মোট ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তিনি আরও জানান, জেলায় মোট ভোটার ২৪ লাখ ৩২ হাজার ৫০৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছে ১২ লাখ ২০ হাজার ৩৯৪ জন। পুরুষ ১২ লাখ ১২ হাজার ৮৭ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ২৪ জন ভোটার রয়েছে। জেলার মোট ৮৫৮টি ভোটকেন্দ্রের ৫ হাজার ১৭৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, রংপুর-১ (গংগাচড়া ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ৮নং ওয়ার্ড) আসনে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মহাসচিব ও বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ ‘ট্রাক’, গংগচড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র আসাদুজ্জামান বাবলু ‘কেটলি’, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ ‘লাঙ্গল’, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির বখতিয়ার হোসেন ‘হাতুড়ি’, তৃণমূল বিএনপির বদরুদ্দোজা চৌধুরী ‘সোনালী আঁশ’, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির হাবিবুর রহমান ‘আম’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের শ্যামলী রায় ‘ডাব’, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন ‘মোড়া’ এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহীনুর আলম ‘ঈগল’ প্রতীকে লড়ছেন।

এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩২ হাজার ২১৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৫ জন, পুরুষ ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৮২ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন রয়েছে। এখানকার ১২৩টি ভোটকেন্দ্রের ৬৬৬টি ভোটকক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ভোটাররা।

এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু। আসন সমঝোতায় আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ভোটযুদ্ধে এ আসনে ৯ জন নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকলেও মূলত ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ‘কেটলি’ ও ‘ট্রাক’ প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

রংপুর-২ (বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ) আসনে ভোটযুদ্ধে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কামাল মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’, আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ সরকার ‘ট্রাক’ এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য আনিছুল ইসলাম মণ্ডল ‘লাঙ্গল’ প্রতীকে লড়ছেন।

এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৪৬ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৫৩, পুরুষ ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭৮৫ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৪ জন। দুটি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনের ১৩৬টি ভোটকেন্দ্রের ৮১৫টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হলেও সাধারণ ভোটারদের চোখে সম্ভাবনার তীর লাঙ্গলের দিকে।

রংপুর-৩ (সদর উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনের ৯ থেকে ৩৩নং ওয়ার্ড) আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের দলীয় প্রতীক ‘লাঙ্গল’, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুর রহমান রেজু ‘একতারা’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক ‘ডাব’, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সহিদুল ইসলাম ‘মশাল’, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম ‘আম’ এবং তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী ‘ঈগল’ প্রতীকে লড়ছেন।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন সমঝোতায় এই আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ভোটযুদ্ধে এ আসনে জিএম কাদেরসহ ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে সাধারণ ভোটারদের কাছে ‘লাঙ্গল’ ও ‘ঈগল’ রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আলোচনায়।

এখানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ জন ও পুরুষ ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭২ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন। রংপুর জেলার সবচেয়ে বেশি ভোটার অধ্যুষিত এ আসনের ১৭৫টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৬টি ভোটকক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে ভোটাররা।

রংপুর-৪ (পীরগাছা ও কাউনিয়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল ‘লাঙ্গল’ ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের সিরাজুল ইসলাম ‘ডাব’ প্রতীক পেয়েছেন। এ তিন প্রার্থীর মধ্যে নৌকা-লাঙ্গলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৩৮৩ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪৩ হাজার ৩৩০ জন, পুরুষ ২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৯ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৪ জন। দুটি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনের ১৬৩টি ভোটকেন্দ্রের ৯৭৭টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাশেক রহমান দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির আনিছুর রহমান ‘লাঙ্গল’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মাহবুবুর রহমান ‘ডাব’, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আব্দুল হালিম মণ্ডল ‘গামছা’, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত এনামুল হক ‘চেয়ার’, সদ্য পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার ‘ট্রাক’, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ‘একতারা’ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের (বিএনএফ) আব্দুল বাতেন পেয়েছেন ‘টেলিভিশন’ প্রতীক।

ভোটযুদ্ধে এ আসনে ‘নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর সঙ্গে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এইচ এন আশিকুর রহমানের ছেলে রাশেক রহমান এবার ‘নৌকা’ প্রতীকে লড়ছেন।

এখানকার ১৫০টি ভোটকেন্দ্রের ৯৯০টি ভোটকক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ভোটাররা। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪০ হাজার ৩৩৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৯৮৪ জন, পুরুষ ২ লাখ ১৮ হাজার ৩৪৭ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৪ জন ভোটার রয়েছে।

রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ‘নৌকা’, জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুর আলম যাদু মিয়া ‘লাঙ্গল’, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির হুমায়ুন ইজাজ ‘আম’, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির জাকারিয়া হোসেন ‘হাতঘড়ি’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মাহবুল আলম ‘ডাব’, আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ‘ট্রাক’ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তাকিয়া জাহান চৌধুরী ‘কাঁচি’ প্রতীকে ভোটযুদ্ধে লড়ছেন।

এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৫৪ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৬৫ হাজার ৪৯৮ জন, পুরুষ ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৫২ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৪ জন। এ আসনের ১১১টি ভোটকেন্দ্রের ৭১২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নৌকা বিজয়ের দৌড়ে এগিয়ে থাকলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা লাঙ্গলের পাশাপাশি আলোচনায় আছে।

এদিকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণে সব প্রস্ততি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন। তিনি বলেন, রংপুরের সংসদীয় ছয়টি আসনের ৮৫৮টি কেন্দ্রের মধ্যে জেলা পুলিশের অধীনে ৬৫৯টি এবং মেট্রোপলিটন ‍পুলিশের অধীনে ১৯৯টি কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে রংপুর জেলার ৬৫৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩১৯টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে পুলিশ-আনসারের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি বিশেষ নজরদারি রাখা হবে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত টহল টিম থাকবে। একই সঙ্গে বাড়ানো হবে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ভ্রাম্যমাণ টিমের সংখ্যাও।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) কমিশনার মনিরুজ্জামান জানান, নির্বাচন কমিশনার ও পুলিশের আইজিপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করায় বদ্ধপরিকর। বিশৃঙ্খলা করলে কেউ ছাড় পাবে না।

তিনি বলেন, সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রংপুর মহানগর এলাকার মোট ১৯৯টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরপিএমপির ১ হাজার ১১৪ জন, পিটিসি রংপুরের ৭৮ জন, এপিবিএন’র ১৫০ জন এবং শিল্প পুলিশের ১২২ জনসহ মোট ১ হাজার ৪৬৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা-ফোর্স এবং আনসার-ভিডিপির ২ হাজার ৩৮৮ জন সদস্য মহানগর এলাকার দায়িত্ব পালন করবে।


এছাড়া সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৭২ ঘণ্টা মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ সময় শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসনের সদস্য ও অনুমোদিত পর্যবেক্ষক, জরুরি সেবার যানবাহন, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অভিন্ন কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র এবং সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন, দূরপাল্লার যানবাহন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের এজেন্টদের ক্ষেত্রে এ বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক, নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, জাতীয় মহাসড়ক, প্রধান আন্তঃজেলা রুট, মহাসড়ক এবং প্রধান মহাসড়কের সংযোগ সড়কের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে।

অন্যদিকে ইসি থেকে জানানো হয়েছে, ইসির ‘স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি’ নামের অ্যাপে ভোটার নম্বর, কেন্দ্রের নাম ও অবস্থান, ভোট পড়ার হার, প্রার্থীদের হলফনামাসহ নির্বাচনের বিভিন্ন তুলনামূলক চিত্র ঘরে বসেই জেনে নিতে পারবেন আগ্রহীরা। দুই ঘণ্টা পরপর আসনভিত্তিক ভোট পড়ার হারও জানানো হবে সেখানে। অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপল উভয় প্লে স্টোরে অ্যাপটি পাওয়া যাবে। অ্যাপটি ব্যবহার করতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হয়। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মতারিখ দিলেই মিলবে তথ্য।

সারাবাংলা/এনইউ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন