বিজ্ঞাপন

যেভাবে ভোট দেবেন

January 6, 2024 | 10:55 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেবেন প্রায় ১২ কোটি ভোটার। এদের মধ্যে অনেকেই ভোট দেবেন প্রথমবারের মতো। আবার এবার কোনো আসনেই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম থাকছে না। তাই সব ভোটার সনাতনী পদ্ধতিতে ব্যালটে সিল মেরে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বাছাই করবেন। তাই আসুন দেখে নেই কীভাবে ভোট দেবেন।

বিজ্ঞাপন

ভোট দেওয়ার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি লাগবেই তা না। তবে এনআইডি নম্বর, ভোটার নম্বর বা স্মার্ট কার্ড সঙ্গে থাকলে ভোটার তালিকা থেকে একজন ভোটারের জন্য তার নাম খুঁজে বের করতে সুবিধা হবে।

ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া

ভোট দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি ধাপ পেরোতে হয়। জাতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটারকে ছবিসহ ভোটার তালিকায় ক্রমিক নম্বর, ভোটার নম্বর, ভোটার এলাকা এবং কেন্দ্রের নাম আগেই জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এসব তথ্য আগে থেকে জানা না থাকলে ভোটকেন্দ্রের বাইরে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের কাছ থেকেও জেনে নেওয়ার সুযোগ থাকবে। এছাড়া এখন অনলাইনেও সহজেই ভোটার সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে।

ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর করণীয়

সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে ভোটারকে নির্ধারিত কেন্দ্রে যেতে হবে। ভোটকক্ষে ঢোকার পর প্রথমে পোলিং এজেন্টদের সহায়তায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ভোটারকে শনাক্ত করবেন।

বিজ্ঞাপন

শনাক্ত করার পর ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ভোটারের বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে অমোচনীয় কালির চিহ্ন লাগাবেন।

কোনো ভোটার অমোচনীয় কালির কলমের চিহ্ন লাগাতে অস্বীকৃতি জানালে অথবা তার যে কোনো আঙ্গুলে অমোচনীয় কলমের কালির চিহ্ন থাকলে তাকে ব্যালট পেপার দেওয়া হয় না।

আঙুলে অমোচনীয় কালি লাগানোর পর ভোটারকে ব্যালট পেপার দেওয়ার আগে এর অপর পৃষ্ঠায় অফিসিয়াল সিল দিয়ে অনুস্বাক্ষর করবেন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার।

ব্যালট পেপারের সঙ্গে ভোটারকে একটি বর্গাকৃতির রাবার স্ট্যাম্প দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

ব্যালট পেপার ভাঁজ করতে হবে সাবধানে

ব্যালট পেপার এবং রাবার স্ট্যাম্প নিয়ে ভোটার নির্ধারিত গোপন কক্ষে যাবেন। এরপর ব্যালট পেপারে থাকা পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশে বরাদ্দ প্রতীকের ওপর রাবার স্ট্যাম্প দিয়ে সিল মারবেন। সিল যেন অন্য ঘরে বা দুই প্রতীকের মাঝামাঝি না পড়ে সেটা খেয়াল রাখতে হবে।

ব্যালট পেপারে সিল দেওয়ার পর সিলের কালি যাতে অন্য প্রতীকের ঘরে বা অন্য কোথাও না লাগে সেজন্য সিল দেওয়া প্রতীকের ঘরের মাঝামাঝি লম্বালম্বি একটা ভাঁজ দিতে হবে। পরে ইচ্ছেমত ভাঁজ দেওয়া যাবে।

ভাঁজ করা ব্যালট পেপার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সামনে রাখা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ফেলতে হবে।

ভোট দেওয়া সম্পন্ন হলে রাবার স্ট্যাম্পটি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার কাছে ফেরত দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করতে হবে।

দাহ্য পদার্থ কিংবা মোবাইল ফোন নেওয়া বারণ

মনে রাখবেন, ভোটের স্লিপ ছাড়া আর কিছুই ভোটকেন্দ্রে নেওয়া যাবে না। কোনো ধরনের দাহ্য পদার্থ, ম্যাচ, লাইটার কিংবা ধারালো বস্তুর মতো কিছুই সঙ্গে নেয়া যাবে না। এছাড়া মোবাইল ফোনও নিতে পারবেন না। ফোন সঙ্গে থাকলেও সেটি বন্ধ রাখতে হবে।

ভোটকেন্দ্রে ঢোকার পর ভোটারের মোবাইল চালু রাখতে পারবেন না। কেন্দ্রের ভেতরের কোনো ছবি বা ব্যালটের ছবি অথবা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলা যাবে না।

পোশাক

যে কোনো পোশাক পরে ভোট দিতে যাওয়া যাবে। তবে যদি নেকাব পরে থাকেন, তবে পোলিং এজেন্টের অনুরোধে একবারের জন্য সেটি খুলে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত করতে হতে পারে।

সারাবাংলা/আরএফ/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন